আমার শৈশব সময় করে নিয়েছে চুরি
আহা আমি ছিলাম সেই বেলার আকাশের রঙিন ঘুড়ি
নাটাইয়ের সুতোয় ছিলাম না বাঁধা;
আমার শৈশব কী মনোহারি দিন, আহা সেকি ধাঁধা!
সময় নিয়ে গেল আমার গোল্লাছুট প্রহর
যেখানে বইতো শুধু দুরন্তপনার লহর;
আমার ডাংগুলি দিন,মারবেল খেলা
সব নিয়ে গেল একে একে, এখানে যে
সবশেষে গৃহীত থেকে যায় দেহের দূরভাষ
দূরত্ব পরখ করে পাখি দেখে– এই বিকেলের গায়ে
লেপ্টে আছে আমাদের দেহধর্ম, আর উষ্ণতার
আলো জমা হতে হতে যে অতীত হয়েছে বিগত,
সেও কাছে এসে দেখায় সম্মোহন, বলে —
হে জীবন চলিষ্ণু হও, পুনরায় আঁকো চুম্বনের গতিরেখা।
এঁকে রাখো এমন কোনও গ্রহের নাম
যেখানে মৃত্যু
প্রতীকি ছবি
মিনিট দশেক অপেক্ষা করে বাস পেলাম। বাসে উঠতে না উঠতেই দুজন দীর্ঘদেহী মানবের বাঁধায় থমকে গেলাম; পথ আটকে দাঁড়িয়েছিলেন। দরজায় দাঁড়িয়ে থাকলাম কিছুক্ষণ। পরের স্টপে আরও কয়েকজন বাসে উঠছে দেখে ভিতরে যাওয়ার চেষ্টা করলাম। কিন্তু না, সেই দীর্ঘদেহী
পর্ব-১১
শীতের সকাল। চারদিকে ঘন কুয়াসা। এই কুয়াসার ভেতর দিয়ে ঘুরতে মিলু খুব ভালবাসে। চারপাশের আবছা পরিবেশটা তার চোখের সামনে এনে দেয় এক অলৌকিক জগতের চিত্রাবলী। অস্পষ্টতার ভেতরে সে যেন খুঁজে পায় কোনো এক সুস্পষ্ট সৌন্দর্য্য।
কুসুমকুমারী ঘুম থেকে উঠে বারান্দায় এসে
পরিযায়ীর গল্প
সাইদুর রহমান
অতিথি পাখি আসতে পারে
ষড়ঋতুর দেশে,
দেশের পাখি ‘স্বাগত’ বলে
বরাবরই হেসে।
দূরের দেশে বাস করেও
প্রিয় বাংলা ভূমি,
আদর স্নেহ দেয় যে ঢেলে
কাছে টানে যে চুমি।
শীতেরকালে মোদের দেশে
পায় আরাম খুর,
সাগর পাড়ে খেয়ে বেড়ায়
দেয় আমোদে ডুব।
অতিথি সেবা বাংলাদেশে
বিশ্বে করেছে নাম,
ছাড়ে তাই যে সাইবেরিয়া
ছাড়ে তাদের ধাম।
অনায়াসেই খাল-বিলেতে
পোকা-মাকড়
প্রকৃতির পরিবর্তন কত দ্রুত ঘটতে পারে পূর্ব ইউরোপের ঐ অংশে বাস না করলে হয়ত বুঝতে পারতাম না। শীতের রাজত্ব ঐ অঞ্চলে প্রশ্নাতীত। সেই যে সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে তুষারপাত শুরু হয় তার শেষ কবে কেউ জানেনা। ডিসেম্বরের শুরুতে বরফ এসে জায়গা
জীবন|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৯১ বার দেখা
| ৮২৮ শব্দ ১টি ছবি
মহাকালের সূর্যটা একাই চলেছে বয়ে
কালের গর্ভে মহাকাল হয়ে
একা থাকার এই সমারহে
পথটাও রয় একা প্রবল শূন্যতায়।
তাই আজ তুমি
কতটা শূন্যতায়
সেজেছ পথিক তুমি, মন।
কতটা শূন্যতায় ভেঙেছে হৃদয়;
কিভাবে চলেছে দিন
দিনে দিনে করে ঋণ জানা নেই তবে
বেঘোরে বেঘাত, সব
হয়েছে বেহাত কী তা
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৩১ বার দেখা
| ৬৬ শব্দ ১টি ছবি
পর্ব -১০
সময়কে পেছনে ফেলে জীবন এগিয়ে চলে সামনের দিকে। চলতে চলতে পথিক কখনো সখনো অতীত পথের দিকে ফিরে তাকায়। সে পথের বাঁকে বাঁকে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে মনের চোখ দিয়ে দেখে নিতে ভালবাসে।
মিলু স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে আনমনে কখন
আট
অনেক দূরের নক্ষত্রমণ্ডল থেকে ফিরে আসছিল চাঁদ, রিকশা ক’রে। অন্ধকার মহাজগতে চাকার নীচে খোয়ার মতো ছায়াপথ আর গ্রহাণুপুঞ্জের ঝাঁকুনি খেয়ে, রিকশার হ্যান্ডেলের লাগানো টেমি-র আলোয় রাস্তা দেখে দেখে। হঠাৎ এক একটা উল্কা ছুটছে চারদিক সাদা ক’রে দিয়ে। তখন বোঝা যাচ্ছিল, ধ্রুবলোকের কোথাও ব’সে সিংহ
অনেকদিন ধরেই ঘাড়ধরা শব্দে কবিতা লিখি
গাছ থেকে বেলের বদলে তাল পড়লে যেমন
হাঁচি আর কাশি একসাথে বেরোতে চাইলে যেমন
আমার কবিতার বেখাপ্পা শব্দেরাও তেমন!!
তবুও কবিতা লিখি লেজ আর গোবর মাখামাখি
আমি ঋণগ্রস্ত অকবিবয়ে বেড়াই শব্দের দায়,
এভাবেই বেড়ে চলছে অপরিশোধিত লেনদেন
যে কেউ ইচ্ছা হলেই স্বত্তাধিকার কিনে