পিতা নাবিক ছিলেন, তাই

পিতা নাবিক ছিলেন, তাই ♦

“দরিয়া”, “কিনার”- শব্দগুলো খুব প্রিয় ছিল তাঁর। তিনি
ঢেউকে পোষ মানাতে জানতেন। সমুদ্র দিওয়ানা হবে
এমন আগাম বার্তা পৌঁছে যেতো তাঁর কাছে। আর
আকাশের দিকে তাকিয়ে তিনি প্রতিরাতেই জানতে
চাইতেন মেঘের কুশল। সেই মেঘ ছিলেন আমার মা।

দরিয়া নিয়ে নিয়েছিল পিতার পাঁজরের দখল। তাই
দরিয়ার প্রতি মায়ের খুব ঈর্ষা ছিল। মা’র স্পর্শ পাওয়া
আমি, এভাবেই হয়ে উঠেছিলাম সমুদ্র বিমুখ। বন্যার
ঢেউ দেখলেই মনে হতো, সাগর আমার দিকে তেড়ে আসছে।

এখন সমুদ্র বিহারে গেলেই আমি চুপচাপ বসে থাকি।
আমার দুহাত চেপে ধরে থাকে আমার দু’ মেয়ে।
প্রিয়তমা, আমার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলেন-
ওই দেখো, কত সুন্দর বাড়ন্ত চাঁদ। দু’ মেয়ে ঢেউয়ের
গর্জনে খুঁজে পিতামহের মুখ। আমি শুধুই কান পাতি-
কাপ্তানের হুইসেল, আমার ভাবনাকে ভেদ করতে পারে না।

GD Star Rating
loading...
GD Star Rating
loading...
এই পোস্টের বিষয়বস্তু ও বক্তব্য একান্তই পোস্ট লেখকের নিজের,লেখার যে কোন নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব লেখকের। অনুরূপভাবে যে কোন মন্তব্যের নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্তব্যকারীর।
▽ এই পোস্টের ব্যাপারে আপনার কোন আপত্তি আছে?

৩ টি মন্তব্য (লেখকের ০টি) | ৩ জন মন্তব্যকারী

  1. রিয়া রিয়া : ০৬-০৫-২০১৮ | ২০:৩৩ |

    সুন্দর এবং মননশীল। 

    GD Star Rating
    loading...
  2. মুরুব্বী : ০৬-০৫-২০১৮ | ২৩:২৮ |

    কবিতার জন্য ধন্যবাদ প্রিয় ইলিয়াস ভাই।

    GD Star Rating
    loading...
  3. আলমগীর সরকার লিটন : ০৭-০৫-২০১৮ | ৯:৫২ |

    বেশ নতুনত্ব পেলাম কবি দা

    অনেক শুভেচ্ছা নিবেন ———-https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_flowers.gif

    GD Star Rating
    loading...