জল পড়বে, পাতা নড়বে না
রাশিফল দেখতে দেখতে আমরা গোণতে থাকি রাতের তারা। যারা
ভাগ্য বিপর্যস্ত- তাদের কথা না ভেবেই ডুবে থাকি রবীন্দ্রনাথের গানে।
জানি অনেক কিছুই,এমন একটি ভাব দেখিয়ে ভিন্ন ভিন্ন পথে
আমরা দখল করতে থাকি নদীর কিনার।
এই দখলদারিত্ব কবে ঘুচিয়েছে একাকীত্বের সন্ধ্যা— তা এখন আর
খুঁজে পাই না আমরা। বরং এটা জানতে শিখি, একদিন পরিচিত
ছাদেই আমাদের দিকে উল্টোমুখ করে বসেছিল ছন্দ ও তার কন্যারা।
ছন্দপুত্ররা মাছ ধরতে গিয়েছিল নদীতে। যারা শেষ পর্যন্ত নিখোঁজ
হয়ে গিয়েছিল চিরতরে।
এখন শীতলক্ষ্যা কিংবা বুড়িগঙ্গা নদীতে যে শবদেহগুলো ভাসতে
দেখা যায়— তারা কি সেই ছন্দসন্তান! যারা একদিন গান গাইতো,
বাঁশি বাজাতো, হারমোনিয়ামের ছায়ায় মিশিয়ে দিতো নিজেদের ছায়া !
প্রশ্নগুলোর উত্তর চেয়ে আমরা একজন ছায়াবিদের কাছে সম্মিলিত
চিঠি লিখি। অনেক অপেক্ষার পর একদিন ফেরত ডাকে সেই চিঠির
উত্তর আসে। তিনি আমাদের জানান—
‘বৎসবৃন্দ! নগরে এখন নারকীয় কীটদের উৎপাত। যে আঙুল
পথ দেখাতো, সে আঙুল উত্থাপিত হবে ঠিকই- কিন্তু ডানে বামে
নড়বে না। যে ঢেউ আমাদেরকে চিনাতো উজান, সেই ঢেউ
দাঁড়িয়ে থাকবে অপরিপক্ক বর্ষায়। উপুড় হয়ে পড়ে থাকা ভাসমান
মৃতদেহ দেখে কেউই জানতে চাইবে না এই মানুষটি একাত্তর দেখেছিল
কী- না। রক্ত’কে জল ভেবে কেউ কেউ পান করবে অবিরত।
বৃষ্টি হবে।
মানুষের মাথার উপর থেকে সরে যাবে জগতের সকল ছাতা।
সবাই ভুলে যাবে— ভেজার কৃতিত্ব।
এবং জল পড়বে,
নড়বে না পাতা। কেউই জানতে চাইবে না, এই লোকালয়ে
আদৌ কোনো শাসনতন্ত্র ছিল কী না কোনোদিন।’
loading...
loading...
শুভেচ্ছা কবি ফকির ইলিয়াস।
loading...
মানুষের মাথার উপর থেকে সরে যাবে জগতের সকল ছাতা।
সবাই ভুলে যাবে— ভেজার কৃতিত্ব।
এবং জল পড়বে, নড়বে না পাতা।
loading...
জল পড়বে, পাতা নড়বে না। এমন হলে তো ভালই হয় প্রিয় কবি দা। শুভকামনা।
loading...
শুভেচ্ছা প্রিয় কবি প্রিয় ইলিয়াস ভাই। সালাম।
loading...
সুন্দর।
loading...