দড়ির প্যাঁচে শেষ টান দিয়ে মনুয়া উঠে দাঁড়ায় – আমি এখন চললাম। তিনদিন পরে আসব।
রজত আনেকক্ষণ বসে আছে। আড়মোড়া ভেঙে বলল – ক’টা হল? পাঁচশ অর্ডার আছে। তাছাড়া তুই যাবি কোথায়? সামনের রবিবার কেটে গেলে তারপর।
সতন মিনা রুনি হাঁ করে দেখে। মনুয়া কাকুতি মিনতি করে – বউটা খবর পাঠিয়েছে। ছেলেটার জ্বর যাচ্ছে না।
– তো। তুই কি ডাক্তার? ডাক্তার দেখিয়ে নেবে। আমি তো বলছি মালামাল করে দেব। শুধু রবিবারটা কাটতে দে।
জানে বলে লাভ নেই। তাই মনুয়া চুপ।
আবার কাজে লেগে পড়ে। হাত আর চলে না মনুয়ার। কি কুক্ষণে যে বিনোদ কণ্ডাক্টরের পাল্লায় পড়েছিল কে জানে। বেশি টাকার লোভ। নানান কাজ করতে করতে বেশ শিক্ষা হয়েছে। দেখেছে শুধু না-কাজ আর না-কাজ। যে যত না-কাজে সে তত বুক ফুলিয়ে ঘুরছে। কিছু হবে না, কিছু হয় না কারও। সব সেটিং।
একটু পরে রুনি ও মহুয়া উঠে যায়। পাশের ঘরে স্টোভে রান্না চড়ায়। আজ ডিম আলুর ঝোল। দরজায় টুং টুং টুং আওয়াজ হয়। মনুয়ার মুখ থেকে বেরিয়ে যায় – হারামি আসছে।
কেউ শুনতে পায় না। দেখতে পায় হারাধন। যা যা লাগে সব সাপ্লাই দেয়। রজত হিসেব বুঝিয়ে দেয়।
ঘণ্টা দুই পরে আবার টুং টুং। এবার বিশুয়া। গুনে গুনে তিন ব্যাগ ভরে নিল। আর রজতকে হিসেব বুঝিয়ে দিল। বলল – বাদ বাকী কাল।
ভোরের দিকে সবাই ঘুমিয়ে। মনুয়া সিলিংয়ের দিকে তাকিয়ে। গন্ধবপুর এখন কেমন আছে। শীতের শেষে চাষবাস। দোল উৎসব। মন্দির চাতালে শুয়ে আকাশ। দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে। এর চেয়ে জেলখানা ভাল। ফ্যান নেই। কোন জানলা নেই। শুধু টাটকা বারুদের গন্ধ।
loading...
loading...
জীবনের খণ্ড গল্প অধ্যায়ের চিত্র। ভালো লিখেছেন প্রিয় কবি।
বেশ খানিকটা বিশ্রামের পর লিখলেন দেখলাম। শুভ সকাল।
loading...
ধন্যবাদ
loading...
স্বাগতম প্রিয় কবি।
loading...