কবির সাথে আমার প্রতিদিনই কথা হয়। তাঁকে জানাই, এনগরে কীভাবে
সর্পছানারা বাস করে মানুষের বুকের আস্তিনে। কীভাবে মাঝে মাঝে কারো
পকেট থেকে দ্রুত লাফিয়ে পড়ে ধূর্ত ইঁদুর। কিংবা পোষাকুকুরগুলো কীভাবে
লেজ নাড়াতে নাড়াতে কিছু শুকনো খাবারের জন্য দেখায় নিজেদের মিডিয়া
প্রভূত্ব। কীভাবে কালোকে হলুদ, গোলাপকে নীল করে দেয় কিছু বিবৃতিবাজ
পুঁজিপতি। কীভাবে অর্থের কাছে বিক্রী হয়ে যায় এ নগরের মানবিক বিবেক।
আমি হাডসন নদীর উজানে হেঁটেছি অনেক পথ। সাইপ্রাস থেকে যে জাহাজটি
ভাটিপথে পাড়ি দিয়েছিল নিউইয়র্ক হার্বার, শুনেছি তার সাইরেন। কাপ্তান শুধু
তার দূর চাহনী দিয়ে টুইন টাওয়ারের গ্রাউন্ড জিরোর দিকে তাকিয়েছিলেন।
আর বলেছিলেন— হে মাটি সম্মানিত হও। ধরে রাখো তোমার একক কর্তৃত্ব।
আমি সেই কর্তৃত্ব খাটাতে গিয়েই যে লেখাগুলো গুম করে ফেলেছিলাম, তাদের
কথা আজ আবার মনে পড়ে। কিন্তু কোনো দুঃখবোধই আমাকে দংশন করে না।
কারণ আমি জানি যে সত্যের আকুতি দিয়ে আমি নির্মাণ করেছিলাম আমার
নিবেদন—তা অনেকেরই মন যোগাতে পারেনি। তাই শব্দগুলোর হারিয়ে যাওয়া
ছাড়া কোনো গত্যন্তর ছিল না। আমি এটাও জানি—আমার হাতে গুম হয়ে যাওয়া
বাক্যগুলো একদিন পুনর্জন্ম পাবে। নিজের আয়নায়, আমারই মুখছবি দেখবেন
একদিন অন্যকোনো শব্দকারিগর।
loading...
loading...
আমার হাতে গুম হয়ে যাওয়া বাক্যগুলো একদিন পুনর্জন্ম পাবে। নিজের আয়নায়, আমারই মুখছবি দেখবেন …
একদিন অন্যকোনো শব্দকারিগর।
loading...
সুন্দর লিখেছেন, লেখক ও কবি।
loading...