বুকপকেটে আমরা যে রক্তজবা লুকিয়ে রাখতাম-
তা অনেকেরই নজর কাড়তো না। কিংবা যে সূর্যকে
বশ্য বানাবো বলে কোমরে ঝুলিয়ে রাখতাম কোমল ইস্পাত,
তা ও বার বার থেকে যেত রোদের অগোচরে,
অথচ ঢাকার রাজপথ কিংবা বলিভিয়ার জঙ্গল
সবই ছিল আমাদের নখদর্পণে, ছিল লালকালিতে
আঁকা ঝড়ের রোডম্যাপ।
আমরা হামাগুড়ি জানতাম ঠিকই, কিন্তু মুছে
ফেলেছিলাম কনুইয়ের দাগ। আমরা ঈশান
চিনতাম ঠিকই, কিন্তু ভুলে গিয়েছিলাম বিজলীর রঙ
ফলে,আমাদের জাহাজের পাটাতন চুইয়ে জলের
বদলে রক্ত উঠতো প্রতিদিন,
আমাদের বেদনাগুলো, পুষ্প হতো কারো কারো
সদর দরজায়।
ফিদেল, বিপ্লব আমাদের প্রতিবেশী ছিল জেনেও
আমরা পরখ করতে পারিনি শোষণের প্রধান কাঁটা।
কিন্তু সাময়িক হেরে যাওয়াই তো শেষ কথা নয়।
অথবা হাভানার আকাশ জুড়ে আজ যে পাখির বিলাপ
সেটাই নয়, পাথরসম সকল শোক।
জানি- নতুন কোনো বুকে
দুদণ্ড পাঁজর বেঁচে থাকবে। একটি আঙুল বেঁচে
থাকবে, হাতে। থাকবে বিপ্লবের প্রতিটি স্বপ্নসিঁড়ি।
আবার দেখা হবে বন্ধু,
পৃথিবীর অন্য কোনও প্রান্তে….
loading...
loading...
কবিতাটি পড়লাম। একরাশ শুভ কামনা প্রিয় কবি ফকির ইলিয়াস। শুভ সকাল।
loading...
চমৎকার প্রকাশ।
loading...