কিছুই বাঁচানো গেল না
সন্তান, সম্ভ্রম, স্বাধীনতা
বাঁচানো গেল না সময়, শরত ও শবদেহ
বাঁচানো গেল না সূর্যের প্রখর আলো, শিয়র, শয্যা
কিংবা বাঁচানো গেল না সন্ধ্যাও। সমুদ্রও হয়ে গেল দখল।
বাঁচানো গেল না কিছুই। রক্তের দাগ, রিক্ত শিশুর আর্তনাদ
বাঁচানো গেল না, পিতার শোকার্ত পুরোনো কোর্তা
অথবা বোনের সংকুচিত ভ্যানিটি ব্যাগ।
বাঁচানো গেল না পাতের একটুকরো পান্তা-ইলিশ
শস্যদানা, সর্ষেক্ষেত, সবুজ ছাউনি-
কিছুই বাঁচানো গেল না।
লুট হয়ে গেল ব্যাংক। গার্মেন্টস শ্রমিকরা ঘাম বুকে নিয়েই
পুড়ে মরলো বদ্ধ-কোটরে।
বাঁচানো গেল না ট্রাফিক লাইট, ফুটপাত, পুলিশের লাল সিগন্যাল
কিছুই বাঁচানো গেল না। মায়ের লাশবাহী এম্ব্যুল্যান্স আটকে
দিয়ে উল্লাস করলো খুনীরা। বাঁচানো গেল না মায়ের আঁচল।
বাঁচানো গেল না কিছুই। হ্যাঁ- কিছুই!
‘সেইফমার্ক’-মার্কা ঘুড়ি উড়িয়ে আমরা সবাই সুতো ছাড়লাম
আকাশে। উড়ুক- উড়তে থাকুক ঘুড়ি, যাক- উড়ে যাক!
বাঁচানো গেল না নাটাই, নাটক, নৃত্য কিংবা নৃতত্ত্ব
নাক, নখ, নরুন- কিছুই বাঁচানো গেল না।
বাঁচানো গেল না দ্রোহ,দন্ত, দৃষ্টি-
প্রায়ান্ধ জীবন নিয়ে যে পাখিটি আমার পেছনের বারান্দায়
আশ্রয় নিয়েছিল, তাকেও হত্যা করা হলো।
আত্মহত্যাই আমাদের পরিণতি নয়-
চিৎকার দিতে দিতে আমি পালাতে থাকলাম
কেবলই পালাতে থাকলাম…
loading...
loading...
বাঁচানো গেল না পাতের একটুকরো পান্তা-ইলিশ
শস্যদানা, সর্ষেক্ষেত, সবুজ ছাউনি-
কিছুই বাঁচানো গেল না।
লুট হয়ে গেল ব্যাংক।
loading...