(অণুগল্প)
গাড়ি বাদ দিয়ে বাসে করে যাচ্ছে দিদিত। নিজের গ্রামে। তাও মা মারা যাওয়ার বছর দশেক পর। হাইরোডের ধারে আর আগের মত ধানক্ষেত, নযনজুলি, পুকুর প্রায় বিলুপ্ত। চোখ জুড়ানো তালের সারি গাছের পাহারা আর নেই। শুধু ইট কাঠ পাথরের চিৎকার।
জানলায় চোখ রাখে। মনটা উদাস হয়ে যায়।
হঠাৎ ছোট একটা পুকুরে দিদিত দেখে একটা নীলপদ্ম। বাস দাঁড় করিয়ে নেমে পড়ে দিদিত। পুকুরটার কাছে গিয়ে দেখে অনেক পদ্ম। ছোট বড়। পদ্মপাতার উপরে টলটলে জল। আর মাঝ পুকুর বরাবর উজ্জ্বল নীলপদ্ম। এদিক-ওদিক তাকাল দিদিত। কেউ কোথাও নেই। ধূ ধূ মাঠ। ঠায় রোদ। পাশ দিয়ে সাঁই সাঁই শব্দ করে একটার পরে একটা বাস লরি চলে যাচ্ছে।
দিদিতের কোন দিকে খেয়াল নেই। একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে নীলপদ্মের দিকে। কোনদিন নীলপদ্ম হাতে নিয়ে দেখে নি। আজ সে স্বাদ পূরণ করতে চায়।
ছেলেবেলার সেই দামালপনা জেগে উঠল দিদিতের মনে। কতদিন সাঁতার কাটাও হয় নি। ঝাঁপ দিল পুকুরে।
সাঁতরে পুকুরের মাঝ বরাবর এসে দেখে, না কিছু নেই। সবই যেমন দেখে থাকে তেমনই পদ্ম আর পদ্মপাতা। সাঁতার দিতে দিতে এদিক ওদিক দেখল। না, কোথাও কোন নীলপদ্ম নেই। এ তো বড় একটা দীঘি। চারপাশে ধানক্ষেত। দূরে দূরে গ্রামের বাড়ি ঘর।
ওদিকে হাইরোডের ধারে গাছের ছায়ায় বেশ কয়েকজন। ওরা চিৎকার করছে – বাবু, এত বড় দীঘির মাঝখানে গেলি কেনে? পদ্ম তো পুকুরের ধারেও আছে। পদ্মবনে সাপ আছে। চলে আয়। চলে আয়।
loading...
loading...
সার্থক অণুগল্প। একবারেই পড়ে নেয়া যায়। অভিনন্দন প্রিয় কবি দীপঙ্কর বেরা।
loading...
ধন্যবাদ
ভাল থাকবেন
loading...
অনেক ভাল লেখেন আপনি। আপনার প্রতিভার স্বাক্ষর প্রতি লেখায় থাকে দাদা।
loading...
ধন্যবাদ
ভাল থাকবেন
loading...