গল্প এবং অণুগল্প নিয়ে কিছু ভাবা যাক। প্রথমে গল্প ভাবতে বা লিখতে হবে তারপর তাকে অণুর অবস্থানে আনার চেষ্টা করতে হবে। অর্থাৎ ভিউ পয়েণ্ট নির্দিষ্ট করতে হবে। আপনি কি দেখছেন আর কি দেখাতে চাইছেন। গল্প এক রকমের জীবনের ছবি। এ ছবি অন্যের সামনে তুলে ধরতে হবে ভিন্ন মাত্রায়। গল্পের আকারে কিন্তু স্বল্প বিন্যাসে। অণুগল্প মানেই কিন্তু ক্ষুদ্র গল্প নয়। অণুতে কিন্তু পদার্থের সমস্ত ধর্মই প্রতীয়মান।
গল্প মানে আমরা সাধারণত বুঝি অন্যকে যেটি সহজে বলতে পারব। সেটি কোন ঘটনা দিক দিশা অবস্থান মর্যাদা ইত্যাদি যা কিছু হতে পারে। আমরা জানি কোন ঘটনার তিনটে দিক। প্রথম আমি যা দেখেছি ( গল্পের ক্ষেত্রে আমি যা দেখাতে চেয়েছি) দ্বিতীয় আমি যা দেখিনি ( এক্ষেত্রে যা দেখাতে চাই নি) এবং তৃতীয় সত্য ( গল্পের ক্ষেত্রে ভিউ পয়েণ্ট লেখকের দিক থেকে এবং পাঠকের দিক থেকে)।
এই তিনটি অবস্থান একা কেউ দেখতে পারে না। অর্থাৎ কোন ঘটনার দেখা, না-দেখা এবং সত্য একজনের পক্ষে কখনই জানা সম্ভব নয়। তাই তদন্তেও সঠিক খুঁজে বের করা মুশকিল। সেই রকম গল্পের ক্ষেত্রে এই ভাবনা বিস্তৃত থাকলেও অণুগল্পের ক্ষেত্রে এই তিনদিকের যে কোন এক বা দুটি দিক শুধু আভাসে অথবা স্পষ্ট কিন্তু কোন মোচড় বা উল্ফনে তা বিদ্যমান রেখেই গল্প চিত্রায়িত করতে হয়। লেখক বা পাঠক তার নিজের মত করে নিজস্ব দিশায় নিজেকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।
ফলে গল্প পাঠের আবেশ হয় সুদূর প্রসারী। এই সুদূর প্রসারী পাঠক ভাবনায় গল্প হবে বোধগম্য সহজ ভাষায়, পড়ায় যেন কোন ছেদ না পড়ে। বক্তব্যের যেন সরলীকরণ হয়। দৃশ্যপট সহজে পাঠক মনে উদ্রেগ সৃষ্টি করে এবং অবস্থানকে বোঝার জন্য মনের মধ্যে মূলধর্ম বিশিষ্ট যেন অণু ভাবনা তৈরি হয়। জানা গল্প বা অজানা প্রেক্ষাপট অথচ না-জানা বা জানি জানি যেন ভাব থাকে।
অতএব আপনি যদি গল্পের পদার্থ ঠিক করতে পারেন তাহলে গল্পের অণু এসে যাবে। স্বচ্ছ ভাবনা, স্বচ্ছ নিরীক্ষণ এবং স্বচ্ছ উপস্থাপন গল্প লেখার প্রাথমিক অবস্থান। তারপর তাকে আরও সঠিক ভিউতে অবস্থিত করে দিতে হবে। তবেই অণুগল্পের দিশা নির্দিষ্ট হবে।
তার মানে গল্প লেখা বা ভাবার মুন্সিয়ানায় আপনার দেখা, না-দেখা এবং ভিউ পয়েণ্ট চরিত্রের মধ্যে ছড়িয়ে দিন। তারপর দেখবেন সেই চরিত্র যে গল্প বয়ে আনবে তাই গল্প থেকে অণুগল্পে বিন্যস্ত হয়ে যাবে। গল্পের সব চরিত্র স্পষ্ট প্রতীয়মান কিন্তু কিছু লেখক ছেড়ে দেবে, কিছু পাঠক খুঁজে নেবে, কিছু দুজনেই আবেশে অবস্থিত হবে। তবেই গল্পের প্রকাশ আরও তীক্ষ্ণ হবে।
loading...
loading...
আসলে ছোটগল্পের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য উপলব্ধি করতে পারলে সবই সম্ভব।
loading...
ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
loading...
সংশ্লিষ্ট যারা ছোট বড় লিখায় চর্চা অব্যহত রেখেছেন এই পোস্ট তাদের কাজে আসবে মনে করি। আমাদের মতো পাঠকের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ প্রিয় কবি।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনার জন্য।
loading...
অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
loading...
শুভ সকাল প্রিয় কবি।
loading...
ভীষন ভালো লাগলো ভিন্ন আঙ্গিকে অনুগল্পের রুপরেখা বিশ্লেষন । অপেক্ষা পরবর্তী হৃদয়গ্রাহী গ্রন্থনার জন্য !
loading...
ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
loading...
ভীষণ ভালো লেখা
loading...
ধন্যবাদ
loading...