২০২২ বিভাগের সব লেখা

ধোঁকা
আমি বড়ো বোকা
খালি খাই ধোঁকা।
বৌয়ে দেয় ধোঁকা,
বোনে দেয় ধোঁকা;
আমি বড়ো বোকা
খালি খাই ধোঁকা।
ভাইয়ে দেয় ধোঁকা,
ভাবী দেয় ধোঁকা;
আমি বড়ো বোকা
খালি খাই ধোঁকা।
বন্ধু দেয় ধোঁকা,
বান্ধবী দেয় ধোঁকা;
আমি বড়ো বোকা
খালি খাই ধোঁকা।
ধোঁকা খেতে খেতে
জীবন শেষ মৃত্যতে। পড়ুন
ছড়া ও পদ্য | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২২৯ বার দেখা | ৩৪ শব্দ
চিরায়ত
বন্দী বিনিময় শুরু হয়ে গেছে। একজন আসবে, একজন যাবে। দূরে বিস্তীর্ণ ভূমি, কি দারুণ বিস্তৃত। রোদ থেকে ঝলসে উঠছে কাকলী, প্রাণের কাকলী। বাতাসে শিস দিচ্ছে দুলে ওঠা কচি ধানের সবুজ। নরম ভাপ ওঠা রোদ। লোকটা বারান্দায় বসে এসব দেখে আর ভাবে, ভাবে আর দেখে। পড়ুন
জীবন | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৪৭ বার দেখা | ২০৩৭ শব্দ
রোদ কিংবা এক টুকরো জীবন
কবরের বর্ষপূর্তি আনন্দের হল না
এক বছর আমার তেমন কষ্ট হয়নি, জীবিত কালের প্রাপ্য সাজা ভোগ
করতে হচ্ছে না দেখে ভেবেছিলাম প্রতিটি ধর্মালয়ে হয় মিথ্যা বয়ান
প্রতিটি ধর্মগ্রন্থ গালগল্পে ভরপুর। মরে গেলে শুধুই ঘুম। স্বর্গ নরক
মস্তিষ্কের অলীক কল্পনা, বাস্তবে নেই। এই প্রথম সাপের ছোবল খেলাম;
এই প্রথম কবর পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৩৯ বার দেখা | ১২০ শব্দ
মৃত্যু ৭
একে একে সবাই হাঁটছি
সামনে বিশাল কালো গর্ত
কেউ দেখতে পায়, কেউ পায় না
শুধু সামান্য পথটুকু জুড়ে
আমার ও তোমার কীর্তন। পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৫২ বার দেখা | ১৮ শব্দ
জন্মদিনকে
ঘনযামিনীর মাঝে আমার
তোমাকে কারা ডেকেছে, ভাই!
শোকের রাজ্যে কোন অধিকার?
যত্ত সব আপদ বালাই ইমোটিকন, খেলনা, গোলাপ
সমস্ত দিন ঝেলতে হবে
মেসেজ-বক্সটা ঝেঁটিয়ে শেষে
লিটার-বক্সে ফেলতে হবে ঘনযামিনীর বৃক্ষে আছি
মিষ্টি গোপন এ-সন্নাটা
কেউ জানে না বর্ষারাতে
হলুদ হয়ে আসছে পাতা তুমিও মাস-ফুরিয়ে আসো
কাঙাল ছাড়া কিছু তো নও!
একটা টাকা দিচ্ছি,আমার
জীবন থেকে পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৪৮ বার দেখা | ৪৮ শব্দ
অন্তিম দৃশ্যাবলী
অন্তিম দৃশ্যাবলী
শুভ্রবসনে নিথর দেহ
কফিনে শুয়ে আছে লোকটি
না
তিনি নিজের ইচ্ছেয় শোয় নি
তাকে শোয়ানো হয়েছে,
তিনি এখন লোক নয়, মৃত্যু তাকে লোক থেকে লাশ বানিয়ে দিয়েছে
লাশের ইচ্ছের কোন সুযোগ নাই
বলা উচিত লাশটি রাখা আছে কফিনে
যিনি একজন মানুষ ছিলেন, অথবা পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৩৯ বার দেখা | ৩৯৯ শব্দ ১টি ছবি
নিয়মকানুন নেই
বিশেষ কিছু মনে রাখি না। তবু পোড়া ধোঁয়া ওঠে।
কোনো একদিন কুরিয়ারে-প্রশমিত স্বপ্ন বুকিং
করেছিলাম। শহরের মায়া খসায়ে-সেদিন
পথগুলো পিঠ খুলে নেমেছিল শাদা গন্তব্য নিয়ে স্বঋদ্ধ অভ্যন্তরে-দারুণ সব উপমেয়, জুনের রাত্রি-
প্রতিটি মানস আনন্দ যেন মশলা ঘ্রাণের মতো;
দুলছিল বিচ্ছিন্ন হাসি-বেডরুমের ঘুর্ণায়িত ফ্যান,
বইয়ের পাশে-চা-কফির জোয়ারে রাত জাগা-
হুইল চেয়ার, ইউটিউবের সমস্ত পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১১৯ বার দেখা | ৬৯ শব্দ
তোমাকে মান্যবর
তোমাকে মান্যবর
কদর্য রাজার একদল জিঘাংসার কালিতে লিখে দিচ্ছে দৈনিক প্রতিদিন। নাট্যমঞ্চে সং সেজে একদল কুশীলব লিখে যাচ্ছে যাবতীয় অভিনয়। একদল মুখের নেকাব সরিয়ে আত্বস্থ করছে গালিবিদ্যা। ওখানে এখন খিস্তি-খেউরের বসন্ত উৎসব। নর্দমার নোংরা ঘেটে ঘেটে তুলে আনা দুঃশাসনের কাল! এখানে চাল পড়ুন
জীবন | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১২৮ বার দেখা | ১১২ শব্দ ১টি ছবি
অতঃপর উনি পকেটে রাখলেন ... চেয়ে থাকলাম
অতঃপর উনি পকেটে রাখলেন ... চেয়ে থাকলাম
রাস্তার পাশে জমিনটায় সবুজ ধান গাছ, বাতাসে হেলেদুলে লুটিয়ে পড়ছে। আমার লাগানো কৃষ্ণচূড়ার গাছটা ফুল ফুটে লাল রক্তিম হয়ে আছে। বাতাস এবং বৃষ্টির ঝাপটায় কৃষ্ণচূড়ার পাপড়ি কিছু রাস্তায়, কিছু ধান ক্ষেতে পড়ে আছে। বৃষ্টিতে ভেজা গন্ধ বিহীন পড়ুন
অণুগল্প | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৯৩ বার দেখা | ৪৯৮ শব্দ ১টি ছবি
আমার একটা শহর ছিলো
একটা শহর ছিলো,
গুমোট অন্ধকারে ডুবে থাকতো।
হুতুম প্যাঁচার মতো
রাত্রি’র নিরবচ্ছিন্ন ছায়া হয়ে। শিমুলের সবুজ পাতার ফাঁকে
জোনাকির আনাগোনা,
সুরের পাখি কুকিলের বসন্ত গান।
দূরের ল্যাম্প পোস্টের মিটিমিটি আলোর রশ্মি,
উজানে মাঝির দাঁড়টান
ডুবে যেতো হাজার বছরের ক্ষত। শহরে উৎসবে দু’একটা মোমবাতি ক্ষণস্থায়ী (অবসরে) নিজের মতো করে ডুবে যেতো নির্জন বিলাসিতায়। রাত জাগা পড়ুন
কবিতা | | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৬১ বার দেখা | ৯৫ শব্দ
অক্লান্ত ঘাস
অক্লান্ত ঘাস
ভাদ্ররী মেঘলা আকাশ
বর্ণ চূড়ায় বিষাদের অনল
তবু পুড়ছে না মাটির মন
ভাদ্ররী মেঘলা আকাশ;
এই সরিষা ফুলের মাঠ
এতো বর্ষায় ভাসছে পাপড়ি
অথচ বৃষ্টির আনন্দ নেই;
যত সরিষা ফুলের মাঠ!
মেঘ শূন্য আঁধারে আর্তনাদ
ঘন রাতদুপুরে সর্বনাশ-
স্নিগ্ধ ভোরে অক্লান্ত ঘাস!
বলো কে বায় বাতাস?

০৮ পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৪২ বার দেখা | ৪০ শব্দ ১টি ছবি
অভিমুখ
চারকোণা মেঘ
সরে উড়ে যাচ্ছে কই!
নানুবাড়ি বুঝি? কোন গ্রাম? শেকল সরিয়ে পায়রা উড়িয়ে
আকাশের নীচে তুমি, তুমি ওই
বাড়ি নেই, ঘর নেই। যাও কই? আকাশ আছে মেঘ নেই
মেঘ আছে আদরবাড়ি নেই
বড় হয়ে আকাশ নয়, মাটি ছুঁয়েছো শেষে! পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৪৮ বার দেখা | ৩৩ শব্দ
আমাদের একদিন দেখা হোক
তারপর একদিন আমাদের দেখা হোক,
বৃষ্টিতে ভিজতে থাকুক এই শহর,
নির্জন কোনো চায়ের টঙে একান্ত কিছু কথা হোক। হঠাৎই আমাদের একদিন দেখা হোক
প্রচন্ড ভিড়ের ভিতর, ঘামে ছুপছুপে শরীরে। তোমার বাড়ি ফেরার তাড়া থাকুক।
তবু আমার পথে তোমার আঁচল মায়াবী আগল দিক।। আমাদের একদিন পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৭৮ বার দেখা | ৪৭ শব্দ
Long way
Long way
I am watching the daily sunrise
And the late night alone until sunset me
From the gravity of solitude
It brings out and explains the ladder of great life From east to west
I live alone and see alone
One hand on my right and another পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৪৫ বার দেখা | ২৮৯ শব্দ ১টি ছবি
ভেতরে একটা দূরপথ
ভেতরে একটা দূরপথ-এই চারিত্রিক পথে কুয়াশা
জমে গেছে-গ্রীষ্মের দুপুর, যে ধূলোয়-প্রথম
খেলেছিলাম-দৌড়, বেহেশত, নরকনামতা পেঁচিয়ে-
তার অস্থির ঘামে সৌরভ সাবানের ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে। প্রতিটি আধভেজা কাকতালীয় ছায়ায়, শরীর-
কাঁধে তুলে এমন আধোনীল ভিমরতি শহরে-
আমার কিছু হলে, মৃত্যুর বিরূপ নিয়ম ঘটে যাবে। হয়ত বা এখানে কেউ কেউ গিটারে পৌষের দুপুর
এনে,নিঃশ্বাস ছাড়বে। ঘাটে পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১০১ বার দেখা | ৭২ শব্দ