যারা ভালবাসে তারা থাকে না
একে একে যাত্রীবাহী বাস আসে
একে একে হাত নেড়ে উঠে যায়
নির্মোহী আত্মজনেরা
যারা স্নেহ দেয়, তারা থাকে না কিছুতেই।
নির্দিষ্ট সময় এলেই
রঙ্গমঞ্চ ঘুরে যায়
রোদ বৃষ্টি মেঘ ছায়া অতিক্রম করে
বাজ পড়ে বোধন সময়ে
প্রবেশ ও প্রস্থান কান্না শোনে না।
কত রঙ, কত
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৩৩ বার দেখা
| ৬৩ শব্দ ১টি ছবি
‘আমার শরীরে ব্রিটেনের রক্ত’ এই কথা শুনে আতকে উঠেছে আমার প্রাণের বন্ধু। যদিও পরিষ্কার কিছু বলেনি তবু বোঝা যায় সে আমাকে লোভী ভাবছে। একটু আরাম-আয়েশ আর ক’টাকার লোভে নিজের শিকড়কে অস্বীকার করে আছি। তার ধারণা আমি আপাদমস্তক একজন লোভী তাই দেশ নিয়ে কোনো কথা
জীবন|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১১৫ বার দেখা
| ৪৬৭ শব্দ
আমার প্রতিবেশী ছিল আলখেল্লা পরা একটুকরো রাত, ডানপাশে
কয়েকটা মাকড়শা বুনছিল তাদের স্বপ্নজাল। আর শুকনো পাতার
মর্মরে বাজছিল অনাগত দিনের দ্যোতনা, কিছু সমবেত পিঁপড়ে
খুঁড়ছিল মাটি। মাঝে মাঝে এভাবে খুঁড়ে যেতে হয় – তা আমার
আগেই জানা ছিল। কালো বন্দুকটার গায়ে হেলান দিয়ে আমি
যে মমতার স্থির চিত্র আঁকতাম,
লজ্জারং গাঢ় হলে বিব্রত পাল্টে যায়
এমন ব্যাপার কেবল কোথাও না কোথাও
দীর্ঘ জীবনের নরম ঢেউয়ানো সৌন্দর্য
ঢুকে পড়ে অজ্ঞাত শাদা মৃত গোলাপে-
আর শস্য মহার্ঘ প্লাবনে সুবাস ছড়ায়
যা ছিল রক্ষিত বিজ্ঞাপনের মতো; প্রাণ-
তোমাকে খুঁজে পেয়েছি মিস্ত্রির রাত্রিতে
অথবা রাত্রির কোনো স্মরণমুখ নিয়ে
ভারবাহী স্তনের প্রস্থান নাজিল করো
কেন তার ছাঁয়া
এই মুহূর্তে প্রয়াত অর্থমন্ত্রী শ্রদ্ধেয় আবুল মাল আব্দুল মুহিতের কথা বেশ মনে পড়ছে। সামনে পেলে তার কাছে ক্ষমা চাইতাম। কেন ক্ষমা চাইতাম অলরেডি চিন্তাশীল বন্ধুরা বুঝতে পেরেছেন। যারা কোনো কিছু নিয়ে চিন্তা করার মত সময় বা ধৈর্য পান না তাদের জন্য বলছি। ক্ষমা চাইতাম
গোলগাল পৃথিবীর আকাশটাও গোল,
নীল সাদা লাল মেঘ সেথা বাঁধায় গণ্ডগোল,
সাদা মেঘ সন্ধ্যায় লাল হয়ে যায়,
আকাশটাও তার বুক রঙে সাজায়।
সবুজের বুকে জ্বলে ওঠে লাল,
পশ্চিমের সূর্য কী গোলগাল,
গোধূলির রঙ এসে হেসে ওঠে ফিক,
জলের উপর লাল রোদ করে ঝিকমিক।
মিহি হাওয়া বয়ে
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৩৩ বার দেখা
| ১২০ শব্দ ১টি ছবি
আমরা প্রতিদিন স্বাগত জানাচ্ছি বিবর্তনবাদকে, প্রতি মুহূর্তে গত হচ্ছে আমাদের বর্তমান, প্রতি নিয়ত গমন করছি নবীন পটে। আমরা যা শিখেছি পাঠক্রমে, যা কিছু আমাদের মুখস্থ, জানা অজানায় , ঘুরে ফিরে হাজির হচ্ছি স্মৃতিপটে! সোজা পথ হেঁটে যাচ্ছি,
হেঁটে যাচ্ছি বাঁক-
জীবন|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১২৪ বার দেখা
| ১২১ শব্দ ১টি ছবি
বিজয় আমার প্রভাত রবি
সকাল বেলার হাসি,
বিজয় হলো মাঠে ঘাটের
ঘামে ভেজা চাষী।
বিজয় আমার শিশুর বলা
মা মা মধুর ডাক,
বিজয় হলো ফেড়িওয়ালার
মিষ্টি গলায় হাঁক।
বিজয় আমার হাজার স্বপ্ন
তিরিশ লক্ষে কেনা,
বিজয় হলো মাতৃভূমির
সবাই মুক্তি সেনা।
বিজয় আমার গরিব বাবার
ছেলের সফলতা,
বিজয় হলো সব জাতিতে
টুকটুকে লাল বউ সেজেছে
ছোট্ট বিল্লো সোনা,
রুপ দেখে তার বলছে সবে
লাল পরীদের পোনা।
মাথায় টিকলি হাতে চুড়ি
গায়ে রেশমী শাড়ি,
তার হাসিতে মুক্তা ঝরে
মাতায় সাড়া বাড়ি।
কাজল কালো চোখ দুটিতে
কতো স্বপ্ন আঁকে,
বেরু বেরু যাবে যখন
বায়না ধরে মা’কে।
তার কথাতে ময়না পাখি
ভীষণ লজ্জা পায়,
ঘরের মানুষ পথের মানুষ
সবাই তাকে চায়।
আমি তোমার পরিচিত নই, সেকথার ইতিবৃত্ত
না বললেও চলবে,
তুমি আমার পরিচিত- তা বলার জন্যই এই মুক্ত
আকাশের দিকে তুলেছি আঙুল
আর বলেছি- আকাশ নগ্ন হলে রমণীর দু’চোখ
ক্রমশ জলে ভিজে যায়।
বৃষ্টি একাই মধ্যরাতে দেখে সেই জলের প্রকার
যারা পাহারা দেয় ঝড়, যারা বজ্রের চারপাশে
লিখে রাখে নিজ প্রেমিকার নাম,
পরিণত আলোর