যা রে অন্তর বসে দিলাম!
কইতর পাখি বাসার মতো
অন্তর খসে জ্বলা দিল,অন্তর্যামী
আমি কি করে যে বাঁচছি-
বাঁচার স্বাদ এখন প্রণয়ের অনল;
ইটভাটা বুকের গভীরে সচল।
বিকাল ছিল, রঙে রঙে রঙধনু আকাশ
সবুজ ঘিরা মাঠ আর মাঠ- ধূলি
বালি খেলার প্রাণ চঞ্চল উঠান;
সবই আজ সাদা মেঘে
কবিতা|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১১৫ বার দেখা
| ৫৬ শব্দ ১টি ছবি
একদিন তোমাকে কবিতার কথা বলেছিলাম
বলেছিলে, প্রীতিলতা, সূর্যসেন, তিতুমীর ওদের বলো;
আমি কোনো কিছু বলতে পারিনি!
বলতে পারিনি, ঠাট্টা ছলে তুমি সেদিন যথার্থ বলেছিলে
প্রত্যেকটি কবিতাই এক একটি জ্যান্ত বিপ্লব !!
বলতে পারিনি আমার কাছে ভালোবাসা আর বিপ্লব
একই ফুলে গাঁথা মালা!
কবিতা কোনোদিন কালোকে সাদা বলে না
কবিতা কোনোদিন হেমন্তকে
সুখের রজনী পাবে গো সজনী
শ্রম-ঘাম ফেলে যাও,
কখনো না তবে বিফল না হবে
ফল হাতে হাতে নাও।
তব ঘামখানি দিয়ে হাতছানি
বলে ‘নিয়ে যাও সুখ’
অলসতা জেনো দুখ দেয় মেনো
তারি দাহে পুড়ে বুক।
ঘাম ঝরে বলে সুফল যে ফলে
সুখের প্লাবন নামে,
শ্রমের বদলে দুখ যায় চলে
সুখের
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৮২ বার দেখা
| ৮৮ শব্দ ১টি ছবি
সৌদামিনি কেমন আছেন ?
আমি ভালো নেই আপনাকে ভেবে।
অনেক দিনই ত গত হলো
কই আপনার দেখা পেলাম না।
কোথায় আছেন, কেমন আছেন
এই ভাবনায় দিন কাটে না আমার।
আপনার যা গত হয়েছে প্রায় চার যুগ আগে,
আমার কাছে সেটা বর্তমান !
আমি এখনও নিরব চিৎকার শুনি বুকের
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৭৬ বার দেখা
| ১৩০ শব্দ ১টি ছবি
আজ আমাদের ঘরে ‘নীতি’র মা এসেছিলেন। তিনি আশা মানে ভীতিকর পরিস্থিতি। আমাদের যাপিত জীবনে তিনি উৎপাতের মত। তিনি এলে আমরা চুপ করে থাকি; যা বলার তিনি বলে যান; তার বলে যাওয়া অখাদ্য সহ্য করি অথবা গিলি। তিনি চলে গেলে আটকে যাওয়া শ্বাস ছাড়ি, সাথে
জীবন|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১২০ বার দেখা
| ৩৬৬ শব্দ
আমাদের দেখা হওয়ার কথা ছিল, আসোনি শেষ পর্যন্ত,
আহা আমাদের সময়গুলো ছিল কতই না প্রাণোবন্ত
তুমিই দিয়েছিলে ফিরিয়ে, ভুলে যাওয়া দিগন্তে প্রেম গিয়েছে ফিরে,
আমাদের আর দেখা হবে না ভাবছো তাই, দুঃস্বপ্ন আছে ঘিরে।
আমাদের সময়গুলো থেমে আছে সেই অতীত প্রেম কাব্যে,
এই তুমি কী সেই জীবন নিয়ে আরেকবার
দায়মুক্তি দিলাম
উড়ে যা পরিযায়ী, নাইবা পেলাম ফিরে
দূর অতীতের ধানসিঁড়ি,
আলের পথে ওম মাখা ঘাসফুলের যৌবন;
যে বুকে তীক্ষ্ণ ঠোঁট ঠুকে ঠুকে
অজস্র কবুতর করেছে শস্য আহরণ-
ধরে নিলাম অসংখ্য রক্ত কণার মত
সঞ্চয়েতে ঠায় নিয়েছে একটি ধ্রুপদী চুম্বন!
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৯৩ বার দেখা
| ৩৪ শব্দ ১টি ছবি
নিজেকে আবিষ্কার করি এক মহাশ্মশানে
তুমুল বজ্রপাত আমায় গেঁথে ফেলেছে মাটির সঙ্গে
পোড়া গাছের মতো দাঁড়িয়ে আছি
দেখছি করোটির স্তুপ
কবন্ধে রক্তের ফোয়ারা
কোটি কোটি মুদ্রার পত্তনিদার জ্বালিয়েছে চিতা
সদম্ভ পদচারণা করে
যত দুঃশাসনের চেলা –
তত পুতনা –
আর বারোভাতারি স্বৈরাচারীর তর্জনী করে খেলা
যে জনম পুনরায় খুঁজি ড্রোনসভ্যতার ভেতর-
তার কোনো চৌহদ্দি নেই। অসীম আত্মার মায়া
আমাকে শিখিয়েছে যে প্রেম,
তাকে অনেক আগেই ভাসিয়েছি বিসর্জনসন্ধ্যায়—
আর পাঁজরকে বলেছি,
যুদ্ধে না থাকলে মন ভালো থাকে না। প্রেমযুদ্ধ, অস্ত্রযুদ্ধ, অর্থযুদ্ধ,
আরও কত প্রকারের যুদ্ধ। সব যুদ্ধই দখলের। সব হত্যাই
ক্রন্দন ও ধ্বংসের প্রতিভূ
আমি মাঠ’কেই আমার
এ শহরে অ্যাম্বুলেন্স হুইসেল বাজালে
নিঃশ্বাস গাঢ় হয়, রোজ অনতিদূর
ছুঁয়ে যায় এমন শান্ত আঁচড়ের দাগ-
চকের গুড়োয় শাদা বাড়িটার নির্জনে
এক ধরনের শীতল সমতল ধরে
রূপালি বরফের আগুন ছেঁকে দেয়
সমস্ত বাড়ির দরোজা, বহুদূরের পথ-
অচিরেই বিক্ষত আকাশ নেমে আসে
ধুলট শহর নিয়ে জিরাফের গলাসম
যেটুকু ছিল পালকে আশ্রয় এখানে
বঙ্কিম সাঁতারে সমুদ্র