একাত্তরের জোসনাকথা
‘চিঠি দিও না। আমি পাবো না কিছুই। না গামছা, না চিড়া, না ছবি।’
লিখতে লিখতে চিরকুট ভিজে যায় মুক্তিযোদ্ধা আরশ আলীর।
কমাণ্ডার হাঁক দেন- ‘অপারেশন কয়টায় আরশ ?’
রাত দুইটায় স্যার। বলে থমকে দাঁড়ান বীর এই সংগ্রামী।
আজ জোসনার জন্মদিন। যে প্রিয়তমা জোসনা ‘ফিরে এসো’—
বলে পুকুর পাড় পর্যন্ত এগিয়ে দিয়েছিল, তার কথা আজ বার বার
মনে পড়ে। একটি হায়েনা যুদ্ধ বিমান খুব নীচু দিয়ে উড়ে যায়।
এই দেশ একদিন আমাদের হবে। এই পতাকার নীচে দাঁড়িয়ে
একদিন আমরা শুনবো জাতীয় সঙ্গীত। ভাবতে ভাবতে আরশ আলীর
চোখ আবারও ভিজে উঠে। জোসনার পুরনো ছবিটির দিকে তাকিয়ে
বলে উঠেন— ‘তোমাকে খুব ভালোবাসি জোসনা’।
ষোলই ডিসেম্বর গড়িয়ে আসে বিশ ডিসেম্বর। মুক্তিযোদ্ধারা ফিরে
আসছেন ! পথ চেয়ে আছেন জোসনা।
না, আরশ আলীর আর ফিরে আসা হয় না। খবর আসে—
সুনামগঞ্জে একটি নতুন বধ্যভূমির সন্ধান পাওয়া গেছে।
ছুটে যান শত পিতা, মা, ভাই-বোন। ছুটে যান জোসনা।
একটি লালশার্ট, সেই গামছা— দেখেই আর্তনাদ করে উঠেন
জোসনা। ‘আরশ- আরশ’ বলে কেঁদে উঠেন একজন বৃদ্ধা মা।
খোদার আরশ কি কেঁপেছিল সেদিন !
কেঁপে উঠে স্বাধীন বাংলাদেশ ! নুয়ে আসে পতাকার লালসবুজ ছায়া।
loading...
loading...
সুন্দর কবিতা প্রিয় কবি প্রিয় ইলিয়াস ভাই।
loading...
ভালো লিখা প্রিয় ইলিয়াস ভাই।
loading...
সুন্দর কবিতা দাদা।
loading...