হাসপাতালের আলোগুলো
কিছুটা বিরক্ত হয়ে ফিরে যায় রক্ত বিক্রেতা। আজ কোনো খদ্দের নেই দেখে
নিভে যায় গণিকালয়ের আলো। এখানে কী কোনো মোমবাতি জ্বলেছিল
কোনোদিন! আড়ষ্ট বুলি আওড়াতে আওড়াতে পাশ দিয়ে হেঁটে যায় একজন
পুরনো কাগজ কুড়োনি। মেরুদণ্ডে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে যে আমি, পা ফেলতে
ভুলে গিয়েছিলাম— সেই আমারও আবার হাঁটতে ইচ্ছে করে।
এর আগেও চিকিৎসার চৈতন্য খুঁজে আমি বহুবার অতিক্রম করেছি
হাসপাতালের বারান্দা। লাল টকটকে পানের পিক্ ফেলে আমার কুশল
জিজ্ঞেস করেছিল যে ঝাড়ুবতী— তাকে আজ দেখি না।
হয়তো অন্য কোনো ‘শিকার’ এর আশায় সে ছুটেছে ভবনের অন্য কোণে।
আমি আবার হাঁটতে চেষ্টা করি। একজন পা রোগ বিশেষজ্ঞ তার প্রাইভেট
ক্লিনিকের কার্ড আমার হাতে ধরিয়ে দিতে দিতে বলেন— ‘বিকেলে আমার
চেম্বারে আসতে পারেন’।
আমি বলি— ‘আমার যে বেশি টাকাকড়ি নেই ডাক্তার’ !
সন্ধ্যার ছায়া নেমেছে আগেই। পেছন ফিরে তাকাতেই দেখি
ঐ গণিকালয়ের মতো, হাসপাতালের আলোগুলোও কে যেন নিভিয়ে দিচ্ছে !
loading...
loading...
গম্ভীর কবিতা। শুভকামনা প্রিয় কবি প্রিয় ইলিয়াস ভাই।
loading...
কবিতাটি পড়লাম।
loading...
শুভেচ্ছা প্রিয় কবি দা।
loading...
হাসপাতালের আলোগুলোও কখনও কখনও ম্রিয়মাণ হয়ে যায়।
loading...