হঠাৎ পলাশ একটা গোলাপ কিনে ফেলল। ঘরে ফিরে বিহনীর হাতে দিয়ে বলল – আই লাভ ইউ।
বিহনী দাঁড়িয়ে পড়ল আর গোলাপ হাতে নিয়ে কিছুটা অবাক সুরে হেসে উত্তর দিল – আই লাভ ইউ টুউ।
তারপর আশ্লেষে পলাশ বিহনীকে জড়িয়ে ধরল। হাসি মুখে দুজন দুজনের দিকে তাকাল। বিহনী বলল – তুমি বসো, আমি চা করে আনছি।
পলাশ বিহনীর হাত ধরে আবার সোফায় বসিয়ে দিল। বলল – না, আজ তুমি বসো, আমি চা করে আনছি। আর চা খেতে খেতে আমরা খুব গল্প করব।
বিহনী সোফাতে বসে পড়ল। যেমন টিভি দেখছিল তেমন দেখতে লাগল।
অনেককটা বসন্ত পেরিয়ে এসেছে। তখন পলাশকে চিনত না জানত না। বাবার পছন্দ মেনে নিয়ে এই সংসারে প্রবেশ। গান করার ইচ্ছে ছিল তাও টুকটাক চলছে। মাঝে মাঝে হারমোনিয়াম নিয়ে বসে। আঁকার ইচ্ছে ছিল এখনও মাঝে মাঝে ছেলের সঙ্গে আঁকতে বসে। রবীন্দ্রনাথ সুকুমার রায়ের অনেক কবিতা মুখস্থ বলতে পারে। আঁকা গান আবৃত্তি এসবে পেশাদার হওয়া তো অত সহজ না। অনার্স টেকে নি। তাই পড়াশুনা আগেই বন্ধ করে দিয়েছিল। চাকরীর চেষ্টাও জারি ছিল জোটাতে পারে নি।
পলাশ এ সব কোন কিছুতেই বাধা দেয় নি। বরং প্রায়ই উৎসাহ দিয়েছে। কিন্তু বিহনী তার নিজের ক্ষমতা জানত। বরং বাবা বলত এ সব একটু আধটু জানলেই হবে। অত মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই। এখন বিহনী বুঝেছে সংসার সামলিয়ে অনায়াসে এসব করা যায়। কিন্তু তার জন্য নিজস্ব এবিলিটি থাকা দরকার। তাই সাংসারিক প্রবাহে চলমান থেকেছে বিহনী। তাই পলাশের সাথে সাথে বিহনীও এ সংসারের নিজস্ব হতে পেরেছে।
ছেলে একটু আগে ফোন করেছিল। ভালই আছে। কাল থেকে ইন্টার্নশিপ শুরু হবে।
আজ কি দিন কি বার মনে নেই বিহনীর। চায়ের এত অপূর্ব স্বাদ বিহনীর জীবনের বয়স কমিয়ে দিয়েছে।
তাই হাতের পাপড়ি মেলা গোলাপের দিকে তাকিয়ে থাকল।
loading...
loading...
এক কথায় বলা যায় সার্থক অণুগল্প। শুভেচ্ছা প্রিয় লিখক মি. বেরা। শুভ সকাল।
loading...
অনেক অনেক ধন্যবাদ
ভাল থাকবেন
loading...
দারুণ অণুলিখন প্রিয় কবি দা। শুভেচ্ছা নিন।
loading...
অনেক ধন্যবাদ
ভাল থাকবেন
loading...
মন ভালো করে দেয়ার মতো একটি লিখা।
loading...
আন্তরিক ধন্যবাদ
ভাল থাকবেন
loading...
অনেক ভালো লাগলো, শুভকামনা থাকলো।
loading...
অনেক ধন্যবাদ
ভালো থাকবেন
loading...