বিগত শতকের গোড়ার থেকেই বদলে যাচ্ছিল আর্থসামাজিক ব্যবস্থার সমীকরণ। পাল্টে যাচ্ছিল সেই প্রাচীন সিল্ক রুট নীতির বাণিজ্যিক গতিপথ। প্রাচীন রাশিয়াতে অভ্যুত্থান, ইউরোপের দেশগুলোতে একের পর এক বিভিন্ন শাখায়

খুব একা একা লাগে, ভীষনই একা
নিজেকে কষ্ট দিতে ভালো লাগে
ভালো লাগে বখে যেতে, নষ্ট ভাবতে
উপচানো এশট্রেতে গোঁজা সিগারেট মাথা দেখতে
ভালো লাগে ভাবতে কতটা নির্ঘুম ছিলাম গতরাত্তির
আমার কষ্ট ছুঁয়ে দূরে বয়ে যায় এক না দেখা নদী। এখানে সব ছিল; ছিল হাসি, আনন্দ, তামাশা
একদিন নারীর মতো

কষ্ট নিজে জেগে থাকে, আর
জাগিয়ে রাখে আমার চারদিকের জগত
অদৃষ্ট
বীভৎস শীৎকার।
জাগিয়ে রাখে অবলুপ্ত আবেগ
আদি রাগ
বিষণ্ণ মেঘের পিষ্টে সুপ্ত বহ্নিহার!
জেগে থাকে একটি সুষম প্রভাতের অপেক্ষা,
জাগিয়ে রাখে আতপ্ত চাঁদ,
সোনালি আভার বুকে সূক্ষ্ম উষ্ণতা, দূর্বার আঘাত।
যেই ব্যথার তীব্রতা ছুঁইয়ে

রাত জেগে রোজ মশক মেরেছি
পরহিতে দিনে মাছি,
এরই মাঝে এলে পতঙ্গ কভু
সজোরে ফেলেছি হাঁচি। দেখে তা আড়ালে অনেকে জ্বলেছে
ব্যঙ্গ কথার ক্ষেতে,
একজন শুধু দূর থেকে চেয়ে
আশায় উঠেছে মেতে। কতদিন হলো দেখিনি যে তারে
হাসে না বলে স্বদেশী!
খোঁজ নিতে শুনি আজ সে মারছে
মশা-মাছি বেশী বেশী।

প্রেম বিহীন চলে যাবে পথ
ভাবতে পারি কি?
যেমন ভাবতে পারি না
ধুয়া ছাড়া নির্মল আগুন।
এমন জন্ম হবে কিংম্বা হতে পারে,
যতদুর চোখ যায় স্মৃতির দাওয়ায়
কোন উদাসী প্রেমও আসেনি।
এমন ত নয়।
অতিবাহিত সময় আর যাপিত জীবন
যদি বলে দিতে পারতো আগামীর পথ,
তবে দিবধাহীন তোমায় নিয়েই,
দিতাম নিরন্তর উড়াল।
সহজে সব

আনন্দের উত্থান দেখি ঢেউয়ের মননে। চিনে রাখি এইসব
লঘু রোদের ঋতি। ইতি টেনে এসেছি সকল মৌন বৈভবের।
কালের কলতানে হারিয়ে গেছে যে গান, তারও স্বরলিপি খুঁজে
বাজাই এস্রাজ। সাজ, সম্ভাষণ সব ভুলে সমবেত হই সকালের
অমোঘ শয্যায়। প্রায় প্রতিভোরে যে পাখি পালক ফেলে যায়,
আমি করি তারও সন্ধান। প্রাণের

হাওয়ার গান শুনছি-সন্ধ্যার আগে
পাখিরা বয়ে বেড়াচ্ছে-বনবাস
সে অন্যরকম বিল্পবাত্মক প্রবেশ
এত দৃশ্য, যেন সহজাত পরম্পরা- এরকম সিম্ফনির ঘোরছায়া এল
যেদিকে তাকাই ডেটলের গন্ধ
আর বিবিসি সংবাদ, রূপকথা-
ঝুঁকে আছে-শাদা কাতানে ভর
করে মৌসুম গান আর শরীর
যেন সটান পিঠের নিচে ঘাস
ও মাটি খুব নম্র উৎসব নিয়ে
গ্রাম এবং দীর্ঘ শহর-ঘিরে উন্মাতাল
চিত্রল হরিণীর বাদাবন,

আমরা চাই বা না চাই, যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। কারণ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো শুধুমাত্র বাজার ছাড়া আর কোনো মান্যতা রাখে না প্রথম বিশ্বের দেশগুলোর কাছে। আর চোখ বুজে থেকে কেউ রাশিয়ার পক্ষে, কেউ ইউক্রেনের পক্ষে গলা ফাটিয়ে এটা ভাবতেই পারেন

বৈচিত্র ময় রাতে কবিতার ক্রন্দন নেই
আর্তনাদ শুধু মেঘের দোসর জল বয়;
দেখো- চোখের ভিতর বালুচর- আর
থৈ-থৈ জল ঢেউ খেলা বুকের কিরা নায়;
ডুবে যাচ্ছে- যাচ্ছে সব প্রণয়ের ভাবনা-
তবু সান্ত্বনা হও কবিতা! এই ফাল্গুন

স্বরূপ বন্ধুরে আমি এতো ভালোবাসি
কক্খনো নয় তা জলে জলধির তুল,
যদি ভাবো অবারিত ফসলের হাসি
জেনো তা কিঞ্চিত নয় পূরো হবে ভুল। বলছি না আন্দাজে তা এমনই জবান
বিস্তর বিশ্বাসে জাগা নীলিমার মতো,
কিংবা আস্থায় আছে সামান্য লোবান
দানিছে পুষ্পিত বাগ হেসে

ট্রানজিট ভিসা নিয়ে ভ্রমণের এই এক সুবিধা; ঝামেলা যত তা ইমিগ্রেশন পুলিশেই সীমাবদ্ধ থাকে। কাস্টম পুলিশদের বিশেষ কোন মাথাব্যথা দেখা যায়না। কারণ তারা জানে সাথে যাই থাকুক তা নিয়ে বেশিদূর যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। ট্রেন জার্নির ট্রানজিট অবশ্য আকাশ পথের চাইতে

শীতের প্রকোপের অবসানের পরে,
চিরযৌবনা বসন্ত এসে গেলো,
বৃক্ষরাজিতে আজ পুষ্পের মেলা বসেছে ,
আঁচলে মুখ লুকিয়ে।
তুমিও এসো
দূর্বাদলের বুক মাড়িয়ে এসো-
প্রতি ভোরে তোমার চুলে গুজে দিবো ফুল,
মিছে বাহানায় হাত ধরার গল্প সাজাবো।
তোমার স্পর্শ ফেলে কবি সত্তা জাগ্রত হবে,
কতক কথা কিংবা বুনো শব্দ চয়নে,
তোমার প্রতি প্রেম নিবেদনে,
আমি প্রেমিক

অশ্লীল নেশায় তোমাকে জড়াইয়া ধরে
-হাঁটতেছে। আহা! হৃদবৃদ্ধ মানুষকে
পেছনে রেখে নগর কিংবা মেথরপাড়া
কলোনির সম্মুখে গান গাওয়া-যুবক। জোরছে গাইতেছে, গলা ছাইড়্যা-
পথের সিথান বেয়ে-মাঘীপূর্ণিমার
নিশানা এঁকে মলিন পাতায়
থকথকে জ্যোৎস্না, এমন এক
সমুদ্রের মাছগন্ধী বালিকার
স্তন হতে ডেটলের গন্ধ ভাসিয়ে আনছে
স্নিগ্ধ দৃষ্টিরেখা-যেন ধাবমান ট্রেন
স্বর্ণাভ হৃদয় নিয়ে প্রণয়প্রবেশে
এগোচ্ছে এক