প্রিয়তমা……
প্রতিটি বিকেলের মতো
আজো পশ্চিমা আকাশ লালিমায় ছেয়ে আছে,
খরস্রোতা নদীটি
বুকের কপাট খুলে দিয়েছে
অস্তমিত সূর্যকে গিলে নিতে,
আয়েশি ভঙ্গিতে পাখীদের নীড়ে ফেরার আয়োজন
এবং
বাতাসে কুয়াশার ধূম্র মিলেমিশে
প্রকৃতিতে ফেলছে শান্ত অবয়ব…
এই সবই ঠিক আছে!
কেবল একটাই ব্যতিক্রম
আজ আমার বুকের হেরম জুড়ে নীলকন্ঠী রাত
চলছে অসম তাণ্ডব লীলা।
হৃদপিণ্ডের দপ দপ বেড়েই চলেছে;
জানি এসব ক্ষয় অবক্ষয়ের গল্পে
তোমারও মন বিচলিত হবে, অস্থির হবে,
জানি
শিকল বাঁধা হরিণীর মতন তুমি ছট পট করবে।
তবুও
তোমাকে জানাতে হবে
সহস্র মন খারাপ রাত্রির নিঃসঙ্গ দহন সয়ে সয়ে
এই আমি দিব্যি কাটিয়ে দিচ্ছিলাম জীবন।
কারণ
আমি যে
এই দহন তাপে খুঁজে পাই তোমারই উষ্ণতা ;
আমি সয়ে গেছি বিনিদ্র যন্ত্রণা
সয়ে গেছি যন্ত্রণার রন্ধ্রে রন্ধ্রে মন্দ্রিত তুপান
বিদগ্ধ স্মৃতি ; জানো-
পোড়া মাটির গন্ধে আমার কোন অভিযোগ নাই
মাটির কর্দমাক্ত কর্ষণে
নির্মাণ করি তোমারই প্রতিমা!…
তুমি ঠিকই জানতে
জানতে যেভাবেই হোক আমি বেঁচে থাকবো,
যেমনই হোক হার না মানার মানুষ আমি।
তুমি জানতে
আঘাতের ভয় নেই আমার ,
তুমি হারিয়ে গেলে
নেই- আর কিছু হারাবার ভয়!
প্রলয় তাণ্ডবে
আমি ধারণ করবো সুনামির রূপ
ভাসিয়ে নেবো কজ্জল কালিমা
আমি উঠে দাঁড়াবো………
পাবোনা জেনেও
ছোঁবোনা জেনেও
আমি বার বার হাত বাড়াবো তোমারই পাণে!
জানতেই বলেই
তুমি রূপ বদলের নেশায় উন্মত্ত হলে
উড়তে লাগলে
বৃক্ষ হতে বৃক্ষে, প্রান্ত হতে প্রান্তরে
উড়ে বেড়ানোর নেশায় ডুবে রইলে…
শুধু জানতে না
উড়তে উড়তে একদিন উড়ে যাবে অচীন আকাশে..
তবুও
তোমার প্রতি আমার কোন অভিযোগ নাই।
আমি পেয়েছি তোমাকে আমার অনন্ত প্রাণে
যে দিন ঝর্না স্নানে
সিক্ত হতে হতে নিজের বুকের কপাট উন্মুক্ত করে
আমাকে নিবিষ্ট করেছিলে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ আলিঙ্গনে!আমি জীবন পেলাম সেই নিবিড় ধ্যানে
বসন্ত দিনে
স্ফুটিত পরাগ চুম্বনে..
পেয়েছিলাম পৃথিবীর সমস্ত সুর সংগীত
অনবদ্য আনন্দ স্পন্দন!..
তুমি ফিরো
আর নাই ফিরো
আজকের এই সন্ধ্যা
এই পূজা উৎসর্গীত হলো তোমার নামে!
শুধু
এক অনন্তের আক্ষেপ
যার বুকে ছুঁড়ে দিলাম জ্বলন্ত দিয়াশলাই……
ভালো থেকো।
তোমারই “শুভ”
loading...
loading...
শুভেচ্ছা জানবেন কবি।
loading...
চমৎকার কবিতা। পাটে মুগ্ধ হলাম! কবির জন্য শুভকামনা থাকলো।
loading...