অনেক মা বাবাই জানেন না তার সন্তান কবিতা লিখে। অনেক পুত্র-কন্যাও
বলে- মাঝে মাঝে তাদের পিতা কাগজ ও কলম নিয়ে বসেন। কী লিখেন
সেটা জানে না তারা। এমন কি অনেক মাতৃকাব্যকথাও পড়ে’নি তার সন্তান
– এমন বর্ণনা শুনতে শুনতে আমি যখন নদীর কাছে পৌঁছলাম,
দেখলাম কয়েকটি ঢেউ ছিন্ন-বিছিন্ন করেছে নদীর দক্ষিণ পাড়।
উত্তর পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে যে রাখাল বালক, সে শুধু বলছে-‘ভেঙে পড়তে
পারে, অতএব সাবধান হে তীরবাসী!’
কেউ তার কথা শুনছে কী না, তা খেয়াল না করেই আমি পুরনো বটবৃক্ষের
ছায়ায় এসে দাঁড়ালাম। দেখলাম- যে পাখিটি ঐ বৃক্ষের কাছ থেকে ছায়াঋণ
নিতো- সে’ও ঘুমিয়ে পড়েছে অতীত স্মৃতিদৃশ্য ভুলে।
কবি’কে খুব বেশি পরিচিত হতে হবে, কিংবা নদীকেও হতে হবে ঝানু
কৌশলী- সেই অবিশ্বাস পাকাপোক্ত করে আমি বাড়ী ফিরতে চাইলাম।
দেখলাম প্রবীণ সূর্যবাবু আমাকে প্রণাম জানিয়ে বলছেন- এই পৃথিবীতে
আদিকবি হিসেবে তাকেও কোনোদিনই কেউ স্বীকৃতি দেয়নি।
loading...
loading...
সেই অবিশ্বাস পাকাপোক্ত করে আমি বাড়ী ফিরতে চাইলাম।
দেখলাম প্রবীণ সূর্যবাবু আমাকে প্রণাম জানিয়ে বলছেন- এই পৃথিবীতে
আদিকবি হিসেবে তাকেও কোনোদিনই কেউ স্বীকৃতি দেয়নি।
loading...