তোদের লজ্জা করছে না?
লজ্জা করছে না- রোজ একটি মৃত পতাকা উত্তোলন করে স্যালুট গ্রহণ করতে?
লজ্জা করছে না- ক্ষত বিক্ষত একটি পতাকা ব্যাবহার করে
সিংহের মত সাইরেনের গর্জন তুলতে? রাজপথে ছুটতে?
মৃতের দুর্গন্ধ পাচ্ছিস না
লাশের স্তূপে দাঁড়িয়ে তোরা মেতেছিস কোন বিজয় উদযাপনে?
মানচিত্র তো সে দিনই লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে-
যে দিন আমি আমার সাত বছরের শিশু কন্যা সহ ঝাঁপ দিলাম ট্রেনের তলে…
ওরা ধারালো ব্লেডে ফালাফালা করলো-আমার মা , আমার মাটি, আমার পতাকা
ছোপ ছোপ রক্তের দলা থেকে আমি আমার কন্যার ক্ষত বিক্ষত দেহ তুলে নিয়ে
দৌড়লাম… হাসপাতালে
বিচারে আশায় দৌড়লাম থানা, পুলিশ, সমাজের কাছে
হাত পা ধরলাম
অণুয় বিনয় করলাম বড় নেতা, ছোট নেতা,পাতি নেতা সবার কাছে
আমার কোলে আমার মেয়ে
ভীত-সন্ত্রস্ত, থেকে থেকে আঁতকে উঠছে
একবার গলা ফাটিয়ে চিৎকার করছে, আবার ভিড় ভিড় করছে
যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে বেহুশ হয়ে যাচ্ছে
ফের নিজে থেকে ফিরছে হুঁশে
আমি তাকাতে পারছিলাম না… আমি শুধু দৌড়চ্ছিলাম অন্ধের মত
উন্মাদের মত…
আর নির্বিচারে উপেক্ষিত হচ্ছিলাম এক একটি দরজা থেকে…
প্রশ্নের পর প্রশ্ন
প্রশ্নের পর প্রশ্ন
ওরা আমারই মুখ থেকে শুনতে চায় আমার কন্যার বলাৎকার কাহিনী!
আমি তো কত আগেই হারিয়েছি ভাষা, স্বর
কি উত্তর দেবো?
এভাবে প্রশ্নের দৌরাত্ন আমাকে তাড়া করতে করতে নিয়ে গেলো মৃত্যুর দুয়ারে
আমি দৌড়চ্ছি…
ইট, পাথর…আর রক্তের স্তর
আমার আগে দীর্ঘ মিছিল… মৃত্যুকামী মানুষের স্রোত
পেছনে অসংখ্য প্রশ্ন…
দৌড়তে দৌড়তে আমি আমার সন্তান বুকে নিয়ে ঝাঁপ দিলাম চলন্ত ট্রেনের তলে
বা বা……
একটি চিৎকার!
স্রেফ একটি চিৎকার… তারপর খণ্ড বিখন্ড দেহ… অঙ্গ প্রত্যঙ্গ… রক্তের ফিনকি
আমি বিচার চেয়ে পেলাম মৃত্যু
আর তোদের দিয়ে গেলাম নির্বিচার জীবন ভোগ
দিয়ে গেলাম সম্ভ্রম হারা মানচিত্র… অভিশপ্ত পতাকা…
দা উ দু ল ই স লা ম।
loading...
loading...
‘তোদের দিয়ে গেলাম নির্বিচার জীবন ভোগ
দিয়ে গেলাম সম্ভ্রম হারা মানচিত্র… অভিশপ্ত পতাকা…’
অভিশাপের বাণী কখনও মিথ্যে হবার নয়। রাষ্ট্রযন্ত্র এর ভার বইবে কিনা জানিনা !!
loading...
সালাম জানুন স্যার
রাষ্ট্রযন্ত্র ভার বইবে না জানি… কিন্তু সাধারন মানুষ প্রতিনিয়ত এই ভারে
জর্জরিত…ক্লান্ত…
তবু ক্রোধ প্রাকাশে যদি কিছুটা ভার কমে…
loading...
loading...
** শুভ কামনা সবসময়…
loading...
ধন্যবাদ দিলওার ভাই
শুভ কামনা…
loading...