পাঁচ লক্ষ কোটি টাকার ‘মাইডাস টাচ’ বাজেট স্পর্শে,
ক্ষুধা কাতর মানবাত্মার হলো কি কোনো পয়মন্ত প্রাক্কলন?
কথা ছিলো মধ্যম আয়ের এই দেশে বাজেট স্পর্শে
ক্রমশ বিলীন হবে অবিনাশী দারিদ্র্যের প্রলয় অশ্রুজল I
অতলান্ত উন্নয়নের জোয়ার, সুখ সমৃদ্ধির প্লাবনে
ইদানিং খুব মনে পরে,
ছোট বেলায় পাঠশালায় পাঠ্য আম চুরির গল্পটা।
গাছের নিচে পরে থাকা একটি আমি কুড়িয়ে নিয়েছিল
ছোট আনোয়ার, আমবাগানের মালিকের অজান্তেই।
চুরির অপবাদ, মাস্টার সাহেবের বেত্রাঘাত, সহপাঠীদের গঞ্জনা
আম কুড়ানোর কোনো সুখ পায়নি আনোয়ার।
মাস্টার সাহেব শিক্ষা দিয়েছিলেন তাকে,
পরের
তোমার হাতে দেব বলে বহু দিনের অপেক্ষা আমার,
পবিত্র একটি গোলাপের।
যে গোলাপ মধুকরের গুঞ্জন শুনবে না,
অসূর্য্যস্পর্শা কোনো আধার যার পাপড়ি ছোঁবে না।
শুধু রাতের শিশির ঝরবে যার গায়ে
মুছে দিতে দিনের ধুলো, ধোয়া, ক্লান্তি এবং ক্লেদ।
তোমার হাতে দেব
দিগন্ত জোড়া সাগর জলে ভাসা জীবন ছিল তোমার
তবুও এতটুকু তৃষ্ণা মেটেনি, টেন্টালাস !
হাত বাড়ালেই সাগর,
তবুও কি দুর্লভ জলহীন তৃষিত এক জীবন কাটলো !
তাই বুঝি হাজার বছর পরে পুনর্জন্ম নিলে টেন্টালাস,
ষোলো কোটি জনগণের
ফটো : ইন্টারনেট (প্রথমআলো)
রাজা নেংটো হয়েই হাঁটছিল রাজপথে,
সবাই কিন্তু দেখতেও পাচ্ছিলো তার নগ্ন পদচারণা !
তবুও সবাই চিৎকার, উচ্ছাস উল্লাসে বাগবাগ,
তোষামুদেরা সব সুর করে বলছিলো,
আহাহা কি সুক্ষ, কি অপূর্ব সুন্দর, রাজকীয়
আমাদের রাজা মশাইয়ের পরিধেয়
বাংলা দেশের স্বাধীনতার গল্পটা কিন্তু সবাই জানে,
তবুও সবাই ভুলে যায়, বার বার ভুলে যায় গল্পটা।
কোটি মানুষের মুখের ভাষা স্তব্ধ করতে
কায়েদ-ই-আজমের শব্ধ সন্ত্রাস
মৌলিক গণতন্ত্রের মোড়কে ছিনতাই স্বাধীনতা!
তখনো সরকার সমর্থক কিছু বুদ্ধিজীবী, কিছু মিডিয়া,
তারস্বরে বলেছিলো
সরকারি, বেসরকারী, গোপন, প্রকাশ্য জরিপের ভিত্তিতে
জানি, তোমাকে ছাড়া বহতা ব্যস্ত জীবন হবে স্তব্ধ নদী।
কোনো ভালোবাসা সেতু নির্মিত হবে না, স্যাটেলাইট উড়বে না,
বেশুমার লুটপাট হবে ভালোবাসার ব্যাংক, স্টক মার্কেট।
তোমার বৈধতা ছাড়া হতে পারে