২৪শে এপ্রিল রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ভয়াবহ দিন!…
লম্বা হচ্ছে লাশের সারি
মৃত্যুর মিছিল, লম্বা হচ্ছে লাশের সারি
রক্তের স্রোত, মাংসের দলা, চূর্ণ বিচূর্ণ হাড় গোড়
রক্ত,শরীর, প্রাণ, আহাজারি
যন্ত্রণার আর্ত-চিৎকারে ভারী হয়ে গেছে গোটা বাংলাদেশের বাতাস
চারিদিকে হা হুতাশ; শোকের মাতম, মর্মস্পর্শী দৃশ্যপট
নির্বাক মনুষ্যত্ব! বিমূঢ় জাতির অন্তর্যামী…
কে শুনবে কার কান্না
কে গুছাবে কার বেদনা
ভাষা হীন মানুষ কি বলে দেবে সান্ত্বনা!
এখানে সীমানা ছাড়িয়েছে সীমানার প্রাচীর
কে স্বজন, কে নারী কে পুরুষ
কে শিশু, কে কিশোর; মরণ এসে কেড়ে নিয়েছে সেই পরিচয়
এখন সবাই লাশ! মৃত্যুর মিছিলের যাত্রী
আর কোন ভোর ভাঙবেনা তাদের ঘুম
আর কোন ধ্বংস যজ্ঞে পোহাবেনা রাত্রি।
==================
সাভারের রানা প্লাজার ট্র্যাজেডি, নিমতলী চুড়িহাট্টা, বনানী ট্র্যাজেডি… তনু, ত্বকী, নুসরাত ( জানা অজানা অসংখ্য শিশু কিশোর ধর্ষণ, খুন, বলাৎকার..) আবার কাঁদালও সমগ্র জাতিকে। বাংলাদেশের বুক কে আবার কাঁপিয়ে দিলো। শত লাশের বিভীষিকা আবার আমাদের ধিক্কার দিয়ে বলে গেলো একটি মাত্র বাক্য “অমানুষ”। আমরা অমানুষ হতে হতে সত্যি সত্যি ভুলে গেছি মানুষ নামের জাতিটির বৈশিষ্ট্য, আমরা ধিক্কার শুনতে শুনতে হারিয়েছি মানুষ হয়ে বাঁচার অধিকার!!
আজ পর্যন্ত কেউই শুনিনি পশুর পাখির হাতে নির্মিত বাস ভবন ধসে যাবার কথা। আমরা কেউই বলতে পারবো না কোন জন্তু জানোয়ারের লোভ লালসা মেটাতে অন্য জন্তু জানোয়ার বলি দান দিতে হয়। পশুরাও ক্ষুধা নিবারণ করার পর এমন অগ্রাসী স্বভাব দেখায় না যেমনটি মানুষ দেখায়। বিবেকের কি রকম বিপর্যয় হলে আমরা বারবার একই ভুল একই অপরাধে অপরাধী হই?
১১জুলাই ২০১১ চট্টগ্রামের মিরসরাইতে সড়ক দুর্ঘটনার প্রাণ হারিয়ে ৪২ জন নিষ্পাপ শিশু, সমগ্র দেশ কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো। আমাদের নেতা নেত্রীরা লোক দেখানো মায়ায় ছুটে গেলো, মিডিয়া থেকে শুরু করে সচেতন সমাজের সকলেই নানা রকম বক্তৃতা। বিবৃতি দিয়ে মিডিয়া গরম করলো আর দু দিন পর সব ভুলে গেলো। এখনো প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় অসংখ্য মানুষ জীবন দিচ্ছে। ২০১৩ সালে চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভার ভেঙ্গে আরেকটি লাশের মিছিল তৈরি করেছিলো।
অল্প কিছুদিন আগে, সেই সঙ্গে একই বছরে গার্মেন্টসে আগুনে পুড়ে মারা গেলো শতাধিক মানুষ, যাই ঘটুক দু’চার দিন পর সব স্বাভাবিক! কেউই কিছু মনে রাখেনা। অপরাধীরা অপরাধ করেই চলে। কেউই কোন নিয়ম মানে না, সকল অনিয়মই যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাড়ী নির্মাণ থেকে শুরু করে জীবন যাপনের জন্য আমাদের নানা রকম উপকরণ তৈরিতেই আমরা চরম গাফিলতি করি। খাদ্যে অনিয়ম, চিকিৎসায় অনিয়ম, রাস্তায় চলাচলে অনিয়ম, আইন না মানার অভ্যাস
শিক্ষা, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান কর্ম ক্ষেত্র, সব জায়গাতেই অনিয়ম করতে করতে নিয়মের কথা ভুলেই গেছি। আর সবচেয়ে যেই সত্যটি ভুলে গেছি তা হচ্ছে আমরা যে মানুষ এই কথাটা।
loading...
loading...
কে শুনবে কার কান্না
কে গুছাবে কার বেদনা
ভাষা হীন মানুষ কি বলে দেবে সান্ত্বনা!
loading...
সবচেয়ে যেই সত্যটি ভুলে গেছি তা হচ্ছে … আমরা যে মানুষ এই কথাটা।
loading...
মৃত্যুর মিছিল, লম্বা হচ্ছে লাশের সারি
রক্তের স্রোত, মাংসের দলা, চূর্ণ বিচূর্ণ হাড় গোড়
রক্ত, শরীর, প্রাণ, আহাজারি
যন্ত্রণার আর্ত-চিৎকারে ভারী হয়ে গেছে গোটা বাংলাদেশের বাতাস। দুঃখ পেলাম কবি দাউদ ভাই।
loading...
কী ভয়াবহ দুঃখজনক একটি দিন। সকল বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা।
loading...
আজও সেই দিনের কথা মনে হলে গা শিউরে উঠে দাউদ ভাই।
loading...