এই নির্জনে
বাইরে ঝিমঝিম করে পড়ন্ত দুপুর।
ভারী নির্জন, নিরিবিলি অথচ কোমল রোদে ঝলমলে।
মস্ত মস্ত ঘরের ঘুলঘুলি, বারান্দায় ওপরের কড়ি বর্গায়
নানান জাতের পায়রা নড়াচড়া করে আর ডেকে ওঠে।
পড়ন্ত দুপুরে পায়রার গদগদ স্বরের ডাক এক অদ্ভুত মায়া তৈরি করে।
শব্দের কি কোন আকার আছে?
শব্দরা সম্ভবত নিরাকার।
তবু পায়রার বুকুম বুকুম শব্দের আকার
গোল মনে হয় আমার,
তুলোর বলের মত গোল।
স্টিমারের হুইছালের
বাঁশির শব্দটি কি সরু ও দীর্ঘ মনে হয়!
সেতারের ঝনৎকার
যেন ফুলঝুরির বহুবর্ণ কেন্দ্রতিগ অগ্নিবিন্দু।
এজরাসের ছড় টানলেই
মনে ভেসে ওঠে তন্তুজালের মত আকৃতি,
অদৃশ্য এক মাকড়সা অদ্ভুত দ্রুতলয়ে বুনে চলছে।
পশু-পাখির আত্মজন নেই, সংসার নেই।
তবু পায়রারা গদগদ শব্দে এ কী কথা কয়?
ধ্বনিগুলোকে পরস্পর আলিঙ্গনে জড়িয়ে নিয়ে
ক্রমাগত বুনন চলায় মাকড়শার মতো,
তাতীবাড়ির একটানা ঠকঠককের মতো,
কাঠঠোকরার একটানা ঠোকরের মতো,
সেতারের ঝনৎকারের ফুলঝুরির মতো
এজরাসের ছড় টানার ঐক্যতানের মতো
বুকুম বুকুম স্বরে আপ্লুত হতে থাকা আত্মজনহীন, সংসারহীন পায়রারা
এই নির্জনে আমাকে স্মৃতিময় এক সুন্দরীর কথা কয়!
loading...
loading...
ওয়াও, কবি দারুন ❤️❤️❤️❤️
loading...