বিতর্ক – বিপক্ষে
______________
কোন লেখা কিংবা ভাবনা অথবা ছবি আমরা কেন ফেসবুকে পোস্ট করি? লাইক কমেন্ট পাওয়ার জন্য। তাহলে লাইক কমেন্ট লেখার গুণমান নির্ধারণ করবে না কিভাবে? ছবির মর্যাদা বাড়াবে না কিভাবে?
যে লাইক কমেন্টের জন্য হা-পিত্যেশ করে বসে থাকি, লেখাটি পোস্ট করে একটু পরে পরে ফেসবুক খুলছি আর বন্ধ করছি শুধু লাইক কমেন্ট দেখার জন্য, ধন্যবাদ জানানোর জন্য সেখানে লেখার গুণমান কিভাবে নির্ধারিত নয়?
যে লেখে সেইই জানে তার লেখা কেমন। পোস্ট করার সাথে সাথে তার লেখায় লাইক কমেন্টের উপর সে আন্দাজ করতে পারে লেখাটি কেমন। নেট খরচ করে না পড়ে লেখায় কমেন্ট বা লাইক দেয় দু চার শতাংশ। তাও মুখ চেনা কিংবা পরিচিতির জন্য। বাদ বাকী অনেকেই না পড়ে লাইক দিলেও কমেন্ট করে না।
তাছাড়া কমেন্টের মধ্যে কিছু কমেন্ট অসাধারণ দারুণ খুব ভালো ইত্যাদির বাইরেও কিছু বিরূপ কমেন্ট থাকে। যা দেখে লেখক ঠিক বুঝে নেয় তার কী করা উচিত। বেশির ভাগ লেখক নিজেদের ইয়ে ভাবে। তারা যা লেখে তাই ঠিক এবং সেরা। সেসব হাতে অবশ্য গোনা। যারা সবে শিখছে লিখছে আর ভালো লিখতে চায় তাদের জন্য এই ফেসবুকের লাইক কমেন্ট আশীর্বাদের মত। চেনা নেই জানা নেই শুধু লেখা পড়ে নেট খরচ করে যে একটা লাইক দিল একটা ছোট্ট কমেন্ট ‘দারুণ’ লিখল সে আমার প্রাণের চেয়ে প্রিয়।
আর একটু বিরূপ কমেন্ট করলে আরও বেশি আনন্দ হয় যে তিনি লেখাটি পুরো পড়েছেন তাই আমাকে লেখক হিসেবে গ্রাহ্য করেন না। বা আমার লেখাটি সাহিত্য নয়। কিংবা লেখাটিতে কোন লাইক কমেন্ট নেই তার মানে আমি আমার লেখাটি সাহিত্যের পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারি নি। তাহলে গুণমানের হিসেবে লাইক কমেন্ট একশত ভাগ এগিয়ে।
আর যারা সুখ্যাত বিখ্যাত লেখক সাহিত্যের ধারণ বাহক মনে করেন তারা লাইক কমেন্টের আশা যেমন করেন না, তেমনি তাদের বই বিক্রি নিয়েও তারা ভাবেন না। তারা লিখতেই থাকেন। আর ফেসবুকে পোস্ট করেন অথবা করেন না।
loading...
loading...
যদিও আমি লিখি না, তবু ফেসবুকে মাঝেমধ্যে দুই চারটি ছবি পোস্ট করি। ওখানে আমি অবিমিশ্র আনন্দ উপভোগ করি বা পাই। দীর্ঘদিন সেখানে বসবাসের কারণে আমি বুঝি ছবি ক্যাপশন কতজন পড়ে বুঝলেন আর না-বুঝদের সংখ্যা কত ?
এই দো-টানায় স্বল্পমাত্রার সুখ অনুভব করি।
তবে স্পষ্টতঃ বলতে চাই ফেসবুকের লাইক কমেন্ট সাহিত্যের গুণমান নির্ধারণ করে না।
loading...
সহমত হলাম। ভাল থাকবেন
loading...
ফেসবুকের লাইক কমেন্ট সাহিত্যের গুণমান নির্ধারণ করে না >>> এই বক্তব্যের পক্ষে।
loading...
বেশ।
আন্তরিক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
loading...
ফেসবুক এক আজিব চিড়িয়াঘর। ব্লগ আর ফেসবুকের মধ্যে সামান্য রেখাপাত টানি। ব্লগের কোন পোস্টে পাঠক ঢুকে পোস্টটি যদি পড়েই ফেলেন, তাহলে খাতির করে হোক আর ভালো লাগা থেকে হোক একটি স্বাক্ষর তিনি আঁকেন। সমমনা দায়বদ্ধতা থেকে।
ফেসবুক মোবাইলেই থাকুক আর পিসিতেই থাকুক। হুড়মুড় করে নখের ছোঁয়ায় লাইক বাটনে ঘুটঘাট। পাছ আর পাছ। পড়ার টাইম নাই। ৬০ সেকেণ্ডে ১০০ লাইক। আর কী চাই।
ওখানে সাহিত্যের কোন দাম নাই। সাহিত্য বোঝার প্রজ্ঞা ধৈর্য্য থাকেনা।
loading...
৬০ সেকেন্ড ১০০ লাইক কজন দেয়? যাদের চেনা জানা থাকে । বিভিন্ন সম্মেলনে যোগ দেয় যারা।
এর বাইরে অনেকে আছে। আমার কারো সাথে জানা নেই। শুধু ফেসবুক পরিচিতি। আমার কাছে লাইক কমেন্টের খুব মূল্য। ভালো থাকবেন।
loading...
৬০ সেকেন্ডে ১০০ বলতে দ্রুততা বুঝিয়েছি। লাইক কমেন্টের মূল্য তো আছেই।
loading...
ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন
loading...
নিউজফীডে ৫০০ থেকে ৫০০০ বন্ধুদের কীর্তিকলাপ দেখতে তো সময় চলে যায়।
loading...
তাই তো হয়। অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
loading...
ফেসবুকের লাইক কমেন্ট আশীর্বাদের মত।
loading...
আমারও তাই মনে হয়।
loading...
আগে দুটো উদাহরণ দেই। ১টা বড় এবং ১ টা ছোট কমেন্ট।
পাঠকঃ “It’s an excellent story with all basic elements, especially the setting that truly helps me imagine all the series of events portrayed here.
In short stories I usually expect a great first line to hook readers. It happened to me; so I was here till the end. Most important thing is, when I have finished reading the story I feel the theme of the story partly (because of the way you finished the story/last line). I read it again and then I feel it “somewhat complete”. May be it’s a limitation from my end.
I think typical behaviors (for selling books) of new writers have been focused here as the primary plot-line and financial constraint of Imad added here as a sub-plot. Tinni asked her husband Imad to have a selfie with her friend Ela (another new writer) for FB publicity that increased the weight of primary plot-line; I highly appreciate you for this idea.
Every word should count in a short story ("med hinota"
. I have questions about relevance of substantial number of sentences here- are these adding to the plot and supporting the underline messages?“ I’m not sure!
Well written, appreciating highly again!
(NB: I don’t have Bangla font in this device)
1
Edit or delete this
গল্পকারের প্রতিমন্তব্যঃ ”গল্পটি আপনার দৃষ্টি এড়ায়নি বলে আনন্দিত।
আসলে খুব বেশি লাইক কমেন্টের প্রয়োজন নেই, আপনার মত কিছু পাঠক আছে বলেই অনেকেই কষ্ট করে লিখে।
ধন্যবাদ আপনাকে বার দুয়েক পড়ে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
ফেবুর কল্যাণে অনেক লেখকের আবির্ভাব হয়েছে, যারা অন্য কোন মাধ্যমে কোনদিন লিখেনি। আমি নিজেও তাদের একজন। অল্পস্বল্প লিখি।
তবে মনে হচ্ছে নতুন লেখকের সংখ্যা ব্যপক ভাবেই বাড়ছে। এই নতুন লেখকদের প্রচার ও ক্রেতা ফেবু কেন্দ্রিক। এতো বন্ধুরা বই বের করে যে, বই মেলায় যাওয়াই কারও কারও জন্য বিব্রতকর হয়ে দাঁড়ায়।
বই কেনার জন্য প্রত্যেকেরই নিজেস্ব পরিকল্পনা ও বাজেট থাকে। অনেক সময় এর কোনটায় ঠিক থাকেনা। সবচেয়ে বড় বিষয় লজ্জায়, অনুরোধে, কাউকে খুশি করতে অনেকেই বই কিনে কিন্তু বই গুলোর খুব অল্পই পড়া হয় বলে আমার ধারণা।
লেখার থিম আপনার ধারণার সাথে একেবারে মিলে যায়।
আবারও ধন্যবাদ, একরাশ শুভ কামনা।“
দ্বিতীয় উদাহরণঃ
পাঠকের মন্তব্য খুব অল্প কথায় এবং অনেকটা এইরকমঃ “আপনার গল্পের প্রকাশ খুব সরল হয়”
লেখকের প্রতিমন্তব্য দেখিনি। পাঠকের মন্তব্য থেকেই বুঝে গেছি গল্পটার মান। আসলে ওই গল্পকারের লেখা সাধারণত আমি পড়িনা; কমেন্ট তো বহুদূর। কারণ আগে যা পড়েছি সবগুলিই মেধাশূন্য লেখা ছিল। উনি ৪/৫ টা গল্পকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রতিদিন লিখেন। গল্পের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাসিক্সগুলি অনুপস্থিত থাকে। গল্পে মেদ এর পরিমাণ বারো হাত বাঙ্গিতে তেরো হাত বিচির মতই। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ দিক হল উনার লেখায় ভাবের খুবই সরল প্রকাশ থাকে। রহস্য, ব্যঞ্জনা, বহুস্বর এসব ছাড়া গল্প বা কবিতা হয় কী? হয়; তবে বড়জোর সেটা পুঁথি (কাব্যে) অথবা চূর্ণক (যেমন ঈশপের গল্প)।
ওপরের উদাহরণ দুটিতে পাঠকের মন্তব্যই কিন্তু সুস্পষ্টভাবে সাহিত্যের মান নির্ধারণ করে দিয়েছে!
বিতর্কের প্রস্তাবনায় কয়েকটি কী-ওয়ার্ডসঃ লাইক, কমেন্ট, সাহিত্যের গুনমান
লাইক লেখার মানের কোয়ানটিটেটিভ নির্দেশক। তবে এটা কতোগুলো ফ্যাক্টর এবং কনফাউন্ডিং ফ্যাক্টরের ওপর নির্ভর করে। যেমন অনুগত বন্ধু লিস্টের দৈর্ঘ, লেখার মান, লেখকে লেখকে লাইক বিনিময়। এই কোয়ানটিটেটিভ নির্দেশক আসলে খুব কম ওয়েট ক্যারি করে। তাই কেউ যদি বলেন, লাইক এর সংখ্যাগুনে সাহিত্যের মান বিচার করা যাবেনা তবে তা শত ভাগ না হলেও প্রায় ৯০% সত্য (
উইথ ৯০% কনফিডেন্স ইন্টারভাল ????)
তবে কমেন্ট মেটার করে। এটা প্রকৃতই লেখার সাহিত্যমানের কোয়ালিটেটিভ নির্দেশক। একটা লেখায় যদি ৩০ টা কমেন্ট থাকে তার মধ্যে হয়তো ৮-১০ টা কমেন্ট থাকে যা প্রকৃতই লেখাটার সাহিত্যমান নির্ধারণ করে দেয় যেমন ওপরের উদাহরণ দুটিতে দিয়েছে। তবে বাকী ২০ টা কমেন্ট যতোটা না লেখাটার মান নির্ধারণ করে তারচে বেশি হয়তো পাঠকের সাহিত্য বোধকে!
loading...
একদম সঠিক বলেছেন। আপনার দীর্ঘ মন্তব্যেও আমি আমার লেখার মান সম্পর্কে অবহিত হলাম। খুব খুব ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ।
loading...
আমি সাহিত্যের ছাত্র নই; সাহিত্য নিয়ে চর্চা করার সুযোগও খুব সীমিত ছিল। আমার সীমিত বোধ থেকে গল্প কবিতা পড়ি এবং কমেন্ট করি।
কোন লেখা খুব ভালো লাগলে স্বাভাবিকভাবে আমার কমেন্টের আকার বড় হয়ে যায়; সেখানে আমার চোখে ভালো লাগাগুলি তুলে ধরি। সেটা তখন একজন পাঠকের মূল্যায়ন হয়ে যায়।
ফেবুতে আমার মত পাঠক আছে; আমার চেয়ে অনেক বেশি জ্ঞান রাখে এমন পাঠক আছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের পাঠকের দু চারটা কমেন্টই অনেক সময় যথেষ্ট হয়ে যায় লেখাটা কেমন সেটা নির্ধারণে।
কোন কোন লেখকের বেশ কিছু বই থাকলেও আমি তাদের লেখায় কমেন্ট করিনা। কারণ সাহিত্যের ন্যূনতম মানদণ্ডে সেই লেখাগুলি টিকেনা। এই যেমন ধরুণ, অনেকই অণুগল্প লিখছেন এটা মাথায় রেখে যে, আকারে ছোট হলেই সেটা অণুগল্প হয়। কিন্তু ছোট কাহিনি নিয়ে লেখা কিছু যে অণুগল্প হয়না; অণুগল্প যে আসলে ছোট অবয়বে বিশাল বড় গল্প; অণুগল্পের ভাজে ভাজে যে বহু গল্প থাকে; অণুগল্পে মেদ যে দূষনীয়; বহুস্বর অণু গল্পের অলংকার এটা তারা জানেনা! কেবল অণুগল্প কেন, ভাবের সরল প্রকাশে সাহিত্য হয়না; তা সে গল্প হোক কিংবা কবিতা! এই বোধগুলি থেকে ধনাত্মক বা ঋণাত্মক যে কমেন্ট হয় সেগুলি সাহিত্যের মান নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ নয়- একথা কীভাবে বলি?!
যাহোক, ভালো একটা পোস্ট দিয়েছিলেন। এখানে আরও বেশি পারটিসিপেশন আশা করেছিলাম।
আপনাকে ধন্যবাদ!
loading...
এই site এ আমার লেখা অণুগল্প সম্পর্কে কিছু প্রবন্ধ আছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। খুব ভাল থাকবেন।
loading...
আসলে নিরপেক্ষ কমেন্ট করা উচিত । শুধু তেল মারা মন্তব্যতে লেখক নিজেও বিভ্রান্ত হন । আসলেই কি লেখাটা ভালো বা মন্দ এর বিচার তো পাঠকরাই করে ।
loading...
যে সত্যিকারের লেখক সে লেখে পড়ে। তার কাছে ফেসবুক মূল্যহীন । ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
loading...
আমি মনে করি ফেইসবুকের লাইক কমেন্ট একটি লেখার মান নির্ণয়ের একমাত্র মাপকাঠি নয়। হতে পারে এই লাইক কমেন্ট লেখককে উৎসাহিত করে । সাহিত্য মান সম্পন্ন একটি লেখায় বোদ্ধা পাঠকের কয়েকটি মন্তব্যই যথেষ্ট । "দারুণ" "অসাধারণ" "মুগ্ধ" এজাতীয় কমেন্টের খুব একটা প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না ।
প্রসঙ্গত একটি কবিতার গ্রুপের মহামান্য এডমিন মহোদয় বসে বসে একটি লেখার মান নির্ণায়ক হিসেবে লাইক গুনতে থাকেন।
এ চেয়ে লজ্জাকর পরিস্থিতি আর কি হতে পারে ।
প্রয়োজনীয় পোস্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
loading...
অনেক অনেক ধন্যবাদ
ভালো থাকবেন
loading...
পক্ষে আছি।তবে শিল্প সাহিত্যে ফেসবুকের প্রভাব বা অবদান যাই বলি কেন ছোট করে দেখার ইচ্ছা নেই।
loading...
ঠিক বলেছেন
অনেক ধন্যবাদ
ভালো থাকবেন
loading...
ফেসবুক ব্যবহার করি তা অনেকদিন গত হয়ে গেলো। তবে ফেসবুকে যা পোস্ট করি, তা লাইক/ কমেন্টের আশায় করি না। আর ভাবিও না, আমার লেখা পোস্ট কে পড়লো আর কে না পড়লো। ভাবি শুধু ফ্বসবুকে একটা আইডি যখন আছে, দিনে নাহয় দুইদিন পরপর একটা পোস্ট করি। আর ফেসবুকে অনেকেই আছেন, শুধু নিয়ে ব্যস্ত। তবে আমি আমার নিজের একটা বল্টু মার্কা ছবি ছাড়া নিজ পরিবারের আর কারোর ছবি এপর্যন্ত পোস্ট করিনি, করবোও না। তাই ফেসবুকে লেখা বা ছবি পোস্টের মূল্যায়ন নিয়ে বেশি একটা ভেবে দেখি না। একসময় ফেসবুকের সমালোচনা করে ব্লগে লিখতাম।
ব্লগে লেখা প্রকাশ হওয়ার পর, তা ফেসবুকে শেয়ার করতাম। শেয়ার করতাম এই কারণে, যাতে আমার এলাকার কিছু মানুষ তা ফলো করে। এখানেও লাইক/কমেন্টের চিন্তা করতাম না। আগে লিখতাম, স্বাদের ফেসবুকে ১০০ শো বছর কান্নাকাটি করলেও, তা কেউ শুনবে না, কেউ দেখবেও না।
loading...
আন্তরিক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন
loading...