২০২২ বিভাগের সব লেখা

বিরহ কাল
আমাদের ভ্রমণ শুরু হবার আগেই
তুমি, তুমি যেন পিছলে গেলে
সন্ধ্যা লাগি লাগি সময়ে
তোমার গালের ট্রান্সপারেন্ট আঁচিল
যাকে একফোঁটা পানি মনে করে
আমি চুমু খেতে চেয়েছি অনেকবার তোমার ঢেউ ঢেউ ঠোঁট
আমাকে কম্পমান খরগোশের
নরম শরীরকে মনে করিয়ে দিয়েছে প্রতিবার
অথচ তুমি পিছলে গেলে
তোমার পতন দেখা হলো না
দেখা হলো না কত দ্রুত পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১১৮ বার দেখা | ৬৪ শব্দ
রোজ আকাশ যেন শরত হয়ে রয়
রোজ আকাশ যেন শরত হয়ে রয়
ঘুম থেকে জেগেই আকাশে তাকাই
কী সুন্দর মনোহারী মেঘ ছড়ানো ছিটানো
সূর্যটাও জ্বলে আবার নিভে যায় কালো মেঘের দাপটে
কী সুন্দর নীল স্বচ্ছ আকাশ। আমার ভালো লাগে ছুটির আকাশে রাখি চোখ
আমার ভালো লাগে মেঘেদের উড়াউড়ি
ভালো লাগে ডানা মেলা পাখি
ভালো লাগে মিহি হাওয়ার দাপট। পাতাবাহারে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১১৬ বার দেখা | ১২৫ শব্দ ১টি ছবি
সন্ধ্যার আগে
শহরে পা বাড়ালে আজকাল অতটা ফিলিংস আসে না। সে জন্য বলা যায়, সংক্ষিপ্ত ভ্রমণে-ঢুকে পড়ো, সেখানে
মহানগরীর শরবত বিক্রেতা কী একটা সোনার বিস্কুটের
মতো মুখ নিয়ে বসে আছে। আর প্রসাধনীর বাইরে
স্বাগতিক উপশহরে ফুরফুরে রোদ, শৈলীগত টেকনিকে
প্রথম ঘরভর্তি শিশুর চোখে ঘুমহীন আনন্দ-সাফ্লাই দেয়। এই অহমদৃশ্য যেমন দেখা যায় সার্বভৌম পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৯৬ বার দেখা | ১০৭ শব্দ
মাটির ঘরে ঘুমাবিরে মাটির চাদরে
মাটির দেহ মাটিতেই যাবে মিশে
ভবের লীলা সাঙ্গ হলে শেষে,
তবে কেন করিস এতো বড়াই
মরণ হলে জায়গা হবে একটাই।
মাটির ঘরে ঘুমাবিরে মাটির চাদরে
জাগবিনা আর সবিতার পরম আদরে। খাঁচা ছেড়ে পাখি একদিন যাবে উড়ে
ফিরে আর আসিবেনা সে কোনদিন ওরে,
দুইদিনের এই দুনিয়া – কেন ভুলে যাসরে
এপার ছেড়ে যেতে হবে পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৮৯ বার দেখা | ৮১ শব্দ
সমতার প্রাচীর
সমতার প্রাচীর ভেঙে
সম্পর্কটা পৌঁছায়েছে চরম শত্রুতায়।
যখন সম্পর্ক নিবিড় ছিল
তখন তিনি, অতি চমৎকার, চমৎকার কথা বলতেন
জীবন চলার গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ দিতেন।
উচ্চাঙ্গ সংগীত তার প্রিয় ছিল,
পাখির কুজন ধ্বনি
তিনি মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনতেন।
সবচেয়ে পরিশ্রমী পরিকল্পনাকারী ছিলেন
কি দারুন শৈল্পিক সৃষ্টি।
একটু মতপার্থক্য,
প্রিয় অপ্রিয়তে পরিণত পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৬৭ বার দেখা | ৮৭ শব্দ
আবেদন
আবেদন
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! বেতনটা বাড়িয়ে দিন। আমি একজন গার্মেন্টস কর্মী
কতই বেতন পাই!
পাঁচ ভাই বোনের সবার বড়, বাবা দিন মজুর
মাস শেষে বাড়িতে টাকা দিয়ে না খেয়ে কাটে দিন
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেতনটা বাড়িয়ে দিন। আমি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে স্বল্প মাইনের কর্মচারী
দুই সন্তানের স্কুল ফিস, হাজার পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৩৮ বার দেখা | ১৩৭ শব্দ ১টি ছবি
তুমিও জেনে রাখো
স্পর্শে যদি ভালবাসা প্রমাণ হয়
তবে জেনে রাখো “ইশ্বর”
তোমাকে কেউ ভালবাসেনা পড়ুন
অন্যান্য | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১১৭ বার দেখা | ১০ শব্দ
মা (১৫)
অতঃপর দিন শেষে গল্পের থালাগুলো তুলে রেখে দিতেন মা
তারপর
বিকাল
সন্ধ্যা পড়ুন
কবিতা, জীবন | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৬৪ বার দেখা | ১১৮ শব্দ
টোকা
টোকা
নিরেট প্রদীপ রেখা
ছুঁয়ে
যায়
ধ্রুপদী মুখ
চোখের কোটরে জমে থাকা
শীতল সুখ
ছুঁয়ে যায়
সংগুপ্ত উত্তাপঘর্মার্ত বুক
নীলকণ্ঠী রাত
নিপাট অন্ধকার
মৃদু হাওয়া
খেলা করে সুগন্ধ মোহন চুলে গ্রীবার উপর আমার তপ্ত নিশ্বাস-
আচমকা ! বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ার
তোমার
রুদ্ধ
কপাটে পড়ে
টোকা ! পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১০১ বার দেখা | ৩১ শব্দ ১টি ছবি
বন্যার জল হতে ইচ্ছে করে
আধো আধো ভাঙা জলধোয়া রাস্তায় অনেকটা প্রহর
কেটে গেলো আজ, কোথাও কোনো অসঙ্গতি নেই!
সত্তরের দশকের একটা জারুল গাছ সেও দেখলাম
সেও বেশ আছে, একজন তালপুকুর তার কাছে পাওনা
চাইতে এসে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে,
তালপুকুর জানে ভদ্রতা বলেও তো একটা কথা আছে;
সেদিকে জারুলের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই, সে বেশ আছে! এতো পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৯২ বার দেখা | ৯৬ শব্দ
বৃষ্টি নামে টুপুর টাপুর ... প্লাবনে ভাসে দুইকুল আমার বর্ষণসিক্ত কবিতা (প্রথম পর্ব)
বৃষ্টি নামে টুপুর টাপুর ....... প্লাবনে ভাসে দুইকুল আমার বর্ষণসিক্ত কবিতা (প্রথম পর্ব)
বৃষ্টি নামে টুপুর টাপুর প্লাবনে ভাসে দুইকুল
আমার বর্ষণসিক্ত কবিতা (প্রথম পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী বৃষ্টি নামিল টুপুর টাপুর
অজয়ে আসিল বান,
খেয়া পারাপার বন্ধ আজিকে
বাঁধা আছে তরীখান। জোয়ারের জলে হাসিছে অজয়
ভেসে যায় দুই কূল,
প্লাবনের জলে ভাসে তরুশাখা
ভেসে যায় পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৩৯ বার দেখা | ৭১ শব্দ ১টি ছবি
দুর্ভোগ
দুর্ভোগ
সবুজে সমবৃদ্ধি
কোলাহলে অনাবৃতি,
জাগ্রত মহল
কাগজই সম্বল! রূপের দুনিয়ায়
মগজে পোকা,
বাস্তব চিত্তে
আগ্নেয়াস্ত্রর খেলা! মানবিক দৃশ
জগতের উৎস,
সমাদৃত অরণ্যে
কলঙ্কের মূলমন্ত্র! ভালো কাজে
রোইয়াছে চোখ,
মন্দ কাজে
নাই গো কোনো সুখ! স্বর্গের লোভ
দুনিয়ার ভোগ,
মানব রূপে
রোইয়াছে চোখ! চারকোনে দিক
সত্যের কনিশ,
নিত্যনতুন ন্যায়
তৈরী হয় ব্যয়! ভোগের তারণায়
সৃষ্ট লোভ,
অন্ন হারায়
তীক্ষ্ণ রোগ! মুক্ত মঞ্চে
নেই মুক্তি,
তস্করী তো আজ
খোলা পড়ুন
কবিতা, জীবন | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৩৪ বার দেখা | ৮৩ শব্দ ১টি ছবি
মরে যাবার আগে
এসো
পাখিদের মালা বদল দেখি
বন-বনানী মেরে ফেলবার আগে ডানার ভেতরে শরীর
এক মোহরে ভায়োলিন সুর
আর দুলে ওঠা গাছস্তন ঘ্রাণ-
অথবা মাছেদের জলগোসল
বাদামফুলের দিনগুলো
ডানাহীন ওড়া রোদ-ছুট সন্ধ্যা-
যা কিছুর নতুন মুদ্রণে প্রকাশ
এসবের ধৈর্য শেখানো গান
তারপর সজীবে আক্রান্ত হই। পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৮৪ বার দেখা | ৩২ শব্দ
আর নয় নাগাসাকি আর নয় হিরোসিমা
শোনো-
ঘরের কোণে নির্জীব
চতুঃস্পার্শে তৈরী করা
আপাত ভঙ্গুর শান্তি ভাঙতে না চাওয়া
মানুষের দল-
শোনো এক গল্প বলি-
রক্তাক্ত সে কলঙ্ক শুনে যদি ক্ষুব্ধ হও
দুঃখ আসে,ক্রোধে ফেটে পড়তে চায় মন
জানিও তা পরে। সে দিনটা ছিল টাকা রং সূর্যের
স্নেহাশীষে ধোয়া,
অগনিত ফুটফুটে শিশু
সোনালী গমের ক্ষেতে
বিকিরণ করে সুখ খেলায় খেলায়-
তরুণী গৃহিনী জল সন্ধানে-
চাষীরা পড়ুন
কবিতা, জীবন | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৫২ বার দেখা | ২০২ শব্দ
শৃঙ্খলা
শৃঙ্খলা
এক দলা মাটি কিংবা ইট পোড়া বাসনা
হরদম চলছে বুক পাঁজরে- অথচ মেঘ
বৃষ্টির ভয় নেই-রক্তক্ষরণে জলাশয় নদ;
মনের গভীরে ইট ভাটার অনল জ্বেলে
শান্ত হতে বল মাটির চূড়া-তারপর
অহমিকা চোখের আঙ্গুলে চিনো না
এমনকি বুঝো না- এক বিদ্বেষীর তরী
ভাসাচ্ছ রোজ- রোজ! মনের সিঁড়ি কিংবা
দেওয়াল পার্থক্য পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১১৯ বার দেখা | ৬৪ শব্দ ১টি ছবি