জানা অজানা মানব মস্তিষ্ক
মস্তিষ্ক নিয়ে আমাদের উৎসাহের কমতি ছিল না কোনো কালেই। এখনও নেই। শুধু কেবল ক্যালকুলেশন বা সিনাপ্সিস না, ব্রেনের অজানা কিছু তথ্য যা শুনলে আসলেই আপনি অবাক হবেন-
· আমাদের মস্তিষ্ক আমাদের পুরো শরীরের ওজনের ২% কিন্তু মস্তিষ্ক শরীরের ২০% total energy এবং অক্সিজেন ব্যবহার করে।
· মস্তিষ্কের ৭৩% হলো পানি। কেবল মাত্র ২% পানিশূন্যতা ( dehydration) হলেই মনোযোগ, স্মৃতিশক্তি এবং জ্ঞানেন্দ্রীয় ক্ষমতার উপর প্রভাব পড়ে।
· ৯০ মিনিটের ঘাম, মস্তিষ্কের সংকোচন ঘটায় যা এক বছরের বয়ষ্কালের অনুরূপ।
· মস্তিষ্কের ওজন প্রায় ৩ পাউন্ড ( ১.৩৬ কেজি), যার ৬০% dry weight হলো ফ্যাট। ফলে ব্রেন বা মস্তিষ্ক আমাদের শরীরের সবচেয়ে fatty organ।
· আমাদের শরীরের ২৫% Cholesterol ব্রেনে থাকে। এই Cholesterol হলো ব্রেন সেল (নিউরন) এর অবিচ্ছেদ্য অংশ। পর্যাপ্ত পরিমাণ Cholesterol ছাড়া ব্রেনের সেলগুলো মারা যায়।
· আনুমানিক ৮৬ বিলিয়ন ব্রেন সেল দিয়ে আমাদের এ মস্তিস্ক গঠিত।
· এক একটা নিউরন প্রতি সেকেন্ডে ১০০০ স্নায়ু উদ্দীপনা (nerve impulse) সৃষ্টি করে/ পাঠাতে পারে এবং ২০০০০ থেকে ১০০০০০ অন্যান্য নিউরনের সাথে সংযোগ করতে পারে।
· একটি ব্রেন টিস্যুর সাইজ একটি বালির কণার মতো যাতে থাকে ১০০০০০ নিউরন এবং ১ বিলিয়ন সিনাপ্স, যারা প্রত্যেকেই একে অপরের সাথে সংযোগায়ন করে থাকে।
· সকল ব্রেন সেল কিন্তু একরকম নয়। আনুমানিক ১০০০০ ধরনের নিউরন রয়েছে আমাদের এই ক্ষুদ্র ব্রেনে।
· ব্রেনের মধ্যে সার্বক্ষণিক অক্সিজেন সাপ্লাই থাকা বাঞ্ছনীয়। কেবল মাত্র ৫মিনিট অক্সিজেন সাপ্লাই বন্ধ থাকলে কিছু ব্রেন সেল মারা যেতে পারে, যা ব্রেনের জন্যে মারাত্মক ক্ষতিকর।
· বাচ্চাদের ব্রেন দ্রুত বেড়ে উঠে। মাত্র ২ বছরের শিশুর ব্রেন, একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ব্রেনের প্রায় ৮০ ভাগ হয়ে থাকে।
· ২৫ বছর বয়সে মানব মস্তিষ্ক পূর্ণতা লাভ করে।
· ব্রেনের ইনফরমেশন ঘণ্টায় প্রায় ২৬৮ মাইল বেগে ভ্রমণ করে। ২৪০ মেইল বেগে ছুটে চলা একটা রেসিং কার থেকেও দ্রুত চলছে এই ক্ষুদ্র ব্রেন।
· আপনার ব্রেন ১২-২৫ ওয়াট বিদ্যুৎ তৈরি করে যা একটি low-wattage LED light জ্বালানোর জন্যে যথেষ্ট।
· ব্রেনকে random thought generator বলা হয়। মানব মস্তিষ্ক দিনে আনুমানিক ৫০০০০ চিন্তা তৈরি করতে পারে।
· ব্রেনে প্রতি মিনিটে ৭৫০-১০০০ মিলিলিটার ব্লাড প্রবাহিত হয়।
· আপনার ব্রেন একটা ইমেজ বা ছবি প্রসেস করতে পারে যা আপনি মাত্র ১৩ মিলি সেকেন্ড দেখেছেন, চোখের এক ঝাপটা ফেলার চেয়েও কম সময়ে।
· সাধারণত, পুরুষের ব্রেন মহিলার থেকে ১০% বড়। কিন্তু হিপ্পকেম্পাস যেখানে স্মৃতি সংরক্ষিত থাকে, তা মহিলাদের ক্ষেত্রে বেশি থাকে।
· Albert Einstein এর ব্রেনের ওজন ছিল ২.৭১ পাউন্ড (১.২৩ গ্রাম) যা সাধারণ মস্তিস্কের চেয়ে ১০% ছোট। কিন্তু নিউরন ডেনসিটি বেশি ছিল।
· Neanderthal (আদিমানব) brains আমাদের Homo sapiens ব্রেন থেকে প্রায় ১০% বড়।
· অন্যান্য প্রাণীদের তুলনায় মানব ব্রেন বড় হলেও সবচেয়ে বড় না। sperm whales যা বিলুপ্ত হয়ে গেছে, তার মস্তিষ্কের ওজন ছিল ১৭ পাউন্ড।
· বিগত ১০-২০০০০ বছরে ব্রেনের সাইজ গুরুত্বপূর্ণভাবে কমে গেছে। কমে যাওয়া সাইজের পরিমাণ একটি টেনিস বলের সমান।
· hippo-campus কে ব্রেনের memory center বলা হয়। একে সাধারণত লন্ডনের ক্যাব ড্রাইভারের সাথে তুলনা করা হয়। কারণ লন্ডনের ক্যাব ড্রাইভাররা লন্ডনের প্রায় ২৫০০০ স্ট্রিট প্রদক্ষিণ করে।
· বর্তমানে ক্রনিক স্ট্রেস আর ডিপ্রেশন আমাদের জীবনে প্রচণ্ডভাবে বিদ্যমান। এর যেকোনো টাই ব্রেনকে সংকোচন করতে পারে।
· মডার্ন ডায়েটে essential fatty acid ওমেগা-৩ কম থাকে। বয়সের সাথে সাথে যেভাবে ব্রেনের অবকাঠামোর ক্ষয় হয় ঠিক তেমনভাবে ২ বছরের ক্ষিয় ব্রেনের পরিমাণ হলো লো ওমেগা-৩ এর ফলাফল।
· ভিক্টোরিয়ান এরা থেকেই, এভারেজ আইকিউ কমে যাচ্ছে যা প্রতি যুগে ১.৬ পয়েন্ট এবং এ পর্যন্ত টোটাল ১৩.৩৫ পর্যন্ত কমে গেছে।
· আমরা যুগের সাথে মাল্টিটাস্কার হয়ে গেছি ঠিকই কিন্তু আমাদের ব্রেন একই সাথে ২টা কাজে মনোনিবেশ করতে পারে না। ব্রেন আসলে যা করে, দুইটা কাজের মধ্যে toggle হয়ে যায় – একবার এটা আরেকবার ওইটা! কিন্তু এতে করে আপনার এটেনশন দেয়ার ক্ষমতা কমে যায়, নতুন কিছু শেখার ক্ষমতা কমে যায়, আপনার স্মৃতিশক্তি কমে যায়, তদুপুরি ব্রেনের কার্যক্ষমতা কমে যায়।
· সাধারণত বাচ্চাদের থেকে মাইলেনিয়াল বা পূর্ণ বয়স্ক মানুষের (১৮-৩৪ বয়স) মনে রাখার ক্ষমতা কম। যেমন- আজ কী বার কিংবা চাবিটা সে কোথায় রেখেছে!
· দিন দিন মানুষের মনযোগায়ন কমে যাচ্ছে। ২০০০ সালে যেখানে মানুষের মনোযোগের সময়কাল ছিল ১২ সেকেন্ড বর্তমানে তা প্রায় ৮ সেকেন্ড যা গোল্ডফিশের attention span থেকেও কম।
· ব্রেনের সেলগুলো ডায়েটিং (লো ফ্যাট ডায়েট) এর ফলে এনার্জি কম পায়, এবং অনেকদিন যাবত এমন চলতে থাকলে ক্ষুধা মেটাবার জন্যে নিজেদেরকে খেয়ে ফেলে।
· ব্রেনে রয়েছে ১৪০ ধরনের প্রোটিন, যা electromagnetic frequencies এর ফলে নেগেটিভলি চার্জ হয়ে যায়। আর এই electromagnetic frequencies নিঃসৃত হয় সেল ফোন বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে।
· জিপিএস এর উপর নির্ভর করার ফলে মানুষ innate sense of direction হারিয়ে ফেলে। ব্রেনের যে অংশ ন্যাভিগেশন এর কাজ করে, তা যদি বন্ধ হয়ে যায় তখন সেই নিউরাল কানেকশনগুলো ফেড হয়ে যায় অনেকটা সবকিছু কেটে সাফ করার মতো।
· ব্রেন স্ক্যান করার ফলে দেখা গেছে আমরা আমাদের ব্রেনের বেশিরভাগ অংশই ব্যবহার করে থাকি, এমনকি আমরা যখন ঘুমিয়ে থাকি তখনও।
· লেফট ব্রেন অথবা রাইট ব্রেন পারসোনালিটি অথবা স্কিল বলে কিছুই নাই। আমরা whole-brained
· এলকোহল ব্রেন সেলকে মেরে ফেলে না বরং এক নিউরনের সাথে অন্য নিউরনের সংযোগকে ছিন্ন করে।
· মোজার্ট (ব্রেনে উদ্দীপনা সৃষ্টিকারী মিউজিক) এফেক্টকে ঘৃণ্য করা হলেও, কিছু কিছু মিউজিক স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগায়ন বৃদ্ধি করে।
· ধারণা করা হয়ে থাকে জ্যোতির্মণ্ডলে তারকারাজির থেকেও আমাদের নিউরনের সংখ্যা বেশি, কিন্তু সেটা মোটেই সত্য নয়। আমাদের রয়েছে ৮৬ বিলিয়ন নিউরন আর জ্যোতির্মণ্ডলে রয়েছে ২০০-৪০০ বিলিয়ন তারকারাজি।
· আমাদের ব্রেনে রয়েছে ব্লাড ভেসেল যার সংখ্যা প্রায় ৪০০ মাইল।
· high cholesterol লেভেল আপনার হার্টের জন্যে ঝুঁকিপূর্ণ হলেও এটা dementia (স্মৃতিশক্তি লোপ)এর ঝুঁকি কমায়।
· এতদিন মনে করা হতো, মানুষ এটা নির্দিষ্ট পরিমাণ মেধা এবং ব্রেন সেল নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে। কিন্তু বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক রিসার্চে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে পুরা জীবনকালেই ব্রেনের ক্ষমতা রয়েছে পরিবর্তন হবার এবং এই ঘটনাকে brain plasticity বলা হয়। শুধু তাই নয়, নিউরজেনেসিসের মাধ্যমে ব্রেন নতুন নতুন সেল তৈরি করতে পারে।
· মেমোরি হলো এক ধরনের কর্মক্ষমতা, কেবল মাত্র ব্রেনের একটা অংশ নয়। যেকোনো মেমোরি বা স্মৃতিকে নতুনরূপে সাজানো এবং ব্রেনের বিভিন্ন অংশে পাঠানো সংরক্ষণ করা যায়। এরপর আপনি যেই স্মৃতিটা চান সেটাই মনে রাখতে পারবেন।
· ২৪ বছরের মধ্যে ব্রেনের ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে কিন্তু বিভিন্ন জ্ঞানীয় বা তত্ত্বীয় জ্ঞান বিভিন্ন বয়সে বিভিন্নভাবে তীক্ষ্ণ হয়। মজার কথা হলো, জীবদ্দশায় এক সময় আপনি কোথাও অনেক ভালো করবেন আবার কখনো অনেক খারাপ।
· এলকোহল পান করার সময় আপনি শেষবার কী করেছেন তা মনে রাখতে পারছেন না কারণ মদপানের সময় আপনার ব্রেন স্মৃতি বা মেমোরি তৈরি করতে পারে নি।
· ধারণা করা হয়, অবিশ্বাস্য তীক্ষ্ণ মেমোরি নিয়েই কিছু মানুষ দুনিয়াতে এসেছে, জন্ম নিয়েছে। কিন্তু আসলে সেই memory master দের জিজ্ঞেস করলে বুঝবেন তারা এই দক্ষতা অর্জন করেছেন বিভিন্ন টেকনিক প্রয়োগের মাধ্যমে।
· মানব মস্তিস্কের টিস্যুগুলো dense না। এরা ব্যাপক ভঙ্গুর, হাল্কা এবং তুলতুলে, ঠিক জেলাটিনের মতো।
· ব্রেন প্রতিদিন হাফ কাপ পরিমাণ ফ্লুয়িড তৈরি করে। এই ফ্লুয়িড cerebrospinal fluid এর মাঝে ভেসে বেড়ায়, যার ফলে এটা একটা shock absorber এর মতো কাজ করে যেন ব্রেন নিজের ওজনের ভারেই নষ্ট হয়ে না যায়।
· মাঝেমাঝে অর্ধেক ব্রেন সম্পূর্ণ ব্রেন থেকে ভালো। যখন সার্জন, খিঁচুনি বন্ধ করার জন্যে অপারেশন করেন, hemispherectomy এর মাধ্যমে ব্রেনের অর্ধেক অংশ কেটে ফেলে বা অকেজো করে দেয়। আশ্চর্যের কথা হলো, এতে করে রোগীর ব্যক্তিত্বে বা স্মৃতিশক্তিতে কোনো পরিবর্তন হয় না।
· প্রতিটা মানুষেরই আলাদা আলাদা pattern of connectivity আছে, ঠিক fingerprints মতো।
· যদিও ব্যথা ব্রেনে সৃষ্ট হয়, ব্রেনে এমন কোনো পেইন রিসেপ্টর নেই যাতে ব্যথা অনুভব করা যায়। এর থেকেই বোঝা যায়, ব্রেনের অপারেশন কীভাবে সম্ভব হয়, যখন রোগী সজাগ থাকেন কিন্তু কোনো ব্যথা অনুভব করেন না। মাথাব্যথা- মনে হতে পারে এর উৎপত্তি ব্রেন থেকে কিন্তু আসলে এর কারণ হলো বিভিন্ন ধরনের sensations যা সৃষ্টি হয়- আশেপাশের চামড়া, জয়েন্ট, সাইনাস, ব্লাড ভেসেল বা মাসেল থেকে।
· অনেকেই মনে করেন Brain freeze (ঠাণ্ডা খেলে মাথা ধরা বা ব্যথা করা) এর উৎস ব্রেন কিন্তু না! এটা মুখের উপরিভাগ থেকে উৎপন্ন হয়। ভাগ্যক্রমে Brain freeze এর সময়ে ব্রেনের সেলগুলো ঠাণ্ডায় জমে যায়না, নচেৎ ভেঙ্গে যেত!
· বহির্মুখী ও অন্তরমুখী ব্যক্তিদের ব্রেনের গঠন একেবারেই আলাদা। MRIs এর মতে, বহির্মুখী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে dopamine reward network বেশি সোচ্চার আর অন্তরমুখী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে gray matter।
· Cambridge University এর এক রিসার্চ মতে, ব্রেনের ক্ষেত্রে শব্দের বিন্যাস জরুরী নয়। যতক্ষণ প্রথম আর শেষ অক্ষরটি সঠিক অবস্থানে থাকে, আপনার ব্রেন শব্দগুলোকে রিএরেঞ্জ করে নিতে পারে, দ্রুত পাঠ করার জন্যে। যেমন-
Aoccdrnig to a rscheearch at Cmabrigde Uinervtisy, it deosn’t mttaer in waht oredr the ltteers in a wrod are, the olny iprmoetnt tihng is taht the frist and lsat ltteer be at the rghit pclae. The rset can be a toatl mses and you can sitll raed it wouthit porbelm. Tihs is bcuseae the huamn mnid deos not raed ervey lteter by istlef, but the wrod as a wlohe.
· আপনার ব্রেনের ধারণ ক্ষমতা সীমাহীন। এটা আপনার কম্পিউটারের RAM এর মতো ক্লান্ত হয়ে যায় না।
· সর্বশেষ বৈজ্ঞানিক রিসার্চ মতে, ব্রেনের memory capacity quadrillion or 1015 bytes।
· মানব মস্তিস্ক প্রতি সেকেন্ডে ১০১৬ ক্যালকুলেশন করতে পারে যা যেকোনো কম্পিউটার থেকে বহুগুণে বেশি।
· AI Impacts project এর রিসার্চারগণ এমন একটা উপায় বের করেছেন যা দ্বারা supercomputer কে ব্রেনের সাথে তুলনা করা যায়, যেখানে পরিমাপ করা হয় কত দ্রুত কম্পিউটার ইনফরমেশন আদান প্রদান করতে পারে। এই মানদণ্ড মতে দেখা গেছে মানব মস্তিস্ক IBM Sequoia থেকে ৩০ গুণ শক্তিশালী যা কিনা পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুততম supercomputer।
· জাপানের K computer পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পিউটারগুলোর একটি। যখন তাকে মানব মস্তিষ্ককে নকল করতে বলা হয়, এর মোট সময় লাগে ৪০ মিনিট যা কিনা মানব মস্তিষ্কের ১ সেকেন্ডের কাজের সমান!
· ব্রেনের আনুমানিক ২০০ ধরনের কগনিটিভ গোঁড়ামি ও বিকৃতি আছে যার ফলে আমরা অযৌক্তিক চিন্তা ও ব্যবহার করে ফেলি।
· মেমোরি বা স্মৃতির সময়ের পরিবর্তিত হয়। অনুভব, অনুভূতি, আবেগ, প্রেরণা, ইঙ্গিত, অনুষঙ্গ, ব্যবহার নির্ভর করে কতটা সঠিকভাবে আপনি কিছু মনে রাখতে পারছেন কিনা। যেমন flashbulb memories (ফটোগ্রাফিক মেমোরি) যার ফলে আপনি কোনো দুর্ঘটনা বা দুঃখের কাহিনী হুবহু মনে রাখতে পারেন কিংবা কোনো সুখানুভূতি।
· মানুষ প্রতিদিন হাজার হাজার জিনিস নিয়ে চিন্তা করে। দেখা গেছে প্রায় ৭০% mental chatter (inner conversation) ই হলো নেতিবাচক- আত্ম সমালোচনামূলক (হেয়, সন্দেহ), হতাশাজনক এবং ভীতিজনক।
· মনে করছেন আপনার জীবনের নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতে? ৯৫ ভাগ সিদ্ধান্ত মানুষ তার অবচেতন মনে নেয়।
· ব্রেনে blood-brain barrier আছে যা বাইরের কোনো ক্ষতিকারক পদার্থকে ব্রেনের ভাস্কুলার সিস্টেমে প্রবেশ করতে দেয় না। কিন্তু এই বেরিয়ার ঠিক মোট কাজ করে না। Nicotine মাত্র ৭ সেকেন্ডে ব্রেনে প্রবেশ করে আর এলকোহল মাত্র ৬ সেকেন্ডে!
· আমাদের মস্তিষ্ক সবসময় মানসিক উত্তেজনার আকাঙ্ক্ষায় থাকে।
· মানব মস্তিষ্ক অস্বাভাবিক রকম জটিল এবং মাঝেমাঝেই বেঁকে বসে বৈকি! কিছু কিছু অদ্ভুত বিশৃঙ্খলার মধ্যে আছে exploding head syndrome disorder (হেলুসিনেশন), Capgras syndrome ( যখন মনে হয় আপনজনগুলো হারিয়ে গেছে বা বদলে গেছে কিছু ছদ্মবেশী, রোবট বা এলিয়েন দ্বারা), Cotard’s syndrome (মনে হবে আপনি নিঃশেষ হয়ে গেছেন)
· মহাপণ্ডিত ব্যক্তিরা যুগে যুগে কালে কালে জন্মেছেন ঠিকই কিন্তু মাঝে মাঝে কোনো আকস্মিক আঘাত বা দুঃখ মানুষকে মহাপণ্ডিত বানিয়ে ফেলে অর্থাৎ সে নিজেকে অন্যভাবে বা নিজের মধ্যে এমন কিছু গুণের আবিষ্কার করে যা আগে তার ছিল না।
· ব্রেন সেলের সার্বক্ষণিক ফুয়েল সাপ্লাই দরকার বেঁচে থাকার জন্যে, কিন্তু তবুও এমন কোনো ব্যবস্থা নেই যে এই এনার্জি মজুদ করে রাখা যায়। কিন্তু ভাগ্যক্রমে একটা ব্যাকআপ সিস্টেম আছে। লিভারের ফ্যাট গুলো ভেঙ্গে কিটোন বডিস তৈরি করে যা ব্রেনের জন্যে substitute fuel হিসেবে কাজ করে যখন কিনা ব্রেনে গ্লুকোজের ঘাটতি সৃষ্টি হয়।
· আপনার মস্তিষ্কই আপনার একমাত্র ব্রেন নয়! (The brain in your head isn’t your only brain)। আপনার intestines এ রয়েছে ১০০ মিলিয়ন নিউরন। Gut bacteria আনুমানিক ৩০ ধরনের নিউরোট্রান্সমিটার তৈরি করতে পারে যার মধ্যে রয়েছে সেরোটোনিন হরমোন বা হ্যাপি হরমোন।
· Apple এর ডিভাইস আর Android ডিভাইস ইন্তু একদমই আলাদা। MRIs মতে Apple এর ডিভাইস তাদের ব্রেনে god spot এর উত্তেজনা বা উদ্দীপনা তৈরি করে ঠিক আস্তিকের ঈশ্বর ভক্তির মতোই।
_________________
লেখক : নাবিলা আফিয়া
কোয়ান্টাম ফাউণ্ডেশন।
loading...
loading...
এক জীবনে কত কিছুই না অজানা থেকে যায়। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ স্যার।
loading...
সংগ্রহ করে রাখলাম কবি দা। ধন্যবাদ আপনাকে।
loading...
এতো জটিল একটি বিষয় জানা ছিলো না দাউদ ভাই। শেয়ার করে ভালো করেছেন। হয়তো মনে থাকবেনা, টুকে নিলাম।
loading...