দুটি কবিতা ॥ ফকির ইলিয়াস
যা যা চোখে পড়ছে
………………………………
যা অবশিষ্ট থাকছে সবটুকু মেদ। পুষ্টিহীন পাঁজর কিংবা
ধ্যানহীন মুণ্ডুকে আমরা মেধাবী বলবো কী না –
তা বিবেচনা করছি পুনর্বার। দেখছি, আগেই যাদের
মুণ্ডুপাত ঘটেছে, তারা এখনও দখল করে রেখেছে
সংবাদের শিরোনাম। আর যারা জল তুলতে নদীঘাটে গিয়ে,
আর ফিরতে পারেনি- তাদের প্রতিই জগতের
সকল সমবেদনা…..
আমাদের অনেকেই জানি না দেনা ও বেদনার পার্থক্য।
যা কিছু চোখে পড়ে, তাকেই বলি বিচিত্র! অপূর্ব!
সবুজের অনুগামী ছিল যে পাতা, পাতার বুকে ডুবেছে
যে ক্লোরোফিল – তার কাছে যেতে ভয় হয় আমাদের।
চোখের চৌহদ্দি, এভাবেই হয়ে উঠে আমাদের সীমিত
পৃথিবী ও পরিপথ।
@
কেশবপুর
……………………
কালের কুশল জানতে চাই। বলি- এলোকেশী, কালোই তোমার দেশ !
না- বলে মুখ ফিরিয়ে নাও তুমি। বলো- চাঁদেই ছড়িয়ে দিতে চাই
এই ঘন অন্ধকার। আমি হেসে উঠি
চাঁদকেও চুল দিয়ে সাজানো যায়, তা আমার জানা ছিল না।
তবে এটা জানা ছিল,
কেশবপুর যাবার উদ্দেশে আমরা যে রাতে হাত ধরাধরি করে
ক্বীনব্রীজ পেরিয়েছিলাম, সে রাতে পুনর্বার ঝলসে উঠেছিল
সুরমা’র জল।আর নক্ষত্রগুলো ছুটেছিল আমাদের পিছু পিছু।
তবে কী প্রেমের কাছে হেরে যায় এই ভুলের বিদ্যুত
আর পথ এসে খুঁজে পথিকের নাম !
আহা ঝড়, আহা ফুলের নগর
এ শহরে আমিও একদিন পথিক ছিলাম।
loading...
loading...
পরিচ্ছন্ন দুটি কবিতা। অভিনন্দন প্রিয় কবি প্রিয় ইলিয়াস ভাই। শুভ সকাল।
loading...
অত্যন্ত সুনিপুন সৃষ্টি!
আপনার লিখা দীর্ঘ সময় নিয়ে পড়ি আমি ।
আজ আবারও পড়লাম …..মুগ্ধতা রাখছি ।
loading...
"আমাদের অনেকেই জানি না দেনা ও বেদনার পার্থক্য।
যা কিছু চোখে পড়ে, তাকেই বলি বিচিত্র! অপূর্ব!"
দুটি কবিতাই খুব ভাল লাগল তবে এই দুটি লাইন কোট না করে পারলাম না। দারুণ বলেছেন প্রিয় কবি

loading...
শুভেচ্ছ নিন কবি দা।
loading...