ঝিঙে গাছে ফিঙের বাসা
লতায় পাতায় ছাওয়া
দালান নয় কোটাও নয়
এটাই পরম পাওয়া। খড়কুটোয়, পাতা-লতায়
বেঁধেছে আপন ঘর
নিজের ঘরে সবাই স্বাধীন
নাই যে কোনো ডর। তবুও একদিন এলো ঝড়
তার কী ভীষণ মতি
ফিঙেরা সবাই দিশেহারা
দেখে ঝড়ের গতি। কালবৈশাখী এমনি রকম
কোন দয়া মায়া নাই
যেদিকে খুশি ভেঙে চুরে
হাতির মতোন

পোকাও পারে না মারতে
তার আঙুলগুলো আস্তে সে লিখবে একটা পাতা
কিন্তু ভাববে এক-মাথা সবার মাতৃভাষা আছে
আকাশ, শিমূলগাছের
তার নীচু চোখে গচ্ছিত
“বলার চেষ্টা করছি তো!” সে বলবে একটা কথা
তাই ছড়িয়েছে শূন্যতা

গরমের এ কি ধার – আগুনও মানে যে হার
সূর্যটা কেন এতো রেগেছে!
মেঘেরা মেলে না ছাতা – অনড় গাছের পাতা
তবে কি বাতাস ভয়ে ভেগেছে! পাখিদের ঠোঁট ফাঁক – গো ছাগ দেয় না হাঁক
ফসলের মাঠে নেই ছন্দ,
পাশাপাশি কাক হাঁস – ছায়ে করে হাঁসফাঁস
ভুলেছে

গোধূলির আলোয় ঘিরে থাকা স্তব্ধতা যত
বনভূমিতে আছড়ে পড়ে
কিছু পাখি অবসন্ন মেঘেদের বুক চিরে
দূরে কোথাও মিলিয়ে যায়। তোমার মায়াবী মুখ ভেসে ভেসে ওঠে
অবভাস কেবল ঢেউয়ের মতো ভেসে আসে।
গোপন দেরাজ থেকে বেরিয়ে আসে না কেউ
প্রয়োজন পড়ে না, সবই গাঁথা আছে। টুপটাপ

কথা হোক বনের আলোতে
জোসনায়-ভেজা চুলের স্মৃতি শুকাতে শুকাতে
বেদনায়,
বৃষ্টির লালিমায় মেঘ যেমন মুখ লুকোয়-
পরিণত ভোরগুলো গেয়ে যায় জীবনের জয়। কথার আড়ালে থাকুক, অনেক কথার পাহারা
নিতে নিতে বর্ণময় নিশ্বাস-
জলের সমান্তরালে জল
ফুলের সমান্তরালে ফুল
সাজিয়ে আসুক কাছে,
জ্যোৎস্নাগন্ধ পেতে চায় যারা। কথা হোক, রাত্রির বাহুতে

বৃষ্টিরা ঝরে যায় অথচ আকাশে শুভ্র মেঘের আনাগোনা
আকাশের বুকে হয়ে যায় অগণিত স্বপ্ন বোনা,
উড়ন্ত মেঘে মন রেখে দেই, মন চলে যায় দূর,
বৃষ্টির আকাশে মেঘ আহা মনে সুখ এক সমুদ্দুর। যাক মেঘ’রা উড়ে যাক, ফিরে আসুক আমার আকাশে
আমি বৃষ্টির হাওয়া টেনে নেব

তুমি রান্নাচড়ানোর মতো শরীরের পোড়া গোস্ত
নোনাশ করতে করতে এ্যাম্বুলেন্সের ডিপফ্রীজে
বয়ে নিচ্ছ আর যান্ত্রিক মেশিনের হর্ণে মিশে যাচ্ছে
রুহধ্বনি, আর কত? গতকাল বাপে কইয়্যাছে
হাঁপানির ওষধে শেষবারের মতো রোগ সারবার
কথা। মায়ের পরোনি শাড়ি ছিড়ে গেছে। আহা!
দারুণ অভিযোগ, বিষণ্ণ ঘামে এতবড় সুসাস্থ্য
আবদার তাড়া করে-দিন শেষে করুণ চিলের

মরতে চায় না কেউ বাঁচতে সবাই চায়,
বাঘের সাথেও করে যুদ্ধ বাঁচতে দুনিয়ায়।
এই দুনিয়ায় সুখশান্তি সবাই পেতে চায়,
ভাগ্যগুণে কেউ পায় কেউ বুক ভাসায়। জায়গা জমি বাড়ি গাড়ি চায় যে সকলে,
একদিন চলে যাবে সবাই সবকিছুই ফেলে।
রাজা-বাদশা সাধু-সন্ন্যাস মহাজ্ঞানীও হলে,
মরণকে সবাই করছে

বিহান বেলায় প্যাটের ভিতর টুঁ টুঁ কর্ য়্যা কাইনতে থাকে
খিদাখিদাজগতটকে সাপুটে খায়্যেঁ ফেলার লেগ্যে
মনট তখন হাটুর পাটুর ছুটুবেলার ইস্কুলঘরের ছামুটে যুন লাল ধুলার রাস্তাট সিদ্যা
জঙ্গলের কালা আন্ধারে সিঁধাইনছে
উয়ার অগল বগলে মাঠ গুডু (দিকুরা যাকে ইন্দুর বলে)
খাম আলু দুচার পেইলেই দিন

বাবার যা ভুলো মন- তাই বলে এমনটা হবে ভাবেনি মিতুল। নতুন ক্লাসের নতুন নোট বই প্রয়োজন, বাবা বলেছেন আনবেন, ও অপেক্ষায় ছিল। বাবা নোট বইয়ের বদলে একমুঠো উইপোকা কিনে আনলেন, যত্ম করে স্কুলের ব্যাগে ভরে দিলেন। মিতুল

যতবার কাছে আসো
বুক উঁচু হয় প্রলম্বিত শ্বাসে
এক চুমুতে মুখামৃতও টেনে নাও
ফিরে আসে প্রাণ দেহে
ফেরে মন নিজ বলয়ে চলে যাও যতবার
অবাক হয়ে রই
খুঁজে ফিরি আরো কত ছিল ভুল
উপোস্য জীবনে থাকব আরও অভুক্ত?
আরো নতমুখী? সমর্পণ জানেনা বি-জাতের ভাষা
দুঃখ নয়, ক্লান্তি নয়,

নীল আকাশের মাঝে
নীহারিকার সাজে
নিত্য দেখি তোরে,
কত সুন্দর তুই
স্বপ্নে তোকে ছুঁই
দিবার রাঙা ভোরে। নীলে নীলে ভেসে
কোথায় যাস তুই শেষে
জানতে আমি চাই,
কোথায় তোর ওই বাড়ি
পড়িস কি তুই শাড়ি
তোর উপমা নাই। রচনাকালঃ
২৯/০৬/২০২২

যারা ভাবো কুরবানিটা উৎসব বই অন্যকিছু নয়
তাদের ষোলআনা জীবনের ষোলআনা-ই ক্ষয়।
এই কুরবানির রয়েছে যে গৌরবময় এক গাঁথা
তাকওয়ার পরাকাষ্ঠায় নবী ইব্রাহিম হলেন মাথা।
আল্লাহর রাহে নিবেদিত তাঁর প্রিয়পুত্র ইসমাইল
ত্যাগের এই মহিমায় সুখবর দিলেন জিবরাইল।
খুশি হলো গ্রহ-তারা,ফেরেশতারা এবং আকাশ
সেই খুশিতে খোদা কুরবানির নিয়ম করেন প্রকাশ। তবুও কিছু কিছু

তাঁর হুকুম ছাড়া যদি
না নড়ে গাছের পাতা,
কার এমন শক্তি আছে
ছিন্ন করে কারোর মাথা? তাঁর হুকুম ছাড়া যদি
হবেনা চন্দ্র-সূর্য উদিত,
কার এমন সাধ্য আছে
বিনা দোষে করবে দন্ডিত? তাঁর হুকুম ছাড়া যদি
হবেনা দিন আর রাত,
কার এমন ক্ষমতা আছে
ঝরাবো শিলাবৃষ্টি আর বজ্রপাত? তাঁর হুকুম ছাড়া যদি
হয়না জলোচ্ছ্বাস

ও পাখিরে যা না ওড়ে
ফুল নিয়ে তুই ঠোঁটে,
তারে দিবি পাখি, নইলে
মন যাবে আজ টুটে। সাত সমুদ্দুর তেরো নদ
পার হয়ে তুই যাবি?
সেথায় গিয়ে পাখি জানিস?
তার দেখা তুই পাবি! অদৃশ্য এক বন্ধু আমার
দেয় না দেখা এসে,
কোথায় জানি কোন সে সুখে
যাচ্ছে সে যে ভেসে। কত