নিয়ত বা দৃষ্টিভঙ্গিই হচ্ছে আসল !…
এর সাথে দ্বিমত পোষণ করার মত কেউ থাকলে আমি সর্বপ্রথম তাঁকে স্যালুট জানাই।
কারণ দৃষ্টিভঙ্গি যার যার কর্ম তার তার।
আপাত দৃষ্টিতে মসজিদ হচ্ছে উপাসনালয়, বিশ্বাসীরা একে আল্লাহর ঘর বলেন, কিন্তু অসংখ্য
মানুষ আছে যারা মসজিদ কে ব্যবহার করে সেখান কার টয়লেটের জন্য, তা না হলে দেখা যাবে সে কোন দিন মসজিদে প্রবেশ করার প্রয়োজন মনে করে না।
একজন মানুষ কে মানলে ভক্তি করলে বিশ্বাস করলে আপনার চোখে সে অনন্য !
যার একিই মানুষ কে যদি ভিন্ন চোখে দেখেন তাহলে দেখবেন সে-ই মানুষ টাই আপনার কাছে নগণ্য, হীন,নিচ! পৃথিবীতে হাজারো উদহারন আছে বাইজী নৃত্য থেকে তুলে এনে অনেক বহুচারনী কে স্ত্রী’র মর্যাদা দিয়েছেন ,তাও যেই সেই মর্যাদা না একেবারে রাজরানী করে ঘরে তুলেছেন অন্য এক
রাজা মহারাজা, সওদাগর, শিল্পী ……
আবার দেখা গেছে সম্ভ্রান্ত বনেদী পরিবারের কোন মেয়ে কে সামাজিক রীতি নীতি কিংবা সকল আনুষঙ্গিকতা মেনে সমমানের কোন ঘরে বৌ করে নিয়েছে; দু দিন যেতে না যেতে
সেই গৃহের পাটল ধরে, সেই পাটলে বিষাক্ত সর্প বসত বানায়…।
এমন দেখা গেছে সেই বনেদী গৃহের কন্যা আপন গৃহে কয়েদী নয়তো পলক পেলার আগেই
অনায়াসে ভনে গেছে বাইজী পাড়ার রক্ষিতা। পুরুষদের বেলায় ও একি উদাহরণ রয়েছে ভুরি ভুরি
কেউ আছে নারীর সংস্পর্শে নিজেকে মানুষের মত মানুষ বানাতে সক্ষম হয়েছে, আবার কারো জীবন তুষের আগুনের মত অঙ্গার হয়ে আছে, না পারে নেভাতে না পারে জ্বালাতে। এই সব কিছুর অন্তরায় যে বিষয় টি কাজ করে সেটাই হচ্ছে দৃষ্টিভঙ্গি , নিয়ত।
ভালবাসা হচ্ছে সেই দৃষ্টিভঙ্গির মূল শক্তি! নিয়ত আর ভালোবাসা একে অপরের পরিপূরক।
কোন কোন ক্ষেত্রে আমরা যে কাউকেই ইচ্ছা করলে এক মুহূর্তে পর বানিয়ে পেলতে পারি, কিন্তু এক জীবনেও কাউকে আপন করতে সক্ষম হই না। একটা সালাম দু ভাবে দেয়া যায়-
এক- আন্তরিকতার সঙ্গে ভক্তি
আরেক- হচ্ছে ভয়ের সাথে দায়িত্ব!
আবার অনেক কে খুব কড়া করে গালি দেয়া হলেও সেখানে ঘৃণা থাকে নাম ক্ষোভ থাকেনা লক্ষ্য করলে দেখা যাবে এক টা নিবিড় দাবী, অধিকার, কিংবা এক ধরনের শুভ কামনা কাজ করে সেই গালিতে।
আবার
এমন ও অনেক আছে গালি দিতে হয় না- সাধারণ কোন বাক্যতেই গালি হার মানে। কারণ সেখানে ক্ষোভ থাকে ঘৃণা থাকে।
কোন মানুষ এর মুখে একটু হাসি ফোটানোর জন্য কেউ আছে জীবন ভাজি রাখতে পারে, অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে যার জন্য এমন জীবন বাজি অনেক ক্ষেত্রে সে-ই অবলীলায় তাকে পাগল বলে , অথবা রহস্যের গন্ধ খোঁজে কোন কোন ক্ষেত্রে নাটক বা আরো জঘন্য মন্তব্য করতেও দ্বিধা বোধ করে না।
পক্ষান্তরে- এমন ও দেখা যায় যার মনে বক্রের মত চালাকির জাল বিস্তৃত , যাক মনে অতীত কিংবা বর্তমান কোন কালেই এত টুকু সৃজন বোধ ছিলো না সম্মান ছিলো না সেই মুখোশের মানুষ টি অবলীলায় প্রিয় হয়ে উঠে। এই জন্যই –
কোথায় যেন শুনেছিলাম- ” কোন ভাল- নেক বান্দা কে খারাপ বা মন্দ বানানো খুব সহজ, কিন্তু যেসব খারাপ মন্দ মানুষ গুলো ভালোমানুষের অভিনয় করে তাদের কখনো খারাপ বা মন্দ বানানো সম্ভব নয়”
জীবনের বাঁকে বাঁকে আমাদের হাজারো ঘটনা ঘটে যাচ্ছে প্রতি নিয়ত-
কোন টা ইতিবাচক কোন টা নেতিবাচক; আবার কোন কোন ঘটনার রূপ এমন যে আপনি নির্ধারণ করতেই পারবেন না ঘটনা টা নেতিবাচক না কি ইতিবাচক! আর সততা এখানেই মার খায়। বাস্তবতা এখানেই ফেঁসে যায়।
সে যাই হোক এসব তাত্ত্বিক কথা কেউ পড়বে না জনি
পড়লেও মনে মনে হুম বলবে অথবা আড়চোখে প্রোফাইলে থাকা পিকের দিকে তাকাবে আর মনে মনে বলবে” ক ত দে খ লা ম, আর কত দেখব…………
হুম বন্ধু গন
আমি আপনাদের জ্ঞান দিতে আসি নি
সত্য বলতে কি জ্ঞান বা বিবেকের বড্ড অভাব আমার।
ব্যক্তিগত ভাবে আমি অনেক নিচু তলার একজন, ঠিক যেমন রাজধানীর আকাশ চুম্বী ভবনের পাশে ঝুপড়ি তে থাকা কিছু জীবন নিজেদের মানুষ বলে যারা জীবন কাটিয়ে দিচ্ছে নিভৃতে- নীরবে। রাজধানীর উদহারন টা এই জন্য দিলাম কারণ সেই আকাশ চুম্বী অট্টালিকায় আলিশান ভবনের মানুষ গুলো রাজধানীতে থাকে , আবার একিই ভবনের নিচে ব্যঙ্গের ছাতার মত গড়ে উঠা ঝুপড়িতে থাকা মানুষ গুলোও রাজধানীতে থাকে-
ঠিক এমন সামাজিক ওয়েব সাইড ফেস বুকের মত।
এখানে অনেক বড় মাপের মানুষ, সত্যিকারের মানুষ, ইমানদার, বিশ্বাসী, দয়ালু, ধনী গরীব, লুচ্চা বদমাশ , ভণ্ড, বেশ্যা, দালাল সবাই থাকে। তবে আমি সেই দিক থেকে ভাগ্যবান যে
মানুষ হিসেবে এত ক্ষুদ্র বা নগণ্য হয়েও ফেসবুকের বদৌলতে, ব্লগের বদৌলতে সমাজের অনেক নামী দামী, অনেক বুজুর্গ, অনেক সম্মানী ব্যক্তিত্বের বন্ধু( ফেসবুক বন্ধু) হতে পেরেছি।
আমার বন্ধু তালিকায় বেশীর ভাগই সুনাম অর্জন কারী লেখক, কবি, চিত্র গ্রাহক, ডাক্তার, আইন জীবী, ইত্যাদি সু প্রতিষ্ঠিত মানুষ। আমি যাদের সব সময় আন্তরিক ভাবে সম্মান করে এসেছি, ভালো মন্তব্য করার চেষ্টা করে এসেছি। আলহামদুলিল্লাহ!
এদের অনেকের সাথে এক বেলা খাবার খাওয়ার সুযোগ হয়েছে, অনেক এর সাথে এক বেলা সঙ্গ দেয়া, কারো কারো বাড়ী তে বেড়িয়ে এসেছি, খেয়ে এসেছি
আবার কারো কারো সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে ,কারো কারো সাথে আরেকটু গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। আসলে মানুষ সারা জীবনই সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ, তবু কেউ কেই আছেন যারা এই সম্পর্কের নাজায়েজ ফায়দা লুটে, বন্ধন ও বিশ্বাসের পুঁজি করে চাল চতুরি করে, তাদের কাছে পরিবার ( বাবা, মা, ভাই, বোন, স্ত্রী, সন্তান)গুরুত্বপূর্ণ নয়। অথবা সামাজিক অবস্থান ও জরুরী নয়। তারা যে কোন সময় যে কোন কাজ করতে পারে, বেঈমান বা অকৃতজ্ঞ হতে পারে!
কিন্তু আমি সব সময় শোকর গোজার মানুষ!সম্প্রীতি আর সম্মানের সাথে ভালবেসে যাওয়া আমার চেতনার অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাছাড়া স্রষ্টাতো রয়েছেন। তাঁর উপর আমার পূর্ণ আস্থা বিশ্বাস রয়েছে।
– দাউদুল ইসলাম
(কবি ও প্রাবন্ধিক)
loading...
loading...
ওজনযুক্ত সব কথা বলেছেন। কিছু কিছু বিষয়ে কেউ হয়তো বলবেন, "এটা আপেক্ষিক"। দ্বিমত হওয়ার জো নেই।
মুগ্ধ হয়ে পড়লাম জীবনের কথাগুলি।
loading...
দারুন শিক্ষণীয় পোষ্ট।
বদলে যাক সবার দৃষ্টিভঙ্গি।
শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে সবাই নিস্তার পাক।
ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।
loading...
ভালবাসা হচ্ছে সেই দৃষ্টিভঙ্গির মূল শক্তি! নিয়ত আর ভালোবাসা একে অপরের পরিপূরক। জীবন বোধের যে অপূর্ব প্রকাশ করেছেন তাতে মুগ্ধ হলাম কবি দা। ভাল থাকবেন। শুভ শারদীয়ার অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
loading...
গুরুত্ববাহী কিছু কথা উঠে এসেছে। যা আমার নিজস্ব ভাবনা এবং চেতনার সাথে মিলে যায়। আপনার দৃষ্টিভঙ্গী থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। বিনম্র শ্রদ্ধা রাখি স্যার।
loading...
নিয়ত বা দৃষ্টিভঙ্গিই হচ্ছে আসল। একমত।
loading...