কখনো কখনো আমি হয়ে যাই
এই ল্যান্ডস্কেপের উপর
একটি সাদা রাজহাঁস।
হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন;
কখনো কখনো হয়ে যাই আমি।
দু’পা সাঁতরিয়ে খুঁজে ফিরি,
আগামীর সব স্বপ্ন মানুষ !
যাদের হাতে আছে আমার
অঙ্কুরিত একটি স্বপ্ন বীজ !
কখনো কখনো মানুষ খুঁজে ফিরি,
এই মানুষের ভিড়ে— সত্য মানুষ !
এই
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১১২ বার দেখা
| ৬৮ শব্দ ১টি ছবি
এটা কোনো ঘর? খালিপেট কন্টেনারে
ঠাসা চিরকাল।
পাখিচোখ সঠিক সতর্কে সারে
সুরতের হাল।
কাজে ও অকাজে ভাঙ্গাচোরাবাঁকা
শুধু জড়াবড়ি
আদপেই নয়ওতো চারুকলা আঁকা
শঙ্খ বা কড়ি
যে বুকে করে যত্নে রেখে দেবে
কাচের শোকেসে,
সশরীর আরামেতে যাবে
শ্রমসুখে ভেসে।
শক্তহাতে ক্ষীর চেঁছে রেখে
বাকি ফেলে দাও
যেন, দূষণে তিক্ত হবে মধুমাস
আবহাওয়াটাও
বিসর্জিতা প্রতিমারা চিৎসাঁতরে
কতটুকু যায়?
আনমনা ছবি হয়ে ভেসে
সব বক্তব্য এক একে হারিয়ে যাচ্ছে
কথাশূন্যতা গ্রাস করেছে
দূরের ওই শাল্মলী বৃক্ষকে
আমার উন্মুক্ত দুটি চোখ দেখে
তোমার সদরে চলে যাওয়া
আমারই বুক মাড়িয়ে
নীল বিষে ভোরে গেছে
পরিত্যক্ত ক্লান্ত রাত,
আর ফিরো না –
অচঞ্চল এগিয়ে যাও।
আমার পরিপূর্ণ সম্মতি রইল
এত ঘৃণায় ভরা ভালোবাসা
না হয় নাই বা দিলে
কবিতা|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১১৯ বার দেখা
| ৪১ শব্দ ১টি ছবি
এক ছিলো টোনা আর এক ছিলো টুনি। একদিন টোনা টুনিকে বললো,
– টুনি, ও টুনিইই
টুনি হাই তুললো,
– হ্যা, বলো।
– আমার খুব ভাপা পিঠা খেতে ইচ্ছে করছে। খুব ইচ্ছে করছে।
টুনি চোখ পাকিয়ে বললো,
– তোমার কি খেতে ইচ্ছে করছে!
– পিঠা,
অণুগল্প|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২১০ বার দেখা
| ৯০৫ শব্দ ১টি ছবি
দেবী মণিকা তোমায় ভাবি প্রতি ক্ষণে ক্ষণে
তুমি বাস করছো কেন আমার মনে?
দেবী মণিকা তোমার রূপের আলোয়
ঝলসে যাচ্ছে চোখ
মনে সৃষ্টি হয়েছে ভালবাসার রোগ?
দেবী মণিকা তোমার সঙ্গে হারিয়ে
যাওয়ার ইচ্ছে ছিল খুব!
ধর্ম আর কাঁটা তার মনে দিল দুঃখ।
তোমার লম্বা কেশের সুঘ্রাণ নিতাম
তোমার গোলাপী
বিস্তীর্ণ মাঠ হৃদয় মাঝে/ দূর হতে যে নুপুর ধ্বনি শুনি
দেয়াল গাঁথা শব্দগুলো প্রতিধ্বনি হয়/অপেক্ষাতে তোমার প্রহরগুনি।
বুঝতে পারি এসব আবেগ/তোমার বিবেকে নয়
ভালোবাসায় দিতে পারো বাঁধা/করতে পারো তুমি যে নয় ছয়।
তবুও মন মানে না কোন বাঁধা/মিথ্যা জ্বালাও তোমার প্রেমের আলো।
অতীত যত সব কিছুতে গল্প হয়ে ভাসে/একটু
সেই থেকে তোমার দেশে শরৎকাল আসলে
আমার দেশে বর্ষার প্লাবন আসে।
শরতের পর শীতকাল তখন তুমি দামী
কম্বলের উষ্ণতায় ঠোঁটের সাথে ঠোঁট মিলাও।
আমি তখন প্রকৃতির সাথে লড়াই করি
ভাগ্য বদলে দিগভ্রান্ত হয়ে ছুটে বেড়াই
প্রকৃতির মত মানুষগুলিও হয়তো
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৩৮ বার দেখা
| ৯৬ শব্দ ১টি ছবি
জীবন থেকে হররোজ যতটা জল খসে খসে পড়ে
কে জানে না? চন্দ্রবিন্দু, খন্ড ত, অনুস্বার
সে জল আর কোনোদিন ফিরে না আপন নীড়ে!
তবুও নিয়ত বায়ুর মতোন নিয়ত বন্দনা করি
পড়ি, মরি করে আবারও সে জলকেই স্মরি
বিষাদ থেকে আলাদা হয় কয়েকটি মাত্র বিন্দু
যে ডুবুরি সেও কি জানে কতটা
ধরো—আজ বৃষ্টি হবে না
সবপাখি ঘরে আসবে ফিরি
কেউই পথ ভুলে নদীতীরে যাবে না আর—
দুপুরের সাথে প্রকাশিত সূর্যরাষ্ট্র করবে না লুকোচুরি
কেউ দেখবে না কারও মুখ বলে,
প্রতিজ্ঞা করেছিল যারা,
ফিরে আসবে তারাও এই জলভেলা মাখা তুমুল বর্ষায়
লেনাদেনা সেরে মাঝিও নৌকোর গলুইয়ে বসে
গাইবে মহাজনী গান—
শান্ত ঢেউ যেমন মাঝে মাঝে