রমজানে সংযত হোন। বর্জন করুন খাদ্য উৎসব ও কেনাকাটার উন্মাদনা। খাবার বা ভুরিভোজের চেয়ে এই এবাদত টা জরুরী। খাদ্য উৎসবের চাপে আমরা ভুলেই যাই যে ইফতার ও সেহেরী একটা এবাদত!
নবীজি সা: বলেছেন–
ইফতারের আগ মূহূর্ত হচ্ছে দোয়া কবুলের উত্তম সময়। আল্লাহ

এই হাট বাজারের গরমে
কেমন বুঝি হিম ঠাণ্ডা রমজান!
তবু জানি মোয়াজ্জিনের
আযান, ইফতারে দূর হয় ক্লান্তি;
অবসাদ এতটুকু সংযম-
বোধ চিন্তা নেই মৃত্যুর নেক আলম!
সওয়াবের মাসে অসাধু ব্যবসা
তবু রমজানের শেষে ঈদের আসে বার্তা!
হেসে যাই- মাঠে ময়দান-
এই সব বিদ্বেষ মানে না রমজান। ২০চৈত্র ১৪২৮, ০৩ এপ্রিল

ছোডবেলা সইন্ধ্যার পর বুড়া-বুড়িগো সামনে বইয়া হেগো মুহে শোলক(কিচ্ছা) হুনতাম। শোলক হুনতে খুব ভালা লাগত। হুনলে খালি হুনতেই মন চাইত। হুনতাম রাইক্ষস’র শোলক। হুনতাম শয়তানের শোলক। হুনতাম রাজা-প্রজা আর ধনী-গরিবগো শোলক। হেসুম খালি হুনতামই। কিন্তু তরজমা বা বিশ্লেষণ করনের মতন

যাত্রীর মিছিল শেষ হতে লম্বা সময় লেগে গেল। অনেকে একাধিক হ্যান্ড লাগেজ ও শিশু নিয়ে প্রবেশ করায় তাদের বসাতে যথেষ্ট সময় ব্যায় করতে হল এয়ার হোষ্টেসদের। আমার দু লাইন সামনে ছোট দুই বাচ্চা নিয়ে এক ইসরায়েলি পরিবার বসায় রাতের ঘুম

সন্ধ্যা হয়ে এল তবু সন্ধ্যা এল না
সাঁঝের প্রদীপখানি আজ জ্বলল না
পথের শেষ নেই তবু পথ ফুরায়
আট দশকের সেই সুর বুঝি বা স্তব্ধ
তাঁর মধুকণ্ঠী স্বর আর বাজবে না
সন্ধ্যা রোজ ফিরে ফিরে আসবে
কিন্তু সন্ধ্যামালতী আর ফুটবে

তোমার মুখের কোমল চুমু নিয়ে পালাচ্ছে
হায় প্রিয়তমা, বিষণ্ণ দুপুরের গান!
এই রোদে সিংহের পিঠ ছুঁয়ে গড়াচ্ছে
বামজোটের হাড়গোড়ে শাদা বাঁশি,
বাঁশির নাচঘরে-সমস্ত ঠোঁটের মিছিল
মুঠোমুঠো মৃদুশ্বাসের নিগূঢ় সম্বন্ধ এনে
এই নগরে নাগরিক হয়ে আমিও লড়ছি
বিনয়ী সুরে-সুরে শাদা ভাতের মতো; পেট্রলপাম্পটা পেরোচ্ছে পণ্যের ট্রাক
কিছু শুভ্রবালকের মতো গন্ধ আসে
পশমঘাসের বুনোটে ঘামঘেরা বয়স
আমাদের

পৃথিবী আপাতত বেঁচে থাক অন্ধ হয়ে। চলো, আলোর
আয়োজনে আমরা পূরণ করি তরুপ্রতিম সবুজের ছায়া।
তারপর বিলিয়ে দিই, এইসব পূরণ ও প্রমাণ। যারা নিতে
চাইবে – তাদের হাতেই তুলে দেবো দুপুর, দৈন্যতা ও দ্রোহ। অন্ধত্বের দ্বিতীয় অভিষেক সেরে যারা আমূল গৃহহীন, তাদেরকে
দেখিয়ে যাই ভাঙনের অষ্টম পয়ার। আবার ভাঙুক।

আমরা পেলাম স্বাধীন বাংলা
রক্ত দানের ফলে,
আজ এলো ঐ ছাব্বিশে মার্চ
সবাই খুশির ঢলে। ফুল সৌরভে রূপ গৌরবে
কী সুন্দর যে তুমি,
ইচ্ছে মোদের সতত তাই
হে মা ! তোমায় চুমি। শস্য শ্যামল সবুজ মাখা
দেখলে তোমার হাসি,
নয়

নদীর এত কাছে কেন দ্বিপ্রহরের মাঠ?
জল নেবে আজন্ম তৃষ্ণার?
তোমার জুতোগুলো অতিথি পাখির ডানা
আমাকে গ্রহন করো
আমিই টলটলে নদীজল,
তৃষ্ণা জাগাতে বা মেটাতে জুড়ি নেই। অনেক ঝড় ছেড়ে গেলে ত্রিসীমানা
দেখো, একবার নজর করে দেখো
জলের ভেতর স্বচ্ছ ফটিক
বরফগুলো যেভাবে উড়ে এসেছে এত পথ পাড়ি দিয়ে
দেখো, উড়ে যেতে

বয়স তো ভাই অনেক হলো, যায় কি রাখা ধরে!
ক’দিন বাদেই হয়তো বা যম জানটা নিবে হরে।
হয়নি আজও কিছুই কেনা
গুনছি তবু কালের দেনা
চাওয়া পাওয়ার রজ্জুতে রোজ গিট্টু নতুন গড়ে।
মন জেনে কি থামছে ক্ষণিক বাস্তবতার দোরে! যদি ভাবি হোক না জীবন সবুজ গাছের

মেঘ ছুঁয়েছে পাহাড় চূড়া-
বরফ গলা নদী
তোমায় ছুঁয়ে এমন করে
থাকতে পারি যদি আপন মনে রাত বিরেতে চলার পথে
তোমার আমার কথা
দুপুর বেলা সঙ্গে থাকে
নীরব অলসতা সঙ্গোপনে সন্ধ্যা প্রদীপ হয়নি জ্বালা
তবুও এত আলো
আকাশ জুড়ে তারার কুচি
করছে ঝলোমলো আলোর নাচন চাঁদের বুকে মেঘের বাসর
জোনাক

স্বাধীনতা প্রিয় স্বাধীনতা একের পর এক অধরা
বাতিক কোন নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে তোমাকে?
আটলান্টিকের গভীরে দেদীপ্যমান কোন চূড়া নাকি
এভারেস্ট? সাগর সঙ্গম অথবা জল জঙ্গমে কেনো
এঁকে চলেছো অতি বিশেষায়িত স্বপ্ন বিলাস! অথচ মনের কিনারের কোনো একধারে বিনে পয়সায়
সহজেই খুঁজে নিতে পারতে দ্বিতীয় জন্মের ঠিকানা!
জানি কুয়াশার ভেতর
শিশু

ফড়িঙের পাখাবদলদৃশ্য দেখার সময় হয়ে উঠে না আমার। চলে যায় বসন্ত,
বাসন্তী রঙের আভা রেখে বিদায় নেয় চৈত্র। খরার কথা মনে রেখে সাজিয়ে
রেখেছিলাম যে ছাতা, সে-ও ছায়া প্রদান থেকে বিরত থাকবে বলে ডাকে
ধর্মঘট। আর নগরে যারা ধার্মিক ছিল- তারা আমার পাপের বোঝা দেখে
ঘৃণায় ফিরিয়ে নেয়

আজও একটা কবিতা লিখবো বলে-
তিন প্রহর অপেক্ষায় নদের পাশে থাকি!
অথচ কবিতার ঝলঝলে মুখ দর্শন, বৃষ্টি
ছুঁয়া হাত, কেমন জানি মেঘ ভাঙ্গা আর্তনাদ; বার বার প্রতি ছবি ভেসে উঠে
এক বেদনায় আধার ডেকে আনা-
সোনালি স্মৃতিময়; তবু লেখা