ক’দিন ধরে আমার সুখ যেনো উপচে উপচে পড়ে
আমিও কম না পরিত্যাক্ত একটি ডায়েরির পাতায়
লুকিয়ে রাখছি সেই উপচানো জলের খতিয়ান,
তবুও সবাই বেসুরো জানতে চায়, কেমন আছো?
আমিও সংকোচহীন বলে দিই তাবত বয়ান—
বলি, বেশ ভালো আছি আছে দুই পাটাতনে পা
কেবল অন্তক্ষরা গ্রন্থিটার খবর কাউকে
আমাদের বাসার সামনের দিকে এক চিলতে উঠান ছিল, এক চিলতেই। সেই উঠানে জাম গাছের পাশাপাশি নিম গাছ ছিল। জাম গাছের ব্যাস, ব্যাসার্ধে নিম গাছকে অন্ত্যজ মনে হত। আমাদের সবার দৃষ্টি জাম গাছের দিকে ছিল, অর্থাৎ জাম গাছ ঘিরে আমরা যেভাবে শোর তুলতাম সে তুলনায়
জীবন|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১১৯ বার দেখা
| ৬৫৬ শব্দ
আকাশ ছুঁয়ে বিজয়ের পতাকা উড়ে, হাসে বিজয় কন্যা দেশ
চারিদিকে সুর কলরোল বইছে সুখের আবেশ
আকাশে কুয়াশায় বিজয়ের সবুজ লাল আছে ছড়িয়ে,
টুপটাপ শিশিরের শব্দে বিজয়ের হাসি পড়ছে ঐ গড়িয়ে।
আকাশ জানে বিজয়ের জন্য লড়ে যাওয়া মানুষের গল্প
এই প্রজন্ম ভেবো না রক্তের বিনিময়ে কেনা
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৭৬ বার দেখা
| ১৬৮ শব্দ ১টি ছবি
এই শহরে কেউ কথা বলেনা, তবু সব কথা ছড়িয়ে যায় কানে কানে।
মন্ত্রী পরিষদ জিরাফের দামে খরগোশ কেনার সিদ্ধান্ত নিতেই রাজ্য জুড়ে হুহু হাওয়া বয়ে যায় –‘চুপ চুপ চুপ বিনে পয়সায় তো আর কিনেনি চুপ চুপ চুপ খরগোশ বড় হলেই জিরাফ হয়।’ হাওয়া জানে এই
সম্পর্কগুলোর যত্ন নিতে হয়
কিছু সম্পর্ক প্রকৃতিতে মিশে যায়
কিছু সম্পর্ক জন্মগতভাবে হয়,
কিছু সম্পর্ক হয় বিধাতার ইশারায়
কিছু সম্পর্কের মাঝে ভালোবাসা কথা কয়।
কিছু সম্পর্ক উচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়
কিছু সম্পর্ক আলোকিত জ্যোৎস্নায়,
কিছু সম্পর্ক থাকে কবিতার খাতায়
কিছু সম্পর্ক অমর হয়।
সম্পর্কগুলোর যত্ন নিতে হয়
কিছু সম্পর্কে
আমি বিশ্বাস করি, এই বাংলার আকাশে প্রতিদিন সূর্য উঠে,
শহিদের ঘাম আর দম নিয়ে। যে গোলাপ
আমার দিকে তাকিয়ে হাসে, অথবা-
যে শিশু সড়কে দাঁড়িয়ে কাঁদে, জানে সে ও,
এখানে একদিন মানুষের কান্নারও অধিকার ছিল না।
আমি বিশ্বাস করি, পিতারা যুদ্ধে গেলেই,
সন্তান দ্রোহী হয়।
মায়ের আঁচলে
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১০৬ বার দেখা
| ৯৭ শব্দ ১টি ছবি
আজকে মহান বিজয় দিবস
খুশিতে সব দোলে,
খোকা খুকি ঘুরতে যাবে
বাবা-মায়ের কোলে।
আজকে মহান বিজয় দিবস
সালাম জানাই ভোরে,
সকল শহিদ মুক্তি সেনা
আসুক ফিরে দোরে।
আজকে মহান বিজয় দিবস
ইতিহাস যাই ভুলে,
যুদ্ধ করে আনলো বিজয়
তাঁরাই জাতির মূলে।
আজকে মহান বিজয় দিবস
একটা নতুন রবি,
এই রবিতে জেগে আছে
মুক্তিযোদ্ধার ছবি।
আজকে মহান
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৮২ বার দেখা
| ৫০ শব্দ ১টি ছবি
সাত
— দাঁড়ায় জল খায় না, দিদি। বিষম লাগবেনে।
শিউলি খাটের ওপর খ’সে প’ড়ে গেলাসে চুমুক দিল।
দিদিমাবুড়িরা একটু বকর-বকর করেই থাকে :
— জীবনে আর তিন্ডে জিনিস মনে রাইখো। কেউ পান খাওয়াতি চালি খুলে দেখে মুখি দেবা। পাইখানা ক’রে মাটিতি হাত ঘষতি ভোলবা না। আর কোনও দিন
জীবন|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১০৭ বার দেখা
| ৯১৪ শব্দ
আতর গোলাপ জলে ধৌত শেষ।
সাদা কাপড়ে মোড়া। নাকে কানে সাদা কাপড়ের টুকরা দেয়া। কপিনের চারপাশ চা’পাতি ঢালা, মাঝখানে নিঃস্তব্ধ নিঃসার সোয়ানো লাশ। মুখোমন্ডল যেন, পেলব প্রশান্তির ছাপ ধরে আছে। চিরতরে, নির্বিকার আর কারো সাথে কোন দিন চলবে না, হাঁটবে না, বলবে না
জীবন|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১১৪ বার দেখা
| ১৪১ শব্দ
নাগেশের সাথে প্রথম পরিচয় ভীতিকর ছিল। স্কুলের সীমানা দেয়াল ঘিরে যে প্রাচীন বটগাছ তার ফাঁকফোকরে সাপের আস্তানা। নাগেশ প্রায় দিন স্কুলের সামনে দিয়ে কোর্টে যায়, কোর্টের সামনে বাবার সাথে সাপের খেলা দেখায়।
বটগাছের নীচে বাদামওয়ালা, আইসক্রিমওয়ালা, আচারওয়ালা। তাদের ঘিরে আমরা। হঠাৎ এক পাতালতি গাছ
জীবন|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১২৮ বার দেখা
| ৪৭৬ শব্দ
॥ক॥
নষ্ট আগুন নিয়ে কিছু লোক চলে গেল এক্সপ্রেস ট্রেন ধরে। বিচ্ছিন্ন ঘাসের
কোলে ডুবে থাকা গ্রামগুলো ঘটনার সাক্ষী হয়ে লিখে রাখলো স্বরবর্ণের শোক।
প্রতিরোধ গড়ে তোলার কোনো ক্ষমতা ছিল না বলে ভাসমান ডিঙিও মাঝির
হাত ধরে কাঁদলো পুনরায়। আমি কোনো কবি নই। তবুও পংক্তির পুনরাবৃত্তি
দেখে
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১০২ বার দেখা
| ২০০ শব্দ