তিন দিন ধরে অজ্ঞান ঋতু।
পাঁচ বছরের ঋতুর জন্য সরকারী হাসপাতালের সামনে জমায়েত হয়েছে সারা শহর। প্রত্যেকের মনে বারুদের স্তুপ। ঋতুর শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে সেই বারুদের স্তুপের “ট্রিগার” কাঁপছে।
চাপ একটু বেশী হলেই…..
দু’বেলা ডাক্তার বাবুর একই বক্তব্য:
“আমরা চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি আয়ত্বে। আপনারা ধৈর্য্য হারাবেন না।”
ডাক্তার এলেই সবাই এমনই কথা শোনার জন্য প্রস্তুত থাকে। কিন্তু আজ ঋতুকে পরীক্ষা করে ডাক্তার বাবু কোন কথা না বলে, মাথা নীচু করে সোজা বেরিয়ে গেলেন।
—————————————————————
একটু পড়াশুনা জানা উদ্বিগ্ন ঋতুর কাকা মিলন বাধ্য হয়ে পেছন থেকে হাঁক পাড়ল – ও ডাক্তারবাবু, ডাক্তারবাবু। কিছু একটা বলুন।
এত হাঁক ডাকে বাধ্য হয়ে পেছন ফিরে দাঁড়ালেন ডাক্তারবাবু। বললেন – আপনারা এখানে অপেক্ষা করুন।
সবার মধ্যে শুরু হয়ে গেল গুঞ্জন। একটু পরে আরও দুজন ডাক্তারসহ ডাক্তারবাবু আবার ঋতুর কেবিনের দিকে।
মিলন আবার বলল – ডাক্তারবাবু।
ডাক্তারবাবু বাঁ হাত দেখিয়ে ভেতরে ঢুকে গেল। আবার গুঞ্জন।
– মনে হয় ঋতুর কিছু একটা হয়ে গেছে।
– কিছু একটা হয়ে গেলে আমি কিন্তু হাসপাতালকে ছাড়ব না।
– কদিন অপেক্ষা করলাম। আর নয়। যারা এ রকম করেছে সেই পাঁচজনও ছাড়া পাবে না।
মিলনও মুখ খুলল – সরকারি ব্যবস্থার উপর আমাদেরও ভরসা রাখতে হবে। হাসপাতাল, আইন, প্রশাসন, পুলিশ সবাই তৎপর আছে।
– সেই জন্য লোকগুলো বেঁচে গেল। না হলে….
এমন সময় ডাক্তারবাবু বেরিয়ে এলেন। বললেন – ঋতু চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছে। জ্ঞান ফিরবে।
সবাই উল্লাসে আত্মহারা হয়ে পড়ল। মিলন সবাইকে বাইরে নিয়ে গেল।
খবর ছড়িয়ে পড়ল বাতাসে। বারুদের তেজ কিছুটা কমল। তবে আইন আদালত ভরসা জনগনকে প্রশাসন মুখ ফেরাতে পারল না।
loading...
loading...
ভাল হয়েছে।
ধন্যবাদ জানাই।
loading...
ধন্যবাদ
loading...
অণুগল্পকে সাধুবাদ। অভিনন্দন প্রিয় কবি। শব্দনীড়কে সময় দেবেন আশা করি।
loading...
ধন্যবাদ
loading...
বেশ ভালো হয়েছে। শুভ কামনা কবির জন্য।
loading...
ধন্যবাদ
loading...
আমরা অনেক কিছুই অগ্রীম ভেবে ফেলি।
loading...