ভাদ্রমাস।
শুক্লপক্ষের জ্যোছনায় ভেসে যাচ্ছে আকাশ।
হালকা ধাচের সাদা মেঘ অরূপ মায়ার সাজে
খানিক আধারে চুমু দিয়ে ছুটে চলে যায় লাজে!
চারদিকে দিগন্তজোড়া দালানের উঁচু নিচু ছাদ।
পাতাভরা গাছের মাথায় উঁকি দিয়ে চাঁদ-
যাচ্ছে লুকোচুরি খেলে
সুন্দর আজ প্রাঙ্গনে হেসেছে অবগুণ্ঠন মেলে।
এই যে আকাশ ভরা তারা
সংখ্যাতে হতে হয় দিশেহারা
বৈচিত্র্যময় গ্রহ, নক্ষত্র, উল্কা, ধুমকেতু
নীহারিক, গ্যালাক্সি ঘূর্ণন হেতু
কোথা থেকে কোথা চলছে ছুটে
আমিও তাদের অংশ হয়ে থাকি চিত্রপটে।
এই যে জলবাহী পবনের উড়ন্ত স্রোতধারা
আছড়ে পড়ে মিটায় জমিনের খড়া
গাছ গাছালি মাটি ফুড়ে এসে
কেঁপে কেঁপে উঠে প্রাণের উল্লাসে।
আগে শুন্য, অজানা রইল পর
শুধু এইখানে আজ বুঝি এই আনন্দ খেলাঘর!
আমার হৃদয়ের অপার্থিব স্পন্দিত ফল্গুধারা
সাগর- ঊর্মি, হরিত- প্রান্তর, প্লাবিত বসুন্ধরা
আমারে ডুবায়ে নিয়ে যায়, ভাসায়ে নিয়ে যায়,
আমারে না জানি কোথায় হারাইয়া লইয়া যায়!
loading...
loading...
অসাধারণ সব রূপক উপমায় ভালোই উঠে এসেছে লিখাটি। লিখক মাত্রই যেমন অতৃপ্ত থাকেন তাঁর যাবতীয় লিখায়; তেমনি একজন পাঠক তার মন-বিশ্বাসে যখন একটি লিখাকে হৃদয়ে ধারণ করে নেন, তখন তাতে যত পরিবর্ধন বা মার্জন সংস্করণই আসুক না কেন … ভালোই বেসে যাবে। অভিনন্দন প্রিয় কবি ফকির আব্দুল মালেক। শুভ সন্ধ্যা।
loading...
অনেক শুভেচ্ছা রইল কবি দা
loading...
অসাধারণ শব্দচয়ন। পাঠে মুগ্ধতা রেখে গেলাম।
loading...