প্রায় তিন যুগ আগের কথা, “নতুন বাংলাদেশ গড়বো মোরা/নতুন করে আজ শপথ নিলাম” গান আর “আটষট্টি হাজার গ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে” শ্লোগানে ক্ষমতাসীন এরশাদ ও তার অনুসারীরা দশদিক মুখরিত করে রেখেছে। এরশাদের পৃষ্ঠপোষকতায় এশীয় কবিতা উৎসব আয়োজিত হচ্ছে। একদল শক্তিমান কবি এরশাদকে ঘিরে রয়েছে।

মাঝে মাঝে ভাবি চাকরিটা ছেড়ে দিবো,
ইদানিং এমন ভাবনা প্রায় আমাকে কুড়ে কুড়ে খায়,
আনমনে হেসে বলি– কোম্পানীর চাকরি আমি ছেড়ে দিবো? না, ছেড়ে দেয়ার ভাবনায় সে-ই আমাকে ছেড়ে দিবে! আচ্ছা বলতে পারো?
আর কতো, নিজেকে পুড়িয়ে অন্যকে খাঁটি করে দিবো?
আমরাও একটা মন আছে,

ভোর চলে যেতে যেতে রেখে যায় চড়ুইদের ধূলোবালি স্নান, শালিক সংসার, কাকেদের কনসার্ট, স্কুল বাস, চায়ের দোকানের উনুনের উপচে পড়া কয়লামাখা ধোঁয়া। এ সব কিছু পেরিয়ে এগিয়ে চলে রোদ পরতে পরতে, যত দূর দেখা যায়, তার থেকেও দূরে। পালিয়ে যেতে

ইহা এক মহাজনি দোকান
যেনো তেনো মহাজনি না
এখানে
আদর্শের তাকিয়া কে
পাপোশ বানাইয়া যতো খুশি পদদলিত করা হোক না কেন-
মহাজন সর্বদাই শির উঁচু করিয়া
খাড়াইয়া খাড়াইয়া মুত্র ত্যাগের অধিকার রাখেন!
এবং কি অমৃত অমৃত জিকির তুলে
সেই মূত্র গিলে গিলে
যে কেউই হতে পারে হৃষ্টপুষ্ট!
চোখের লাজ খুলে
বিবেকের

সাঁকো পার হবার শব্দ শুনি। কারা যেন উজান ধরে ফিরে যাচ্ছে
আরও দূরপথ সুমুদ্দুর-ঘর; অতিসন্নিকটে রইয়াছ তুমি
বনপিপাসার জ্যোৎস্নাসম্প্রদায়,
হলুদ পাতার পায়তারা শেষে
হরিণীবনের কোলেকাঁখে
দাগ কাটা ট্রেন পথের গোলপাতা দেশ,
শস্য হতে ফিরে আসে
হাওয়ার আস্তরে স্মৃতির পাখি;
বসন্তের কথা শেষে নড়ে ওঠা রোদ
বনের হাওয়ায় সেসব ভাবা যাক-
মাইল মাইল আমরা আমরাই তো!