পৃথিবীর তাবৎ কবিরা আজতক রচনা করেনি যেই কাব্য
সভ্যতার ইতিহাসে সঞ্চার হয়নি যেই সৃষ্টির আলো
ধরণীর ক্যানভাসে অংকিত হয়নি যেই জলছবি
আমার হাতে আজ সেই সবিই হবে, কেবল তোমার সঙ্গতা চাই-
সন্ধ্যার আকাশে যে তারা জ্বলছে মিটমিট ধ্রুবালোয়
জ্যোৎস্নার সীমান্তে উড়ছে যেই সোনালী অভ্র দুর্জয়
কিংবা
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১১৬ বার দেখা
| ১৬০ শব্দ ১টি ছবি
ভয় ভয় মন
ভাবি বসে সারাক্ষণ,
কী যেন হয় কখন
কথা বলি যখন।
কথা বলি কম
পেছনে দাঁড়িয়ে যম
কান খাড়া হরদম
উল্টা-পাল্টা হলেই খতম!
ধর্ম অবমাননার অজুহাত
খুঁজে বেড়ায় দিনরাত,
ধর্মের গেলো জাত
ধর মার বেজাত।
তাই মনে ভয়
কখন যে কী হয়,
কেউ যদি কিছু কয়
ভেবেচিন্তে
উজাড় বাড়ি আসলে উজাড় নয়। একটা সময় গভীর জংগলে ছাওয়া ছিল। এই বাড়ির নাম শোনামাত্রই এখনও মানুষের গা ছমছম করে। যদিও আগের মতোন ঝোপ-ঝাড় এখন আর নেই। তবে এখনো যে পরিমাণ গাছগাছালি আছে, তাও একেবারে কম
অণুগল্প|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৮৫ বার দেখা
| ৫৯৪ শব্দ ১টি ছবি
আজলা জল আর সাঁতার শিখতে চাইনে।
দূরের আকাশ, কৃষ্ণচূড়া ফুলের রং খায়-
এত মেরামতি এখানে দারুণে সব হাসছে
সারাদেহের শাসন থামিয়ে সম্পূর্ণ টের পায়
ভাঙারাত্রির স্থির জলরাশি, জরায়ু ফুঁড়ে-
উদ্বিগ্ন একটা মুখ তাকিয়ে থাকার মতো
কয়েকটি ছত্র ভাষা; অবসর-জন্মান্ধ মানুষ
এবং সেসব শব্দের অন্তিম আশ্রয় পড়ছে
ভদ্রমুখ-অক্ষতশরীর, ঝুলে আছে আঙুলে
ইঁদুর বেড়াল মাঝেমধ্যে
আমাদের মতো দেখতে,
ঠিক আমাদের মতোই চলতে পারে-
মিথ্যার ছায়াতলে আশ্রিত,
তারা কি মানুষ?
নিরূপায় হয়ে দু’কদম চলতে,
মনের কথা বলতে-
যারা সঙ্গ দেয় না একাকীতে,
তারাও বুঝি মানুষ!
কবিতার খাতা গুলো ছিঁড়ে ফেলে,
বিদ্রুপের হাসি হেসে বলা-
এইসব কি লেখেছো ছাই!
তারাতো মানুষ!
জাগতিক মোহে হাত বাড়িয়েছি,
অন্য দিকে তাকানোর বাহানায়-
অবহেলা করতে পারা,
এরা মানুষ!
এক টুকরো ছোট
আড়াল হলেই মৃত্যু ঘিরে ধরে
হিম সময়
নষ্ট প্রহর
অপেক্ষা – মূলত এক অসুখের নাম
তবুও নদীর মতো বয়ে চলে জীবন।
আমার কষ্ট বেলা
দেখেছি মাঝি জীবন
নৌকা বিহীন
বেঁচে থাকার নামে – মাছের লড়াই
ডুবছে সবই।
আড়াল হলেই মৃত্যু এগিয়ে আসে
তার চেয়ে
কবিতা|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৪৩ বার দেখা
| ৪০ শব্দ ১টি ছবি
যে আপনার
সে ছেড়ে যেতে চাইলেও
রয়ে যাবে;
যা আপনার
তা ঠিকই রয়ে যাবে
সোনালী রোদ্দুরের মত’
রয়ে যাবে অস্তিত্বের রোম কূপে,
রয়ে যাবে অশান্ত দিনের পরেও
মৃত্যুর দোরগোড়ায় থেকে
অথবা তারপর।
রয়ে যাবে
নক্ষত্রের মতোই জ্বলজ্বল করে
শত বাধা বিপত্তি পেরিয়ে
রয়ে যাবে হৃদয়ের মনিকোঠায়
ঝকঝকে চকচকে উজ্জ্বল হয়ে।
ভেঙ্গে যেতে চাইলেও
রয়ে যাবে,
চেনা পথে পা বাড়াতেই থেমে যাই, এ পথ আর আমায় নয়
অচেনা পথগুলো এবার হবে আপন, আর আপন করতেই মনে ভয়;
আপন হয়ে রয় না কিছু,
কী আছে সম্মুখে, ভবিষ্যত তো অনায়াসে নেয় পিছু।
ভালো মন্দ যাই হোক একটা কিছু হয়তো অপেক্ষায়
অচেনা পথেই বাড়াতে হবে পা, সময় থাকুক
কোথায় যে হারিয়ে গেলো
সেই সোনালী দিন,
ঝোলাবাতি গোল্লাছুট খেলা খেলে
কেটে যেতো সারাদিন।
বিকালে আমরা জড়ো হতাম
ছোট একটা মাঠে,
খেলা শেষে দৌড়ে যেতাম
ঐ নদীর ঘাটে।
সাঁতার কেটে পাড়ি দিতাম
ঐ খরস্রোতা নদী,
সাঁতরে যেতাম ভয়ভয় মনে
কুমিরে ধরে যদি!
কারোর হাতে যদি দেখতাম
সেকালের ক্যামি ঘড়ি,
অবাক চোখে তাকিয়েই
আমি জন্মেছি মা গরীব ঘরে!
পাইনি খাবার, পাইনি সুখ,
মাথা রেখে ঘুমাবার জায়গাটাও ছিলো অনেক বড় স্বপ্নের!
ইচ্ছে ছিলো হবো অনেক বড় মানুষ
তাকিয়ে দেখি এই সব বড়োলোকের হুশ!
পড়ার জন্য ছিলো না কাপড়
ছিলো না কোনো প্রসাধনী
নিজেকে আজ উপহাসের পাত্র বানিয়ে
হয়েছি মানবতার প্রতিধ্বনি!
ছিলো স্বপ্ন মানুষ হওয়ার
ইচ্ছে ছিলো অনেক
শিক্ষার আলো