শিশু কালটাই ছিলো ভালো
থাকতাম মায়ের কোলে,
ছিলো না কোনও ভাবনা চিন্তা
থাকতাম হেসে খেলে। যখন একটু হাঁটতে শিখলাম
হাঁটি হাঁটি পায়ে,
দুষ্টুমি-টা বেজায় বাড়লো
সারা পাড়া গাঁয়ে। আরেকটু যখন বড় হলাম
তরতাজা এক কিশোর,
তখন কী-আর থাকতাম বাড়ি
মাঠেই হতো ভোর। কিশোর থেকে যুবক যখন
যৌবন দেখা দিলো,
যৌবনের আগুনে জ্বলে পুড়ে
সব হলো

আমাকে ইন্দ্র মোহন রাজবংশী
করে যদি পাঠাতে অন্তত একদিনের জন্য
সম্মানের পুনরুজ্জীবন পেতাম। এই যে মরে গিয়ে চিহ্ন হীন এক কবরে
শুয়ে আছি। এই যে কবরের ফাঁক গলে
শেয়াল প্রতিদিন হিসু করে। বলো খোদা এটা কি ন্যায় বিচার! জীবিত আমি তুচ্ছ ছিলাম
অনেকের জুতোর শুকতলা

আঠাশ (ক)
আকাশ থেকে টাঙানো ছায়ার কুচি দেওয়া ফুল সাইজ বিকেল, সেই চাঁদোয়ার নীচে হারমোনিয়াম বেজে উঠল। কলোনির বাচ্চারা ডিঙি পেড়ে জানলা দিয়ে তাকিয়ে খিকখিক ক’রে হেসে পালাচ্ছে — এমা এত বড় কাকিমা গান গায়! মায়ের মুখোমুখি বিভোর শিউলি; পাশে চাঁদ বেলোর ফুটোয় পায়ের

এপ্রিল এলেই মনে হয় জন্ম নেবার এখনই সময়
এক নারীর প্রসব সুখে লু্কনো অসুখ
লিকলিকে হাতে স্পষ্ট শিশুর উল্লাস
মনে পড়ে যায়, এপ্রিল আমার জন্মমাস। কবে যেন মা বলেছিল, যুদ্ধের দিনে জন্ম বলেই
অমনিতর খাপছাড়া তলোয়ার আমি
চশমাটা হাতে নিলে কেবলি দু’টো গোল্লা দেখি, ফ্রেম আঁটা
অথচ নাকি দেহধারনকালে আমার চোখ

অনেক কাল আগলে রেখেছি তিন কন্যার স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটি লাইফে জেতা রাশি রাশি ট্রফি মেডেল সার্টিফিকেট। তিন কন্যারই একাডেমিক শিক্ষা জীবন আপাতত শেষ, এবার তাদের যত অর্জন সবই প্রত্যেকের নামে নামে র‍্যাপ আপ করা শুরু করেছি। বাড়ির বিভিন্ন স্পটে সাজানো

জীবনে
অংকবাজি শিখিনি
ভালবাসলে অন্তর থেকে ভালবেসেছি
ঘৃণা করলেও অন্তর থেকে
যদিও
ঘৃণার মানুষ নাই আমার
ভাল না বাসি, ঘৃণা করিনা।
করলেও তাকে জানিয়ে দিই!
সে জানুক কেউ তাকে ঘৃণা করে
ভালবাসি নিভৃতে
নীরবে
শ্রদ্ধা করলে অন্তর থেকেই করি।
তেল মারিনা
খুশি করতে রঙ মাখি না!
খুব কম মানুষ কে অশ্রদ্ধা করি-
যারা দ্বিমুখী স্বভাবের

বাঁশের সাঁকো দেখলেই মনে পড়ে যায় বিদ্যালয় স্মৃতি
ভুল শুদ্ধতার কাটাকাটিতে ভরে যায় তখন মন জ্যামিতি;
কী ঝড় কী তুফান আমরা সাঁকো পেরিয়ে যেতাম বিদ্যালয়ে
ফিরতাম বিকেল হলেই সাঁকো ধরে আপন আলয়ে। খোয়াই নদীর উপর সেই বাঁশের সাঁকো
ফিরে যেতে সেখানে মন এখনো করে আকুঁপাকু;
কত

কোন সুখে বাবুই পাখি
করে শিল্পের বড়াই
যেই সুখেতে মুক্তিযোদ্ধা
করেছিলেন লড়াই। কোন সুখে একটি শিশু
পতাকার ছবি আঁকে
যেই সুখেতে একটি শিশু
মামা বলে ডাকে। কোন সুখেতে মাঝি ভাই
ধরে নৌকার হাল
যেই সুখেতে বয়ে চলেছে
বাংলার নদী খাল। কোন সুখেতে বৃষ্টি ঝরে
মায়ে ফুলায় বুক
যেই সুখেতে চাষি ভাই
সব ভুলে যায় দুখ। কোন সুখে দামাল ছেলে
আকাশে ওড়ায়

একটা ছাতির নিচে আলাদা কোনো নীরবতা নিয়ে
ফেরা হচ্ছিল। খুব সহজ ছিল না, ঘাসের শেকড়ে
প্রবেশ করছিল টানা রোদ, ঝিরঝিরে একটা দখল
ভাব। ঢুকে পড়ছিল শব্দহীন কল্পনা,ব্রিজ রেখে
গ্রামে যেতে হয়, পৌছলে পুরোনো শৈশব। শহরে-
বাদামের ফেরিওয়ালা দুপুর হতে ভালোবাসে। যেমন
ডুবন্ত বিকেলের আকসা বাতাস, কটা তারিখ নিয়ে
কালো জিপ গাড়ির

তুমি অনেক কিছুই ব্যাখ্যা করতে পারো। ‘জল’কে কেউ কেউ কেন ‘পানি’ বলে,
‘গোরস্থান’ কে ‘কবরস্থান’- কিংবা ‘খোদা হাফেজ’কে ‘আল্লাহ হাফেজ’। কেন কেউ
কেউ মাঝে মাঝে ‘তস্কর’ কে ‘লস্কর’ বানিয়ে বাজারে সেরে নিতে পারে মামুলি
বেচাকেনা। ‘বাতাসা’ খেতে গিয়ে যারা ‘বাতাস’ খেয়ে তৃপ্ত হয়ে নগরে ফিরেছিল
আমি তাদের গন্তব্য