হুট করেই একটা কবিতা লিখলাম
কবিতার নাম পাখি
লেখা শেষ হওয়ার আগেই পাখিটা
বের হয়ে উড়তে লাগল কবিতার বাইরেও সে বাবুই আবাস বুনল
বাতাস যখন সুখের দোলায়
তখন সে আবার উড়ল বনের দিকে
তালগাছে দোল খেতে গিয়ে
গায়ে কাঁটার খোঁচা খেলো নদী দেখে থমকে দাঁড়াল
বকেদের সাথে ঝগড়া করে মাছ নিল
এবার সে সমুদ্রমুখী
সে উড়ছে

ধীরে ধীরে অন্ধকার গ্রাস করে নিচ্ছে হ্যানোভারের আকাশ। শহরের বাতিগুলো জানান দিচ্ছে রাত নামছে পৃথিবীর এ প্রান্তে। গ্রীষ্মের রাত এদিকটায় এমনিতেই ছোট। নৈশ জীবনের সবটুকু নিংড়ে নিতে ভিড় জমছে শুঁড়িখানায়, ডিস্কো সহ বিনোদনের সবকটা ভেনুতে। ট্রেনের জানালায় বসে এসব দৃশ্যও

মরে যাই তার বিষাদমাখা মুখ
প্লাবিত জোছনায় সে হারিয়েছে সুখ
দূরে দাঁড়িয়ে বালিকা একাকিনী প্রতীক্ষায়
বেশ্ভুষা, পরিজন আদি সবই দিয়েছে বিদায়
চাঁদনী মুখ তার ভাসে অপার্থিব প্রেমের প্রত্যাশায়
নিশিজাগা পাখিরা বিষন্ন তার নিশি রাত ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়
আকাশে ভাঙা গড়া চাঁদ মেঘের তোরণে ভেসে

তুষারের গন্ধ পেলেই আমি হয়ে উঠি, বারুদময়।
রোদ দেখবো না জেনেও আকুতি রাখি, সূর্যের চরণে
আহা! বিগত পৌষ! তুমিও আমার জন্য-
রেখে গেলে না কিছু উষ্ণ হিম, কাঁথার করুণা! আগামী চব্বিশ ঘন্টা এই নগরের সড়কে সড়কে
ঝরবে যে বরফ, কিংবা যে ঝড়োহাওয়া
উড়িয়ে নিয়ে যাবে পুরনো বৃক্ষের বাকল,
কি দিয়ে মোচন

ইচ্ছে করছে
দূর কোথাও নিভৃত নির্জনে
খসাই অশ্রু নিমগ্ন ধ্যানে!
ক্লেদচাপা বুকে
পোড়াই রবিয়াল দুপুর
তীব্র তৃষ্ণ লগনে; মর্মর কাঞ্চনে নিংড়াই হৃদয়
জপি মহানাম বিগলিত ধারায়
খুঁজি
হারানো বাঁশির সুর, প্রিয় বদনাম!!

কে যেন ডাকছে! ঘুম চোখ; তলিয়ে যেতে চাচ্ছে,
পারছে না। ক্রমাগত ডাকছে!
জীবনানন্দের মুখোমুখি বসে আছি,
সব পাখি ইতোমধ্যে ঘরে ফিরেছে।
মুছে যাওয়া রঙে অসমাপ্ত পাণ্ডুলিপি;
মনঃসংযোগের চেষ্টা করছি,
পারছি না। কে যেন ডাকছে। মলে প্রচণ্ড ভিড়, চিৎকারে কান পাতা দায়।
দোকানীর নজর আকর্ষণের চেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত

৪৪/৪২ স্বরবৃত্ত ছন্দ কল্পনা নয় কল্পনা নয়
সত্যিকারের কথা,
পরীর দেশে ফুল কুড়িয়ে
গাত্র হলো ব্যথা। পরীর দেশে ফুল বাগানে
নানা ফুলের মেলা,
হরেক রকম প্রজাপতি
সেথায় করে খেলা। বাহারি ওই ঝর্ণা ধারা
থেকে থেকে ঝরে,
মিষ্টি মধুর ফলে ফুলে
আঁচল খানি ভরে। রচনাকালঃ
০৫/০২/২০২২

লাইফটা ইনজয় করবে কবে?
ক্ষণ জন্মা তুমি- আমি এই ভবে।
জীবন কে সফলতা দিতে
হারাও না যৌবন
টাকা-পয়সা সব হবে তোমার
থাকবে না সেই ক্ষণ এবং মন

ফাল্গুনের অনল রঙ আকাশের গায়ে দেখি!
এক কোকিলের গান শুনি- তবু মন ভরে না,
একমুঠো মাটির দিকে তাকালে ধূসর মনে হয়;
সব ফুলের গন্ধ যেনো বোতলের মধ্যে বন্ধ।
অথচ বাতাসে হিম শীতল ঠান্ডা অনুভব-এতো
শীতের পাণ্ডা শেষ- এখন রৌদ্রতাপ উষ্ণ!
খারাই তুফানের মেঘ শেষে নীল মেঘ

আসুন ছবিটার দিকে একটু ভাল করে তাকাই। বিশেষকরে পাহাড়ের বুকে চলমান পিক-আপ ট্রাক সহ ছবিটার দিকে। এ ছবি আমার নিজের নয়, নেট হতে নেয়া। এন্ডিসের অন্য কোন বাঁকে তোলা এ ছবিই কথা বলবে। Churin রিসোর্টে দু’দিন কাটিয়ে গিন্নীর সিদ্ধান্ত মোতাবেক

এই শব্দ ছুঁয়ে যাক তাকে
আজ যার সবচাইতে মন খারাপ,
অযথা শব্দবাণ ভুলে,
সাতকাহনের ঘুর্ণিপাকে বয়ে,
মনকুচি উড়ে উড়ে ঘর-জুড়ে। কত জন কত কথা বলে।
জানা অজানা মন ভাসে চোখের জলে।
রাতচরা সব কথা ভুলে,
আনাচকানাচে থাকা আনন্দকুচি যত,
নেমে আসুক

যে চোখ কাজল পরেনি,
যে চোখ অনন্য
অশ্রুলবণে ভিজিয়াছে-
সকল প্রয়োজন-গল্পগুলো
তবু সেই হৃদয়ং চোখ
মানুষের চোখ, তাঁরই চোখ
ঘাসের ওপর শৈত্য শিশির শাদা কুয়াশার ভেতর বসন্ত
উধাও দুপুর ওড়ার মতো;

দাগ দেখে আগের মতোই সনাক্ত করতে পারি জন্মের আবাস। কিছু ভুলতৃণ
ঢেকে দিয়েছে যে ভগ্নাংশ, সেই নদীভাঙনের রাতকেও ধরে রাখি বুকের আঁচলে।
আর বলি,
চুম্বনের কামাংশ হয়েই থাক এই মরুচিহ্ন, এই প্রণীত প্রান্তর।
প্রণয়নের বীরত্ব আমার একার নয়। কিংবা আমি একা নই, এই
সমুদ্ররেখাগুলোকে জোড়া লাগাবার অংশীদার। একদা

আমি আজ শূন্যতায় পূর্ণতা খুঁজি
নিরাশার মাঝে দেখি আশার ক্ষীণ আলো।
আমি বেদনার কবি, বিরহের কবি
আমার হৃদয়ের অন্তঃপুরে দুঃখকে
অতি সমাদরে পুষি।
নিজের বক্ষ ভেদে বৃক্ষ যেমন মানুষেরে করে
পুষ্প দান, আমিও আমার জীবনের সর্বস্ব দিয়ে
পেয়েছি শুধু অপমান।
আমি নিস্তব্ধ নির্বাক কবি
কল্পনায় আঁকি প্রিয়জনের ছবি।
আমি