জোটচিত্র ও ঐক্যের নীতিগত দিক

বাংলাদেশে এখন রাজনীতি নির্বাচননির্ভর। অনেক কিছুই ঘটছে। অনেক কিছুই ঘটবে। সবচেয়ে বড় চমকের বিষয় হচ্ছে, এখন জোটবদ্ধ রাজনীতি। অনেক অপরিচিত রাজনীতিক এখন তাদের দলকে জোটভুক্ত করতে মরিয়া হয়ে আছেন। সংখ্যা বাড়াতে চান তারা। তাদের ভোটের মাঠে শক্তি কেমন- তা দেশের মানুষের অজানা নয়। তারপরও তারা নির্বাচনে অংশ নিতে চান। এজন্য জোট চাই।

ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি জোট বেশ সক্রিয়। এই জোটে কারা আছেন- তাদের বাংলাদশের মানুষজন চেনেন। তবে হঠাৎ করে কিছু কথাবার্তা মানুষকে চমকে দিচ্ছে। আসলে এই সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কে কার পারপাস সার্ভ করছে তা বলা খুবই কঠিন।

হঠাৎ করেই কামাল হোসেন বলেছেন-নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া কিংবা রাষ্ট্রীয় কোনো পদ পাওয়ার ইচ্ছা তার নেই। অথচ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর সবাই জানে তিনি ক্ষমতায় যাওয়ার রাজনীতি গরম করতে এসেছেন!

সংসদ ভেঙে, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায়ে বিএনপিকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছেন কামাল হোসেন। এই জোটে আ সম রবের জেএসডি ও মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্যও রয়েছে। একটি সংবাদ সম্মেলন করে ড. কামাল হোসেন বলেছেন- ‘যারা ক্রমাগতভাবে আমার বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ, ভিত্তিহীন ব্যক্তিগত আক্রমণ করে চলেছেন, তাদেরকে আমি এ বিষয়টি স্পষ্ট করে দিতে চাই যে, নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বা কোনো রাষ্ট্রীয় পদ পাওয়ার ইচ্ছা আমার নেই।’

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কোনো নির্বাচনী জোট নয় বলেও দাবি করেন জোটের এই উদ্যোক্তা। তিনি বলেছেন, ‘এই যে আমাদের একটা ঐক্য হয়েছে কয়েকটি পার্টি মিলে, এটা শুধু নির্বাচনকে নিরপেক্ষ করার স্বার্থেই হয়েছে। শুধু ইলেকশনকে অবাধ-নিরপেক্ষ করার ব্যাপারে আমরা সবাই একে অপরকে সহযোগিতা করব। এটা কোনো ইলেকশন এলায়েন্স অথবা ইলেকশন করার ব্যাপারে না। আমি জানি যে এরকম প্রশ্ন আপনাদের মাথায় আসতে পারে, এই জন্য ক্লিয়ার করছি। ইলেকশনকে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ারের জন্য আমরা সবাই মিলে দায়িত্ব পালন করব, ঘোরাঘুরি করব।’

প্রশ্ন আসতেই পারে এটা কি তবে একসাথে ঘোরাঘুরির নির্বাচন? তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘আমরা মনে করি জনমত গঠন করার প্রয়োজন আছে, এই জন্য আমরা কাজে নেমে গেছি। আজকে এখান থেকে শুরু হলো, কালকে সিলেটে যাব, চট্টগ্রাম যাব, রাজশাহী যাব, আবার ঢাকায় ফিরে আমরা একসাথে মিলিত হব। এখানে নাগরিক সভা হবে।’

এই যে এতগুলো সভা তা কি তবে যৌথ নির্বাচনের জন্য নয় ? মানুষ জানতে চাইছে। এদিকে একটি মাননাহির মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। এর পরপরই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে সক্রিয় মইনুল হোসেনের একটি অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে। যাতে বিএনপিতে তারেক রহমানের নেতৃত্ব ‘ধ্বংস’ করার কথা বলতে শোনা গেছে তাকে। এই অডিও ক্লিপে কথোপকথনে এক প্রান্ত থেকে জনৈক মজুমদার জানতে চেয়েছেন, ‘রিউমার উঠেছে আপনি আর কামাল হোসেন লন্ডন যাচ্ছেন তারেকের সঙ্গে দেখা করার জন্যে?’

তখন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেন , ‘তারেকের সঙ্গে আমরা মিটিংয়ে যাব? এটা কোথাকার ছাগল?… গোট না কাউ? ড. কামালসহ তারেকের সঙ্গে দেখা করতে যাব? আমরা তারেকের নেতৃত্ব ধ্বংস করার জন্যে ড. কামালকে আনছি।’

একই ফোন কলে মইনুল বলেছেন, ‘জেলের ভাত কয়েকদিন খেতে হবে আমাকে। সেজন্য রেডি হচ্ছি। আজকে তো বেইল নিয়ে এলাম। কেইস করলো দুইটা। মামলা কামলার নামই তো রাজনীতি। ঠিক আছে করুক। দেখি।’ এসব নিয়ে অনেক কথাই বলা যায়। ড. কামাল হোসেন তারেক-খালেদার কথা বলছেন উচ্চস্বরে। তাদের মুক্তি চাইছেন। আর মইনুল বলছেন ভিন্নকথা। তাহলে ঐক্যের নামে আসলে কী হচ্ছে!

আরেকটি বিষয় এখন উল্লেখযোগ্য হয়ে পড়েছে। রিয়াদ থেকে ফিরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাতে তিনি ব্যারিস্টার মইনুলকে একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর ‘দালাল’ বলেছেন। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহকর্মী তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ছেলেকে একাত্তরে শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন হত্যাকাণ্ডের জন্যও দায়ী করেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। তিনি বলেছেন- ‘সে কে তা জানেন? একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দালালি করে বেড়াত। ইত্তেফাক থেকে যে সিরাজুদ্দীন হোসেনকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল, এর জন্য তো সেও কম দায়ী না, অন্তত আমি এতটুকু বলতে পারি।’

এটা বাংলাদেশের মানুষ জানেন, মানিক মিয়ার ছেলে ব্যরিস্টার মইনুল জরুরি অবস্থার সময় সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারে উপদেষ্টা ছিলেন। ওই সময় দুই নেত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এক সময় ইত্তেফাকের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মইনুল এখন নিউ নেশনের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ও প্রকাশক। বাবার সম্পত্তি ভাগাভাগির পর ইত্তেফাকের মালিকানা পেয়েছেন তার ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, তিনি শেখ হাসিনার সরকারে মন্ত্রী হিসেবে রয়েছেন। শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সে (মইনুল) ইত্তেফাকে একটা মার্ডারও করে। নিজে মার্ডার করে নিজের ভাইকে ফাঁসানোরও একটা প্রচেষ্টা চালিয়েছিল।’ এসব বিষয় কি তবে এখন আবার বেরিয়ে আসবে? সেই খুনের জন্য কে প্রকৃত দায়ী তা কি খতিয়ে দেখবে সরকার! তা নিয়ে এখনই কিছুই বলা যাবে না।

বাংলাদেশে বর্তমান সরকারকে হটাতে নানা মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। তেমনি একটি ডাহা মিথ্যা কথা বলেছেন মাহমুদুর রহমান মান্না। ইসলামি ছাত্রসংঘের রাজনীতি দিয়েই তার হাতেখড়ি বলে চাউর আছে সর্বত্র। তার কথায় তার গভীর পাকিস্তান প্রেম বেরিয়ে এসেছে।

মাহমুদুর রহমান মান্না সম্প্রতি নাগরিক টেলিভিশনের টকশোতে এসে পাকিস্তান বন্দনায় মুখর হয়েছেন। ওই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের চেয়ে পাকিস্তান অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। মান্নার এহেন মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে দেশজুড়ে। কারণ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সূচক বলছে, অর্থনীতি, সামাজিক অগ্রগতিসহ প্রায় সকল ক্ষেত্রেই পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।

নাগরিক টেলিভিশনের টকশোতে বাংলাদেশকে ‘উন্নয়নের রোল মডেল’ বলে বহুল ব্যবহৃত বাক্যাংশকে চ্যালেঞ্জ করতে গিয়ে মান্না বলেন, ‘বাংলাদেশ কোন দেশের রোল মডেল বলেন তো? পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা আমাদের চেয়ে ভালো। যাকে আমরা সবচাইতে সমালোচনা করি।’

মান্নার এমন মন্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করে সঞ্চালক তাকে পাল্টা প্রশ্ন করেন ‘পাকিস্তানের অবস্থা আমাদের চেয়ে ভালো?’ উত্তরে মান্না বলেন, ‘হ্যাঁ, ডেফিনেটলি। তাদের গ্রোথ ইয়ে টিয়ে সব দিক থেকে অনেক বেশি স্টেবল এবং তাদের ইনস্টিটিটিউশনগুলো অনেক বেশি স্টেবল।’

অথচ দেখা যাক বাস্তবতা কি ? ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ২৪ বছর পাকিস্তান নামক এক অদ্ভুত রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত ছিল বাংলাদেশ বা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান। পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিমাতাসুলভ আচরণের কারণে ওই ২৪ বছরে পূর্ব পাকিস্তানে বলতে গেলে কোনো রকম উন্নয়নই হয়নি। অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক সর্বক্ষেত্রে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছিল পূর্ব পাকিস্তানকে। পাকিস্তানের মোট জাতীয় বাজেটের সিংহভাগ বরাদ্দ থাকত পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। ১৯৫০ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত ২০ বছরে পশ্চিম পাকিস্তানের প্রাক্কালিন ব্যয় ছিল ১১,৩৩৪ কোটি রূপি আর পূর্ব পাকিস্তানের প্রাক্কালিন ব্যয় ছিল ৪,৫৯৩ কোটি রূপি। তাছাড়া ১৯৪৭- ১৯৭০ সাল পর্যন্ত মোট রফতানি আয়ে পূর্ব পাকিস্তানের অংশ ছিল ৫৪.৭ শতাংশ। কিন্তু রফতানি আয় বেশি করলেও পূর্ব পাকিস্তানের জন্য আমদানি ব্যয় বরাদ্দ ছিল মাত্র ৩১.১ শতাংশ। রফতানি উদ্বৃত্ত অর্থ পশ্চিম পাকিস্তানের আমদানির জন্য ব্যয় করা হতো। আর জন্মলগ্ন থেকে পাকিস্তানের তিনটি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গৃহীত হয় যার প্রত্যেকটিতেই পূর্ব পাকিস্তানের চেয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দ ছিল দ্বিগুণ।

রাজনৈতিক ভাবেও পূর্ব পাকিস্তানকে শোষণ করেছে পশ্চিম পাকিস্তানিরা। পূর্ব পাকিস্তানি নেতাদের সরকার গঠনের সুযোগ না দিতে অন্যায়ভাবে ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন বাতিল করে সরকারকে উচ্ছেদ করে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী। পরবর্তীতে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জিতে আওয়ামী লীগের সরকার গঠনের কথা থাকলেও পশ্চিমা পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রে তা বানচাল হয়ে যায়।

সত্যগুলো হচ্ছে- গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট (জিডিপি) বা মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম সূচক। জিডিপিতেও পাকিস্তানের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানি ওয়েবসাইট দ্যা কান্ট্রি ইকোনমির তথ্য থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালে পাকিস্তানের জিডিপির হার ছিল ৫.৭ শতাংশ আর বাংলাদেশে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে জিডিপির পরিমাণ ছিল ৭.৪ শতাংশ। আ স ম আবদুর রবের ক্ষমতার রাজনীতি বাংলাদেশের মানুষের জানা। তিনি এরশাদের বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগের মন্ত্রীও হয়েছিলেন। বহুধা বিভক্ত জাসদের একাংশের নেতা তিনি।

গত ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জেএসডি আয়োজিত ‘গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার : প্রেক্ষিত ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনার আ স ম রব বলেছেন- ‘রক্ত দিতে হবে, মাঠে নামতে হবে এরপর সরকারকে হটাতে হবে।’

গোলটেবিল-সমাবেশ করে দাবি আদায় হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করা যায় না। প্রথমে হবে সরকার হটানোর, দাবি আদায়ের আন্দোলন। এরপর হবে বাংলার মাটিতে নির্বাচন। তার আগে বাংলার মাটিতে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।’

জেএসডির প্রধান বলেছেন, ‘আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করে জনগণের সরকার কায়েম করা হবে। সে সরকার হবে যুক্তফ্রন্ট নেতৃত্বাধীন সরকার। ওই সরকার সবসময় জবাবদিহিতার ভেতরে থাকবে। জবাব দিতে না পারলে সরকার তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষমতা ছেড়ে চলে যাবে।’

এভাবে না না কথা বলা হচ্ছে ঐক্য প্রক্রিয়া থেকে। এটা রাজনীতির নৈতিক ঐক্য যে নয়- তা বেশ স্পষ্ট। তাই শেষহ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে, এসব ঐক্য কতটা স্থায়ী হয় নির্বাচন পর্যন্ত। একটি কথা মনে রাখা দরকার, এই দেশটি ৩০ লাখ শহীদের রক্তঋণ। একাত্তরের চেতনার সাথে মোনাফেকি করে বাংলাদেশে রাজনীতি করার প্রচেষ্টা জনগণ মেনে নেবে না। কারণ এই দেশে এখনও প্রজন্মের মাঝে জাগ্রত রেয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।

ফকির ইলিয়াস: কবি, সাংবাদিক। প্রথম প্রকাশ এখানে।

GD Star Rating
loading...
GD Star Rating
loading...
এই পোস্টের বিষয়বস্তু ও বক্তব্য একান্তই পোস্ট লেখকের নিজের,লেখার যে কোন নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব লেখকের। অনুরূপভাবে যে কোন মন্তব্যের নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্তব্যকারীর।
▽ এই পোস্টের ব্যাপারে আপনার কোন আপত্তি আছে?

৩ টি মন্তব্য (লেখকের ০টি) | ৩ জন মন্তব্যকারী

  1. সৌমিত্র চক্রবর্তী : ২৪-১০-২০১৮ | ৮:২৮ |

    বাংলাদেশ রাজনীতি নির্বাচন নির্ভর। অনেক কিছুই ঘটছে। অনেক কিছুই ঘটবে। কথাটি সর্বৈব সত্য।

    GD Star Rating
    loading...
  2. মুরুব্বী : ২৪-১০-২০১৮ | ১২:১২ |

    একাত্তরের চেতনার সাথে মোনাফেকি করে বাংলাদেশে রাজনীতি করার প্রচেষ্টা জনগণ মেনে নেবে না। কারণ এই দেশে এখনও প্রজন্মের মাঝে জাগ্রত রয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

    GD Star Rating
    loading...
  3. রিয়া রিয়া : ২৪-১০-২০১৮ | ১৯:২০ |

    বাংলাদেশের রাজনীতি দিন দিন কেমন জানি ঘোলাটে মনে হচ্ছে। Frown

    GD Star Rating
    loading...