রাতের রত্নরাগ দেখে নির্ণয় করেছিলাম ঘ্রাণের আভাস। তখন
ছিল শীতকাল। ক’দিন পরই আসবে বসন্ত ; এমন ঘোষনায়
প্রকৃতিও ব্রত ছিল মৌলিক আরাধনায়। আর নদীসূত্রের ভোর,
শুয়েছিল ঘাসঘেরা চরের কোলে। আমরা আগে-পিছু হয়ে ধীরে
পেরিয়েছিলাম সেই নদীভোর। যাবো না কোথাও – জেনেও
হেঁটেছিলাম সূর্যের মুখোমুখি। দেখে দেখে কান্তকিরণ। একটা
প্রজাপতি উড়ে গিয়েছিল ঠিক সামনে দিয়েই। পতঙ্গও প্রীতিরেখা
আঁকে, তা আমার জানা হয়েছিল সেই প্রথম। আমি বলেছিলাম,
‘প্রজাপতির প্রজা হতে চাই’। তুমি হেসেছিলে- বলেছিলে, ‘তুলি
হাতে চিত্রকর হবে না ?’
আঁকায় আমার অবিশ্বাস ছিল না কোনোকালেই। আমি তো
আঁকতেই চেয়েছিলাম, জন্মঝড়, ঋতুঋণ, বর্ষাবৃত্তান্ত, পুষ্পপরিধি
…… আরো অনেক কিছুই। এঁকে এঁকে ভাসিয়ে দিতে চেয়েছিলাম
সেই দীর্ঘদীঘিতে, যেখানে একদা ছিল তোমার সাঁতার সাম্রাজ্য।
সেই থেকে শুরু, আজও আঁকি। তরুণ কবিকে করে যাই নিমন্ত্রণ
সেই নিমফুলের মাঠে। ঘাটে দাঁড়িয়ে, দেখি প্রেমের হাত ধরাধরি।
তুমি যেভাবে বসেছিলে আমার হাতধরে, আজ থেকে অষ্টদশ বর্ষ
আগে, চাঁদগাঙে ভাসিয়ে দিয়ে তরী।
loading...
loading...
তুলিকাব্য। অসাধারণ একটি লিখা। আমার কাছে ভালো লেগেছে প্রিয় ইলিয়াস ভাই।
loading...