আজও পৃথিবীতে গোধূলি এসে নামে,
পল্লবের ফাঁকে শিস দিয়ে পাখিরা দেশে গ্রামে
দুলিয়ে যায় বাতাসের শরীর,
সুখের মতো কচি ঘাসে শিশির ঝরে পড়ে শবরীর
মতো, তাতে ফুটে থাকে সূর্যের অফুরন্ত দেয়ালা।
কার্তিকেয় বাতাস এখন প্রথম প্রেমের মতো মেদুর, আর
সবুজ প্রান্তরের উপর গড়িয়ে
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১০৮ বার দেখা
| ১২৮ শব্দ ১টি ছবি
পর্ব -৮
– মিলু দাদা, ও মিলু দাদা!
কারো একটা ডাকার শব্দ পেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন ব্রহ্মানন্দ।
– ও মামুদালি এসেছো? – তা চল বাগানের দিকে।
– শুধু আপনে গেইলে তো হইবে না কত্তাবাবু। আমার যে মিলু দাদারে লাইগবে। – মামুদ আলি বলে।
মামুদ
তোমার আমার স্মৃতিগুলো জল সিঁদুরে ঢাকা
চমকিতো ওই দৃশ্যগুলো আড়ালে তোলা থাক
দূরগামী সেই অতীত দিনের গল্পগুলো বাঁধা
মন মন্দিরের সব দেওয়ালে তোমার ছবি আঁকা।
কষ্ট না হয় আমার কাছেই ইচ্ছে মতন থাক
তোমার মাঝে নাই বা হলো থাকা
মুছে ফেলো খেলনা ভেবে পথের পরিচয়
গোল পৃথিবী
কবিতা|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৬৭ বার দেখা
| ৪৬ শব্দ ১টি ছবি
বয়সের সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে দেখি
রুচি কমছে সব স্বাদের একি!
দুধ চা ছাড়া চলতোই না একদা,
সেই দুধ চাতেই স্বাদের পড়লো বাঁধা।
ঝাল খেলে দুনিয়া অন্ধকারে যায় ছেয়ে
পেটের উপর এক টন বিষ যায় বেদনার গান গেয়ে
চায়ে চিনি চার চামচ খেতাম আগে
এখন চিনি এক
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৮৩ বার দেখা
| ১৬২ শব্দ ১টি ছবি
সময় মাঝে মাঝে আমাদের সাথে আজব আচরণ করে। কখনো কোনো রাস্তার বাঁকে চলতে চলতে দেখা হয়ে যায় এমন কারো, যার সাথে একসময় একটা রোমান্সের সম্পর্ক হয়েছিল কিন্তু তা স্থায়ী হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে এই হঠাৎ দেখা থেকে শুরু হয় ফের যোগাযোগ।
প্রতিদিন একজন মেঘভিক্ষুকের সাথে আমার
দেখা হয়। প্রতিরাতে আমাদের ডেরায় উঠে আসে
চাঁদগল্পের ছায়া। আমি চাষাবাদ জানি। তাই –
সাজিয়ে রাখি স্তরে স্তরে বিনীত কাশমৌসুম।
মেঘের সাথে মানুষের সম্পর্ক নতুন নয়। বরং
মুহুর্তের মহিমায় ডুবে থাকে যে জীবন;
সে’ ই লিখতে পারে অনন্ত উৎসের উপাখ্যান।
মেঘ তখন সেই জীবনকে
এখানে কোন আড়াল রেখোনা
অথবা
ধর্মের দেয়াল!
কেউ তো আড়াল চায়নি
দ্যাখো নক্ষত্রের ছায়া
শিউলির ঘ্রাণ
কিংবা দেখতে পারো বৃষ্টি
সকাল
সূর্যস্নান
শুদ্ধ ধরা
এরা কেউই
তথাকথিত বিভাজন সৃষ্টি করেনি
কেউইনা!
আমরাই মুর্খ
রুক্ষ্ম দেমাক আর-
সীমাহীন সীমাবদ্ধতা নিয়ে
মুখে ফেনা তুলি ধর্ম বয়ানে!
অথচ
কেউ কখনো খুঁজে দেখেনি আত্মার আলো
বর্ণিত সত্য!
সত্যকে
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১০৩ বার দেখা
| ৬২ শব্দ ১টি ছবি
রাজনীতি নিয়ে দীর্ঘদিন লেখি না, এখন সেইফ সাইডে থাকতে ভাল লাগে। বাংলাদেশের রাজনীতি কতটা নষ্ট হয়েছে বলে বুঝানো যাবে না, এখানে আমার মতের বিপরীত অর্থাৎ আমার শত্রু। আওয়ামী শাসনের সমালোচনার অর্থ রাজাকার, দেশদ্রোহী। এতিম আত্মসাৎ অথবা খাম্বা নিয়ে প্রশ্ন করার অর্থ নাস্তিক।
আমি অনেক ভেবে
জীবন|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৫৯ বার দেখা
| ২০৫ শব্দ
পর্ব – ৭
মামাবাড়ি থেকে ফেরার পর মনটা খুব খারাপ হয়ে যায় মিলুর। সারাক্ষণ চুপচাপ থাকে। দুইদিন বাগানে উঠোনে তেমন একটা ঘোরাঘুরিও করেনি। আজ বিকেলে মায়ের বইয়ের তাক থেকে একটা কবিতার বই হাতে নিয়ে ঠাকুরমার ঘরের দিকে যায়।
ঠাকুরমার এই ঘরটি একটু
তুমি আমার নাম জানতে না। জানতে না- কোথায় যেতে চাই
কিংবা বৃক্ষে হেলান দিয়ে কখন ঘুমিয়ে পড়তে পারি-জানতে না
সেই সম্ভাবনাও। তবু ডেকেছিলে। হাওয়ায় উড়িয়ে দিয়েছিলে,
কয়েক টুকরো সুরমার ঢেউ। কিংবা লেখকদের যেমন স্বপ্ন থাকে-
ঠিক তেমনি, তুমি হতে চেয়েছিলে স্বপ্নময়। কোনো এক বাসন্তীবাদলে।
আমি ফালগুণের অপেক্ষা কখনও করিনি।
দুপুরের ভাতঘুমে যাই আর আকাশ দেখি না,
আকাশ দেখে মনের খাতায় আর কাব্যে লিখি না,
তুমি তাকিয়ে থেকো না মুখপানে,
আমি ঘুম যাই এবার স্বপ্ন টানে।
স্বপ্নঘোরে দেখে নেব আকাশ
পারি না আর জাগতে, এক নদী দীর্ঘশ্বাস,
আমায় জাগিয়ে রাখতে চাও?
বন্ধু তবে এক কাপ চা বানাও।
চলো
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৯৯ বার দেখা
| ১৩৪ শব্দ ১টি ছবি