প্রিয় বন্যা
কেমন আছ, ভাল থাক সব সময় সেই কামনা। অনেক দিন পর লিখতে বসেছি।
লিখতে গিয়ে কিছুটা থমকে গেলাম। ইংরেজীতে যত সহজে Dear লিখা যায়, বাংলাতে “প্রিয়” যেন তত সহজে লিখা যায় না। বাংলাতে কাউকে নামের আগে প্রিয় লিখতে গেলে
জীবন|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৩২ বার দেখা
| ৩৫০ শব্দ ১টি ছবি
বারোটি ফুলের কাছে জমা রেখে সবগুলো ভুল
বারোটি আকাশ থেকে তুলে আনি আলোর খোয়াব
বারোটি জোনাকী জানে তুমি-আমি করেছি যে ভাব
বারোটি কবিতা আঁকে সেই ছবি, প্রেমের সমূল।
বারোটি দূরের রেখা কাছে এসে বলে- লিখে যাই
বারোটি ঘুমের রাত আমাদের রক্তমাংস ছুঁয়ে
বারোটি বিরহী পাখি উড়ে যায়, পাতাগুলো নুয়ে
বারোটি মাসের
তুমি কবে কখন কি করে আমাকে ভালোবেসেছ
তা ঘুণাক্ষরেও টের পাওনি
শুধু তোমার বুকের বাম পাশে একটা জমাট ব্যথা
তুমি গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাচ্ছো দু বেলা কিন্তু ব্যথা যাচ্ছে না
অথচ তুমি আমাকে ভালোবাস কিন্তু তুমি তা জানো না।
আমাদের দেখা হয় নি, আবার হয়েছে
আমাদের কথা হয় নি, আবার হয়েছে
যতটুকু
৮৬ অক্ষর বৃত্ত ছন্দ
বিরহ অনলে দগ্ধ ভুল নাই করি
অন্যায়ের পথ ছেড়ে সঠিকটা ধরি।
শেষ বিচারের দিনে ক্ষমা করো মোরে
নিত্য প্রভাতে প্রার্থনা বিধাতার দোরে।
পুলসিরাত কেমনে হবো তবে পার
যা হীরার চাইতে যে অতি সূক্ষ্ম ধার।
প্রভুর হুকুম মতো চলি তবে ভাই
প্রভুর মতো দরদী আর কেউ নাই।
বেলা গড়াচ্ছিল তাই পশ্চিম বার্লিনে যা কিছু করার তা শেষকরার তাগাদা অনুভব করলাম। দুপুর ২টার দিকে প্রথম ট্রেন। ওটা ধরতে পারলে হোক ভ্যান হল্যান্ড হতে রাতের ফেরী ধরা যাবে। এবং ইংল্যান্ডের হারউইচ পোর্টে পৌঁছানো যাবে খুব সকালে।
বন্ধু আসাদকে ফোন করলাম।
জীবন|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২২৫ বার দেখা
| ৩৬১ শব্দ ১টি ছবি
হরিণী রোদ শেষে সন্ধি খুঁজি
নিজেকে টেনেহিঁচড়ে তারপর
শুরু হইল পা নাচাবার যাত্রা-
অথচ ঘোরের ভেতরে সে সব
ধূলোমাটির পথ, শালবন পরে
দুর্বাঘাসের মতো শরীর ধরে
জড়ায়ে যাচ্ছে সান্ধ্য কুয়াশা;
জীবনের প্রসঙ্গ এলে যেমনতর
প্রয়োজনের তাগাদায়-হৃদয়ে ফিরি
চাষ হচ্ছে-স্বপ্ন; লাল ব্লাউজের রং
জন্মদিন এলে মাঠজুড়ে গোলাপ-
ক্রিমশৈল রঙের পাশাপাশি-তুমিও
বাপঠাকুরদার নিকানো উঠানে
এই সিঁড়ির সিঁথিতে আমাদের ঘর!
২৪
চাঁদের আলো মেখে মেয়েটি
তার প্রিয় মানুষটির তরে
প্রেমের কবিতা লেখে
তারা খচিত সামিয়ানা
নীল আলোয় ভোরে ওঠে
তার নেভি ব্লু গাউন আর
লেসের কারুকার্যে ভরা ব্লাউজে
তাকে ঠিক রাজকুমারীর মত দেখায়
তার দীর্ঘ সোনালী চুল ঘাড় বেয়ে
কোমরের কাছে এসে পড়েছে
মাথাটা ওপর নীল ওড়না
সে তার কবিতায় সুর দিয়ে
তার প্রিয় মানুষের উদ্দেশ্যে
একটার পর
আষাঢ়ের প্রথম কবিতাটা কার্নিশে ঝুলে আছে
তার মাধবী মনে প্রশ্নের পর প্রশ্নের ক্রোধানল;
কাপুরুষ কবি তবুও নিরুত্তর তিনি ভেবেছিলেন
রক্ত, মাংশ, হাড়ের মতো কবিতাও তার দেবোত্তর!
আসলে পৃথিবী এখনো একাই লড়ছে
উন্নত-ইতর প্রাণিরা সবাই যে যার মতো ছুটছে
মাঝে মাঝে কিছু দাঁড়ি, কমা, কোলনে কেউ কেউ
সাময়িক
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২১১ বার দেখা
| ৭৮ শব্দ ১টি ছবি
সে দৃশ্য আবার ফিরে আসুক। সে সমতল ভূমির মন লিখে
রাখুক নাগরী হরফে তাদের পদচিহ্নাবলী। আর যারা পদাতিক
পাতার আড়ালে বার বার লুকিয়েছে নিজেদের কৃতিদিন-স্মৃতিরাত,
প্রভাত হবার আগে জেগেছে চৈতন্যে। বনকে ভালোবেসে সেজেছে
পুষ্পে, নদীকে ভালোবেসে বয়ে গেছে নৈঋতে। দিতে কিছু মন আর
নিকষিত কালের কদম, হিজল – জারুল
তাঁকে দেখে মনে হয়েছে
সে এক বৃক্ষের জীবন
তাঁর জীবনের সাথে কোন এক অপেক্ষামান
জীবনের মিল রয়েছে।
তার চোখ সৃষ্টির প্রাচীন ইথার স্পর্শ করেছে,
এবং অনেক ধ্বংস দেখেছে,
অনেক গৌরব দেখেছে।
অতীত,
প্রথম প্রেমের আনন্দে তার হৃদয় স্পর্শ করলে
সবুজ পৃথিবী নববধূর মতো জ্বলে ওঠে।
প্রেম
সেদিন গভীর উপলব্ধি করলাম-
মেঘের কাছাকাছি থেকে আর
কিছু ধুলি বালি ঘাসের সাথেও-
তারা মৃত্যুকে খুব ভয় পায়;
মৃত্যুর আহা জারি শুনে কোন
কর্ণপাত করে না কারণ রক্তে
ভেজা ক্লান্ত মন নাকি তাদের-
কর্ণপাত মনে করে কি হবে?
মৃত্যু সঙ্গে করে নিয়েই- দূর
দুরন্ত গতিহীন ভাবে ছুটে চলা;
একটা সুখের
কবিতা|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৩৬ বার দেখা
| ৫২ শব্দ ১টি ছবি
আমরা শান্তি চাই
আমরা ভারতের অধিকার বঞ্চিত নির্যাতিত কৃষক জনতা
আমরা অধিকার চাই,
শান্তি চাই,শান্তি।
আমরা উইঘুরের নির্যাতিত মুসলিম সম্প্রদায়
আমরা নির্যাতন থেকে মুক্তি চাই, বাঁচতে চাই
শান্তি চাই, শান্তি।
আমরা কৃষ্ণাঙ্গ বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়তে চাই
আমরা মানুষ হিসেবে অধিকার চাই,
শান্তি চাই,শান্তি।
আমরা কাশ্মীরের নিরীহ জনগণ
যুদ্ধ নয়,শান্তি চাই, শান্তি।
পূর্ণিমার রাতে জোনাকির ছুটে চলার