একাডেমিক পরীক্ষা হলে তিন ধরনের পরীক্ষার্থী থাকে।
এক, যারা পুরো বই পড়ে পরীক্ষা দিতে আসে না। শুধু মাত্র সাজেশনের উপরে ভরসা করে।
দুই, যারা সম্পূর্ণ বই পড়ে পরীক্ষা দিতে আসে। কিন্তু সঠিক উত্তর দিতে বার বার গুলিয়ে ফেলে।
তিন, যারা সম্পূর্ণ বই ও রেফারেন্স পড়ে আসে এবং সঠিক উত্তর লেখে।
পরীক্ষা হলে এই তৃতীয় শ্রেণির পরীক্ষার্থী কখনই দশ পনের শতাংশের বেশি হয় না। তাই একাডেমিক পরীক্ষায় কখনই কোন ছাত্রছাত্রীকে খুব কম বা ফেল করার মত প্রশ্ন অনুযায়ী নম্বর দেওয়া উচিত নয়। আর প্রশ্ন যেন মোটামুটি সহজ ও প্রাঞ্জল হয়। ঘোরানো প্যাঁচানো প্রশ্ন না করাই উচিত। যেখানে এই নম্বরের উপর ভিত্তি করে কোন শিক্ষার্থী তার ভবিষ্যৎ গড়ে। যার পাওয়া উচিত সে যেন সর্বোচ্চ নম্বর পায়।
তাহলে সেই পরীক্ষার্থীর মধ্যে ব্যক্তি কনফিডেনস গড়ে উঠবে। ভবিষ্যতে সে অনেক বড় কিছু করতে পারবে।
যদি সে একটু কঠিন ঘোরানো প্যাঁচানো প্রশ্নের জন্য ভালো নম্বর না পায় তাহলে ভবিষ্যতে আরো ভালো কিছু পড়ার সুযোগ সে পাবে না। দেখা গেছে, এ রকম বহু ছাত্রছাত্রী আছে যারা দশম দ্বাদশে ভালো নম্বর পায় নি কিন্ত যাই হোক করে ভালো কিছু পড়াশুনা করার সুযোগ পেয়ে গেল। তারপর সেই ছাত্রছাত্রী বিশ্ব জয় করেছে। এবং সব দিক দিয়ে সেরা হয়েছে।
কোন ছাত্রছাত্রী যদি এই একাডেমিক নম্বরের জন্য কোন ভালো সুযোগে থেকে বঞ্চিত হয়ে যায় তাহলে তার চেয়ে দুর্ভাগ্যের আর কিছু হতে পারে না।
সহজ করে বলা যায় একবার জয়েন্টে সাফল্য পাওয়া অনেক ছাত্রছাত্রী একাডেমিক পরীক্ষায় দু একটা বিষয় অনুপাতে ৭৫ শতাংশ নম্বর পায় নি ফলে সে সারা জীবনের জন্য ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পড়া থেকে বঞ্চিত হয়ে গেল। সেইসব ছাত্রছাত্রী খারাপ পরীক্ষার্থী তা কিন্তু বলা যায় না। বরং বলা যেতে পারে সেবার প্রশ্নপত্র ঘুরিয়ে প্যাঁচিয়ে কঠিন করে করা হয়েছিল। মোট পরীক্ষার্থীর প্রায় ২০/২৫ শতাংশ ছাত্রছাত্রী প্রায় প্রতি বছর এই রকম অবস্থার মধ্যে পড়ে।
মনে রাখতে হবে, শুধুমাত্র একাডেমিক নম্বরের উপর ভিত্তি করে কোন কাজ পাওয়া সম্ভব নয়। বরং একাডেমিক পরীক্ষার নম্বরের উপর ভিত্তি করে কাজ পাওয়া যাবে এরকম বৃত্তিমূলক পড়াশুনা করতে পারে। যা সম্পূর্ণরূপে অন্যধারার পড়াশুনা। তাই একাডেমিক পরীক্ষায় কঠিন ঘোরানো প্যাঁচানো প্রশ্ন করা উচিত নয়।
loading...
loading...
আপনার মতামতের সাথে সম্মতি জ্ঞাপন করছি।
loading...
অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন
loading...
যারা সম্পূর্ণ বই ও রেফারেন্স পড়ে আসে এবং সঠিক লেখে। এই শ্রেনীর শিক্ষার্থীর সংখ্যাই আমাদের বাড়াতে হবে। তবেই না দেশ এগুবে। দেশের জন্য দশের জন্য মানুষ তৈরি হোক।
loading...
দেশের জন্য মানুষ তৈরি করতে শিক্ষকের ভূমিকা সবার চেয়ে বেশি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় আজকাল স্কুলে আর পড়ানো হয় না। শিক্ষক আছেন কিন্তু ক্লাসে আসেন না। ফলে টিউশন নির্ভরতায় কতটুকু আর ভালো শিক্ষার্থী আসবে?
ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
loading...
সম্মতি
loading...
ধন্যবাদ
ভালো থাকবেন
loading...
তৃতীয় শ্রেণীভূক্ত যারা তারা মনের আনন্দে পড়ে এবং পরীক্ষার খাতায় লেখে। এতে তাদের সার্টিফিকেটে স্থান পাবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। স্থান পেলে কী যে আনন্দ হয় তা কেবল সেই ছাত্রই জানে! কিন্তু কর্ম জীবনে এসব কেউ তাকিয়েও দেখেনা!
তাই আপনার সাথে একমত এই জন্য যে, পরীক্ষার জটিল প্রশ্ন দিয়ে কর্ম জীবনের জটিল কিছুর সমাধান হয়না! আবার দ্বিমত এই জন্য যে, জটিল প্রশ্ন সমাধান করে যারা ভালো ফল করে তারা অনেক দূর যাবার স্বপ্ন অধিকতর স্বচ্ছ ভাবে দেখে!
loading...
মতামতে যৌক্তিকতা আছে।
loading...
যারা জটিল প্রশ্নের সমাধান করে তারা তো অবশ্যই ভালো। কিন্তু যারা এই জটিলে আটকে যায় কিন্তু ভবিষ্যতে খুব খুব উন্নতি করে আমি তাদের কথা বলছি। এই আটকে যাওয়ার জন্য অনেকেই হারিয়েও যায়। তাই একাডেমীক প্রশ্নপত্র সব সময় সহজ হওয়া উচিত।
ভালো থাকবেন।
loading...
আলোচনাটি আমাদের সন্তানদের জন্যও পরামর্শ হিসেবে থাক।
loading...
পরামর্শ সন্তানদের জন্য নয়। শিক্ষকদের জন্য যারা ক্লাসে পড়ায় না কিন্তু প্রশ্ন করেন কড়া। যত মাতম্বরী দেখায় প্রশ্নে।
ভালো থাকবেন
loading...
সহমত
loading...
অনেক ধন্যবাদ
loading...