২০২২ বিভাগের সব লেখা

আবে শালে, তু জান্তা হ্যায় মে কৌন হো?
আবে শালে, তু জান্তা হ্যায় মে কৌন হো?
ভোর ৩টা ৩০। প্ল্যান মাফিক এগিয়ে চলছে কুয়েত গামী ফ্লাইটের যাত্রা। যাত্রীরা একে একে প্রবেশ করছে। কেবিন ক্রুরা রোবট মার্কা হাসি দিয়ে তাদের স্বাগত জানাচ্ছে। উত্তরে কিছু একটা বলতে হয় এ অভ্যাসটা জাতিগত ভাবে আমাদের নেই, তাই ওদিকে মন পড়ুন
জীবন | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৮০৫ বার দেখা | ৬৩৯ শব্দ ১টি ছবি
গোখরো সাপের ফণা
যেদিন সোনেলার মতোন সোনালি গল্প আমার হাত
ছুঁয়েছে, সেদিন থেকে কবিতাও কোনো এক মন্বন্তরে
ঠিকানা খুঁজে নিয়েছে
যে নিয়েছে মেঠোপথ আপন করে
সে কি আর কাদামাটি, জলে ডরে? তবুও আজ এতোদিন পরে স্বস্তিকা এসেছে ফিরে
যে নিজেকে হারিয়ে খুঁজছিলো অযুত মানুষের ভিড়ে!
যে মানুষ ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখে, ঘুম ভাঙলেই সব মিছে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৭৯৬ বার দেখা | ৭৩ শব্দ
রঙ্গিন চায়ের দিলাম ছুটি আজ
রঙ্গিন চায়ের দিলাম ছুটি আজ
ফুরফুরে দিনের বুকে স্বচ্ছ আলো নাচানাচি,
রোদ্দুর আর সূর্য খেলছে কানামাছি,
ছুটির দিনে রঙিন চায়ের আজ দিলাম ছুটি,
এবেলা দুধ চায়ে মজা লুটি। দু’বার বসাতে পারবো না চুলায় হাঁড়ি,
র’ চায়ের পিছনে তুমিও টেনে দাও দাঁড়ি,
হলুদাভ রঙের ছোঁয়া লাগুক মনের বাড়ি,
এসো বারান্দায় বসে সুখের নিঃশ্বাস পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৭৯৪ বার দেখা | ১৩৭ শব্দ ১টি ছবি
দেবী ও কবি ৩৭ (আজন্ম তপস্যার কথা)
দেবী ও কবি ৩৭ (আজন্ম তপস্যার কথা)
কবি,
তোমাকে পেয়েছি আমার আজন্ম তপস্যায়,
পেয়েছি জীবনের ঘোর অমানিশায় নিভু নিভু যখন জীর্ণ প্রদীপ;
তোমাকে পেয়েছি প্রাণের বিদীর্ণ চাতালে যখন বুভুক্ষুর আর্তনাদ
যখন বিদগ্ধ শ্মশানে পোড়মাটি ভেদ করে জেগে উঠল প্রেতাত্মা
দিগন্ত ছেদ করে যখন অবিরত বজ্রনিনাদ হলো উন্মাদ! তখন-
তুমি বিষাদের ক্লেদে ঢেলে দিলে পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৭৯৩ বার দেখা | ১১৬ শব্দ ১টি ছবি
আমার তুমি
আমি সংযত ছেলে
তুমি খাবে হাতে পেলে আমি চুপচাপ থাকি
তুমি কথা-বলা পাখি আমি তুষ-চাপা রাগ
তুমি বদলে কী আগ আমি লাজুক আঁতেল
তুমি গোয়িং টু হেল আমি সোনা-মজদুরি
তুমি পেরেকে হাতুড়ি তুমি লোলিটা নভেল
আমি মাদার-এ পাভেল তুমি ছেলে দেখে খুশি
চোখ নীচু ক’রে বসি প্রেমে কমিটেড হব
তুমি ফ্লার্ট নব নব তুমি য়ুএসএ রাশিয়া
আমি ভুলি নাই পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৮১৩ বার দেখা | ৫৩ শব্দ
সৌন্দর্যের পাপসমুদ্র
হলুদ অর্গানে সেই পুরনো হাসি, দেখা যায়-রোজ
এই সৌন্দর্যের পাপসমুদ্র-স্পর্শ করি। বিবরণ সব-
বহুদূরে গড়াচ্ছে-গ্রন্থ খসে, পোষা বেড়ালের মতো;
মন্দ না। পাখনা গজালে সবই ওড়ে- যেমনটা উড়েছে
পাখিদের গান, গান শুনে রাত্রিরা হলুদ হয়ে ওঠে
কেবল শিল্পঠাকুরে মাখাচ্ছে অশ্লীল কবিতার রং নিশ্চয়ই এমন তর্ক ডোমেইন লিঙ্ক দেখেছ। এখানে-
সারাদিন শয়তানির সন্ধ্যা পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৭৬৯ বার দেখা | ৭৮ শব্দ
পৃথিবীতে সবাই সাধু
পৃথিবীতে সবাই সাধু
বেশ কিছু রহস্যের গল্প পড়ে
এক সময় নিজেকে গোয়েন্দা ভাবতে শুরু করলাম,
ভাববোই না বা কেন
যেথায় যাই যেখানেই বসি একই কথা –
ভাই আজ চরম শ্বাসরুদ্ধকর একটা গল্প শুনাতে হবে,
কাল অমুকের বাড়িতে অবাক এক কাণ্ড ঘটেছে
চলো না যদি রহস্যের কিনারা করতে পারো!
আর পড়ুন
অণুগল্প | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৮১০ বার দেখা | ৩২৮ শব্দ ১টি ছবি
মেঘ নেই, মোহ নেই
খুব বেশি মেঘ নেই তবুও আকাশটা আঁধার
হয়ে, আমাকেও দিয়ে যায় ধার
দেনা করে শোধ করি মৌরশী ঋণ
এভাবেই দায় নিয়ে কেটে যাবে অনাগত দিন! এভাবেই আসবে শীত, পৌষের কুয়াশা
মিশিয়ে কেউ লিখবে গান- বুকে রেখে আশা
মাঝিও ফলাবে ফসল উজানের চরে
শস্যদানার ঘ্রাণে উন্মত্ত দুপুর পাবে ফিরে সোনালী অতীত তার, লিখিত পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৮১৩ বার দেখা | ৫২ শব্দ
অতঃপর তোমায় ছোঁব
পউষের সন্ধ্যা নিবিড় অন্ধকার,
শিরীষের ডালে দেখেছি শিঙের
মতন বাঁকা চাঁদ পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১১৩ বার দেখা | ১৮৭ শব্দ
মহা মহিমের চরণে
মহা মহিমের চরণে
মগ্নধ্যানে অমৃতের নিশিভোগ
জ্যোৎস্নার উঠোনে হাওয়াইনূপুর কলতান
মদিরা পূর্ণ সম্ভোগে
ছুঁয়ে যায় দ্রবীভূত রাগ নৃত্য মুদ্রায় অন্তরাত্মায়! বাল্মিকীর ঠোঁটে নির্বাণ তৃপ্তি
পথের বাঁকে চেয়ে থাকি নতুন দিনের আগমনে
এই তো
আজানের ধ্বনি মধুময় বার্তা দিয়ে গেলো দেরী করা উচিত নয়!
কৃতজ্ঞের শির নত করো মহা মহিমের পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৯৬ বার দেখা | ৪১ শব্দ ১টি ছবি
কাঠগোলাপের গান
তারপর। প্রলেপমাখানো বিস্কুটের মতো; সরকারি দুপুর।
দীর্ঘ হতে হতে মূলত কমলালেবু থেকে খসে পড়া স্বপ্নিল
শরাবী বিকেল দৃশ্য-নগরে শনাক্ত হচ্ছে। শাদা নুনের
মায়া-মরুৎ। আর শব্দ পতনে ছুঁয়ে যায়-অখণ্ড বর্তমান-
এখানে নির্ঘুম বারান্দা ডাকে-লকলকে দারুণ ঝুরঝুরে
বালকেরা খেলে, আলগোছ ঋতুমতীর শিল্পকলাদি;
শুক্রবারের প্রেম। নীলভর্তি বোতামের আবেগ-ওসব; একে-অপরে হেসে ওঠে শেষ বিটরাই। আহ! পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৮৪ বার দেখা | ৮৫ শব্দ
জলপুরুষ
আমার দুই চোখে একটাই কবোষ্ণ নদী আছে
ঝরনার মতোন চপল, শব্দের মতো চঞ্চল;
দীঘির শান্ত জল তাকে খুউব খুউব হিংসে করে
যখন কলকল শব্দের ঢেউ তোলে জলপুরুষ,
রাংতার কাজল হয় দোভাষী প্রেম! তখনও
আমি চেয়ে দেখি দু’পাড়ের খামাখা ভাঙন
আমি চেয়ে দেখি মাথার উপর উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৯০ বার দেখা | ১০২ শব্দ
চিনেও চিনে না
চিনেও চিনে না
রাত নিঝুম আকাশের গায়ে নাকি চাঁদ
দেখা যায় না; যত অদ্ভুত কর্মকাণ্ড মাটির
স্পর্শে! অথচ ভোরের স্নিগ্ধতায় বিবেক
শূন্য উঠনে সাত পাতার গাছে গোলাপ
ফুটে না- যাহার কোন অর্থবহ হয় না
বুঝেও না- সূর্যের কিরণ মনে; তারপরও
চঞ্চল ঘোড়ার গাড়ি রাস্তাও চিনেও চিনে না
উত্তর দক্ষিণ পড়ুন
কবিতা | ৬ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৬২ বার দেখা | ৬৮ শব্দ ১টি ছবি
দেখবে এসো
দেখবে এসো পড়ছে বৃষ্টি
সারা আকাশ কালো করে
ঝমঝমিয়ে উঠোন জুড়ে
ঝরঝরিয়ে যাচ্ছে ঝরে। ছুটছে ঘোড়া টিনের চালে
জল জমেছে পথের পাশে
গাছের পাতা করছে স্নান
খিলখিলিয়ে শুধুই হাসে। ঐ যে দেখো ঝাপসা দূরে
ঘর বাড়ি সব যায় না দেখা
ঠায় দাঁড়িয়ে ভিজছে মাটি
সরস সজীব একলা একা। কড়কড়াকড় পড়ছে যে বাজ
ঝলকানিতে ভরছে আলো
গুরু পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১১৫ বার দেখা | ৬২ শব্দ
ছন্ন ছাড়া
আমাদের পা আছে, অথচ !
আমাদের সবগুলো পা একত্রিত হয়ে আজ মিছিলে হাঁটে না। আমাদের হাত আছে, অথচ !
আমাদের সবগুলো হাত একত্রিত হয়ে এখন আর গর্জে উঠেনা। আমাদের মুখ আছে, অথচ !
আমাদের সবগুলো মুখ একত্রিত হয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করে না। আমাদের মাথা আছে, অথচ পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৬১ বার দেখা | ৫৩ শব্দ