জানো, অনেক অনেক অনেকদিন পর দেখি
মনের ভেতর হঠাৎ দুরন্ত উল্কা ঝড়
চলন্ত সেতুটি দৈবাৎ ভেঙে গেলো
কে জানে না ভাঙা সম্পর্ক মানেই কবর!
সবাই জানে কতোদিন পর একটা জনশুমারি হলো
কেবল গণনা হল না কে মানুষ আর কে অমানুষ
গল্প, ছড়া, কবিতাওরাও আসলে কিছু নয়
কেবলই বেদনার বেদীতে
হারিয়ে যেতে মন চায় তোমায় নিয়ে দূর অরণ্যে,
যেথায় মুগ্ধতারা অপেক্ষায় আছে তোমার আমার জন্যে;
যেখানে আকাশ গিয়ে থেমেছে, যে আকাশ শুভ্র মেঘে পূর্ণ;
যেখানে মিহি হাওয়া পাতাদের চারপাশে হয় ঘূর্ণ।
তোমার হাত ধরে পালাতে চায় এ মন,
যেখানে নৈঃশব্দের খেলা, আলো ছায়ার পথ নির্জন,
কোথাও
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৩৫ বার দেখা
| ১৬৯ শব্দ ১টি ছবি
সভ্য যুগের সভ্য মানুষ
স্বার্থের ধান্দায় থাকে বেহুশ,
মন্দের কদর ভালোর দোষ
ধর্মের বাণীতেও হয়না হুঁশ!
ধর্মের বাণী করে শ্রবণ
করে না কেউ দুষ্টের দমন,
পুণ্যের আশায় তীর্থে গমন
ফলায় না সভ্যতার ফলন।
সভ্য যুগে অসভ্যের শক্তি
দুষ্ট লোকদের করে ভক্তি,
জ্ঞানী লোকের খণ্ডন যুক্তি
কী করে
নিরাকার দহনে জ্বলছে কবি, নীল জলের উপর টলমলে প্রতিচ্ছবি
শত সহস্র প্রশ্নের তোড়ে জর্জরিত বিবেকের সাথে করছে অনর্গল বোঝাপড়া
দেবীর মুখোমুখি হতে আজ তার বড্ড দ্বিধা! জীবনের আর যৌবনের ঊর্ধ্বে যে দাবী
কবির সাধ্যের সীমানায় সেই আশা শক্তি নিতান্তই অপ্রতুল
ফিরে যাবার সমস্ত
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১২৫ বার দেখা
| ৩২৩ শব্দ ১টি ছবি
গানের দুপুরে-রূপালি বরফের
শীতল অনুভব করি।
বকুল। এত সুন্দর! এত দারুণ
স্তব্ধ রং নিয়ে ধ্যানের গান গাচ্ছে।
চোখকে শাসন করে যাচ্ছে যে
তার মেলাবন নুরের নহর দেখায়ে
এমন স্বর্গগন্ধার দগদগে খ্যাতি
আর কে বা দিতে পারে! তুমি এমন
হতে পারতে, পারতে না?
চৈতি জ্যোৎস্নার শাদা আমল
শেষে একদম অন্যরকম, প্রতিটি-
দারুণের সঙ্গে। কেবল অযত্নের
ব্যাকুলতায় প্রলোভন
দৃশ্য বদলায়না
কেবল চশমার কাচ বদলায়।
মাঝে মাঝে
যখন—শীতের কুঁকড়ে যাওয়া পাতার মাঝেও
লিখে ফেলছি জীবন ;
বিবর্ণ ঘাসে
এক টুকরো সবুজ উষ্ণতা গড়িয়ে পড়ে।
প্রতিটি স্বপ্নের ভেতরে আমি যে ঠিকানা খুঁজি ,
কাগজকলমে সেই নাম
কেবলই লিখে যাচ্ছি ভুল বানানে।
বানান-বিভ্রাটে গন্তব্যের ভুল !
ফেলে যাচ্ছি রঙীন কাচের চশমা।
তিন
প্রভাতে উভয় সেনা করিল সাজন
কুরুক্ষেত্রে গিয়া সবে দিল দরশন
যে যার লইয়া অস্ত্র যত যোদ্ধাগণ
সিংহনাদ করি রণে ধায় সর্বজন
দিদিমার মুখে শুনে শুনে অর্ধেক কাশীরাম দাস মুখস্থ চাঁদের। খেলা দেখতে দেখতে হঠাৎ তার নবম দিনের যুদ্ধ মনে পড়ে গেল — দ্রোণাচার্যের পতন।
কিন্তু চাঁদ চিরকাল
জীবন|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৪৭ বার দেখা
| ৪১৫ শব্দ
হু গদ্য আর পদ্য
বুঝলাম না চৌদ্দ!
ছন্দের হাত পাও-
শব্দের মুখে খাও;
বিষয়বস্তু ভাবনার
জল- বুকের পারে
খল; তবু ত্রি-রাশি
ছন্দের বাশি-বাজাও
বড় কাশি-এ জগতে
ছন্দেই দুলে নাশী!
গদ্য আর পদ্য- মন
গভীর জলশুকনো পদ্ম।
০৫ ভাদ্র ১৪২৯, ২০ আগস্ট ’২২
কবিতা|
৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৫২ বার দেখা
| ৩১ শব্দ ১টি ছবি
জীবন পথে চলতে চলতে খুঁজে পেলাম
আঁকড়ে ধরার খড়কুটো‚
পান পাতার মতো দেখতে ঠিকই
কষ্ট নামক পোকায় করেছে হৃদয় ফুটো!
বেঁচে থাকার রঙিন ছোঁয়ায়
স্বপ্ন ছিল নীল আবেগে বোনা
কত শত বেদনা চাপা পড়ে আছে
হৃদয়ের ফাটল যায় যে গোনা!
পথ হারাবে পথের ভুলে
পূর্ণতা পাবে হয়তো
কবিতা|
৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২১৭ বার দেখা
| ৪৭ শব্দ ১টি ছবি
জন্ম সবার একইভাবে, ধর্ম ভিন্ন-ভিন্ন,
কর্মও ভিন্ন, তবুও কেউ ধন্য কেউ নগন্য।
কর্ম যার ভালো, ভাগ্যও হয় ভালো,
যদিও হয় কালো, জ্ঞানে বাড়ায় আলো।
মাথার মগজ একইরকম, জ্ঞান হয় ভিন্ন,
কেউ হয় সভ্য মানুষ, কেউ আবার বন্য।
জন্ম, কর্ম, ধর্ম, ভিন্ন-ভিন্ন মতান্তর,
এভাবেই চললে
এমন রাত, যেখানে প্রতিটা স্বপ্নই অধরা থেকে যায়
মাকড়শার জালবন্দি পিলপিল জীবন কেবল কানাঘুষা
করে, দুঃস্বপ্নের ঘেরাটোপ থেকে কোনোভাবেই বেরুতে
পারি না, পুতুল নাচের মুদ্রাও ভুলে যাই; ভুলে যাই
কাগজে-কলমে চিত্রিত আটপৌরে রাতের তৃতীয় প্রহর!
তবুও আশায় বুক বাঁধে কিছু অবরুদ্ধ উল্লাস, কোনো
রকমে বেঁচে থাকা স্বপ্নটাকে বাঁচিয়ে রাখতে চায়,
কিছুতেই
বুলবুলির রক্তঝুটি, আজ শুধু গোলাপের মতো
ফুটে আছে। বনভূমির শিল্প, এই সুন্দর লাল দীর্ঘশ্বাস-
দুপুর পোড়াচ্ছে। দারুণে ইঙ্গিতময় যেন এক বিভ্রম।
এমন স্বপ্নের পাশে চুল খুলে গোসলে সাঁতরায়-মেঘ,
বেপথু প্রলোভন এসে কোমর নাড়ে-ইর্ষার বেড়াল
শাদা-গুটিগুটি পায়ে দূরের হলুদ বিকেল, বিকেলে-
এক হাজার পাখি,উড়ছে। মানুষ পাখি হলে
প্রথমত তুমি হবে। একটা-দুটো মৃত্যুর
মৃত্তিকা-নদী খেয়ে পারাপারের
সংযোগস্থল পাথুরে, জনাকীর্ণ
অন্ধত্বের ভাণ করে পড়ে থাকা
মানুষের দল ভিক্ষারত প্রত্যাশা
কোজাগরী চোখে আলতো ভাবে
ছুঁয়ে যায় শীর্ণ, মলিন বসবাস
সামান্য উপঢৌকনে সাজায় হাত
সদ্যবিবাহিতা এক বধূ এস্ত্যভাবে
এদিক ওদিক চেয়ে ঘাটের তোরণে
এক পা এক পা করে জলে নামে
কুলবধূদের উলুধ্বনিতে পালিত
হয় কোনো আনন্দদায়ক কুলাচার।
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১১৮ বার দেখা
| ৪০ শব্দ ১টি ছবি
যে কাঁটা গলায় বিঁধার কথা ছিল, তা বিঁধেছে চোখে
কিছুই দেখছি না আর,
কিছুই মনে করতে পারছি না, আদৌ
মানুষ ছিলাম কী না, কোনো জনমে
দাঁড়িয়েছিলাম কী না- কোনো মানুষের পাশে।
উড়ে যাচ্ছে পাথর। উড়ছে রক্ত- বাষ্প হয়ে
তারপরও আমাদের নিষ্ক্রিয় নাসারন্ধ্র, পাচ্ছে না
কোনো গন্ধ, পরখ করতে পারছে না বর্ণের