রাত প্রায় দু’টো।
রবীন্দ্র সরণী ধরে খালি পায়েই রিক্সাটা নিয়ে ছুটছে সুবল। আজ এই…….
সামনে যমদূত। থমকে যায় সুবল।
-থাম্ শ্শশালা নেমখারাম! এই বয়সেও মাগী দেখলেই…….আহ্!!!!!!!!
না। আর কথা বলতে পারেনি সোনাগাছির গুণ্ডা মদন সিং।
সুবল দেখলো একটা ছুরি মদনের বুকে আমূল গেঁথে গেছে।
কে মারলো ছুরি………?
যদিও সুবল এ দৃশ্য আগেও দেখেছে, তবুও আজ ঘামছে। গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। আরও গতি বাড়িয়ে দিল। হারামি মদন প্রতিটি ব্যাপারে হিস্যা নিত। কোন কথা শুনত না। তবে কিছু মেয়ে মদনের জন্য বেঁচে গেছে। ভোট এলেই এই মদনের দ্বিচারিতা শুরু হয়ে যায়। তখন হল্লা পড়ে যায় এ পাড়ায়। বখরা শুরু হয় উৎসবের মত। সুবলের রিক্সা তখন ব্যস্ত সমস্ত। মানুষের মিছিল, মানুষের লাশ, মানুষের বখরা বয়ে বেড়ায়। রোজগার বাড়ে।
মদনের মাথায় হাত আগে ছিল গাজীনাথের। এখন নয়নার। ইদানিং নয়নার ঘন ঘন যাতায়াত। মদনের সঙ্গে খেঁচামেঁচি লাগে। সেই দৌলতে সুবলের সংসার চলছে। তবে ভেসে গেছে প্রেম। কি আর করা যাবে!
একটু এগিয়ে দেখে সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে নয়না লালবাতি গাড়ির পাশে ফোনে বলছে – পুরো শেষ করে দে। এ রক্ত যেন আর বীজ বুনতে না পারে। বাদবাকী আমি দেখে নেব।
রিক্সা নিয়ে সুবলকে দেখে চিৎকার করল – এই শশালা, চামচা শশালা। দাঁড়া।
সুবল দাঁড়াল। বলল – খদ্দের আছে, বাসায় ছেড়ে দিয়ে আসছি।
তক্ষুণি পাশ দিয়ে ঢুকল পুলিশের গাড়ি। সবাই ছুটে গেল সেদিকে।
পরদিন সুবল দেখল পাড়াটা সেই আগের মত। যেমন চলে তেমন চলছে।
loading...
loading...
অণুগল্পটি পড়লাম প্রিয় কবি। বাস্তবতা নিয়ে লিখেছেন বেশ।
loading...
অনেক ধন্যবাদ
ভালো থাকবেন
loading...
চমৎকার এঁকেছেন! শুভেচ্ছা রইলো দীপঙ্কর দা…
loading...
অনেক ধন্যবাদ
ভালো থাকবেন
loading...
চমৎকার
loading...
ধন্যবাদ
ভালো থাকবেন
loading...