ভ্রূণের শহর ছেড়ে চলে আসা নদীর কাছে জানতে চাই,
পুষ্পেরা কেমন আছে। উত্তরে হাসে নদী, বলে –
ভাসাই বলেই আমি জোয়ারের জনক
আর যারা ভালোবাসার মর্মার্থ জানে,
তারাই বলতে পারে- কী মহান বিরহের ত্বক।
উজানের উৎস থেকে উঠে আসা মেঘের কাছে
জানতে চাই, তুমি কি পারো হে বন্ধু
পুঁতে যেতে ভাসানের
ভোরের দেয়ালে লাগানো আয়না।
ক্রমশ বদলে যাচ্ছে আয়নার ভেতর-
দৃশ্যগুলো ক্লান্ত বহুকাল।
দৃশ্যের ফাঁকে আমরা বড় একা-
আটকে আছি অসুস্থ সময়ের আচ্ছাদনে।
তবুও আতঙ্ক আর দীর্ঘশ্বাস-
গোপন করে আকাশের দিকে তাকাই
দেখি, আমাদের বারান্দায় আকাশ থেকে-
ঝরছে নতুন চাঁদের ভাঙা ভাঙা আলো।
আমরা আধভাঙা বিশ্বাস নিয়ে—
তাকিয়ে থাকি সেই বারান্দার
একখানা পুরানো খাতার ছেঁড়া পাতা নজরে এলো। ভাঁজ খুলে দেখি ছেঁড়া কাগজে লেখা আছে, বাঁধা ধরা লেখাপড়ার প্রতি কোনকালেই আমার খুব বেশী আগ্রহ ছিল না। স্মৃতিশক্তি প্রখর হওয়ায় বাড়তি সুবিধা ছিল, স্কুলের পড়া একবার দু’বার পড়লেই মনে থাকতো। তাই স্কুলের
জীবন|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৮০ বার দেখা
| ৪০৭ শব্দ ২টি ছবি
মন ভালো রাখতে ব্রহ্মপুত্রের কাছে এসেছিলাম
এখানেও তিল রাখার মত জায়গা নেই
পঙ্গপালের মত গিজগিজ করা মানুষ
দুই চোখ চার চোখ
কোনটা ছেলে কোনটা মেয়ে কোনটা
বুড়ো আর কোনটা আইবুড়ো বুঝা মুশকিল
লাল ফিতার দৌরাত্মার চেয়েও মেকাপের দাপট বেশি!
সেই কবে পড়েছিলাম- শস্যের চেয়ে আগাছা বেশি
আজ
প্রশ্ন করা মানুষের উন্নতির ভিত্তি। প্রশ্ন জিজ্ঞাসার মাধ্যমেই আমরা নতুন ধারণা আবিষ্কার করি, পুরানো অনুমানকে চ্যালেঞ্জ করি এবং যা সম্ভব তার সীমানা ঠেলে দিই। আমরা একটি নির্দিষ্ট বিশ্বাস বা কর্ম সম্পর্কে যতই নিশ্চিত বোধ করি না কেন, এটি কেবলমাত্র প্রশ্ন করার মাধ্যমেই আমরা সত্যই
জীবন|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৬৭ বার দেখা
| ৭৭ শব্দ
নিশ্চয়ই পূর্বজনমে আমরা একই সমুদ্রে বসবাস করেছিলাম।
দ্রবণে ছিলাম তবে নোনাজল,
আর আমাদের প্রতিবেশী ছিল মনুষ্যপাথর সকল।
পাথরের ভিন্নচোখে দেখা হয়, যে ভবিষ্যত
মানুষের পদরেখা সে ছায়ায় একা হয়ে থাকে
কেউ পড়ে শিরোনাম, কেউ বসে মুখছবি আঁকে।
আমরা কি তবে সেই এঁকে রাখা জীবনের আলো
কালি আর রঙ মাখা- নগরের আদিম
মানুষ অন্ধ হয়
হতেই হয়- প্রেমান্ধ, ধর্মান্ধ, ধনান্ধ, ক্ষমতা কিংবা শোষোণান্ধ
কেউ কেউ আবেগান্ধ, কেউ কেউ রাগান্ধ
আবার কেউ কেউ ডুবে থাকে শরীর সম্বন্ধীয় মোহান্ধতায়
অন্ধত্ব মানুষকে নিয়ে আসে চারিত্রিক এককে-
অন্ধত্বে আত্মস্থ হয়ে উঠা মানুষ গুলো একে একে ধারণ করে
বিশেষ বিশেষণ,
অন্ধত্ব জুড়ে থাকে তাদের জীবনের
যে কীর্তিমান মহাপুরুষের জন্ম না হলে বাংলা সাহিত্য অপূর্ণ থাকতো, তিনিই আমাদের বাঙ্গালি জাতিসত্তার কবি, প্রাণের কবি, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। যার সম্পর্কে অল্প কথায় কিছুমাত্র বলার সাধ্য আমার নেই। এক সমুদ্র জল থেকে এক ‘আজলা ভরে যতটা তুলে
ভোরের আকাশে ঝুলে আছে শরতের আলো;
শ্রাবণের রঙ নেই নীলে, হলো না আর মেঘ কালো;
শ্রাবণ যায় বৃথা, বৃষ্টির ধারা আর বইলো না
তীব্র উষ্ণতায় মনে শান্তি আর রইলো না।
এই শ্রাবণ যেন তুমি, আগুন খরা
যেন আগুন দিয়ে গড়া
কেমন অহম বলো তার, ঠিক যেন
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৭১ বার দেখা
| ১৪৮ শব্দ ১টি ছবি