০১
সখিনা তাড়াতাড়ি হাত চালায়। এখনও অনেক কাজ বাকি। পাশের বাড়ির মজা পুকুরে একবার যেতেই হবে। ওখানে কলমি শাক পাওয়া যায়। কারো চাষ করা নয় । একদম নিরেট প্রাকৃতিক। ভেজালের যুগে এই ঢের! কলমি শাক কদম আলীর খুব পছন্দ। যেদিন কলমি
অণুগল্প|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৬১ বার দেখা
| ১৭৩৫ শব্দ ১টি ছবি
আমাদের সামনেই হারিয়ে গেল মহান সন্ধ্যা। স্মৃতিচূড়ায় ধারণকৃত গুল্মরোদ
বলে গেল, আবার দেখা হবে বন্ধু ! আবার কাছে এসে ছায়া দেবে প্রাণের
ভৈরব। সবকথা বলা হবে অথবা নাও হতে পারে। যা জরুরী নয়, এমন
শঙ্খস্বর্ণ ছুঁয়ে গ্রহগামী মানুষেরা জেনে যাবে বিনোদনের দ্বাদশ জলকলা।
নেভানোর আনন্দ নিয়ে বয়ে গেল
যখন সন্ধ্যা নামে
আবিরের রঙে হারায় ধূসর বিকেল।
অনবরত পাখিদের কলরব
নীড়ে ফিরে যাওয়ার স্লোগান।
শেষ বিকেলের সূর্যটা
লাল আগুনের লেলিহান দিয়ে
শাসাতে চায় ধরাকে।
মেঘনার স্রোতশীল নদীর
জলে, বালিহাঁস খেলে যায়।
দু’একটা কাঠবিড়ালির ছুটাছুটি
এগাছের ডাল ছেড়ে ওগাছে।
মাঝিমাল্লারা আপন নিবাসে
ফিরে যাওয়ায় মত্ত।
কিছু জেলে ছোট ডিঙ্গি নাওয়ে
ভেসে ইলিশের জাল
ফেলে অপেক্ষার প্রহরে।
গায়ের বঁধু ব্যস্ত
শুনুন মহাজন, ‘আমিতো দিনমজুর
সদা গায়ে খেটে মরি,
কাজ শেষে মোর পাওনা
বুঝিয়ে দিবেন খুব তাড়াতাড়ি।’
মহাজন বললো, ‘আচ্ছা আচ্ছা তা হবে
এখন কাজ করো গিয়ে,
দেখো কাজে দিও না ফাঁকি
মজুরি নিও কাজ ষোলআনা বুঝিয়ে দিয়ে।’
দিনমজুর, ‘আচ্ছা মহাজন ঠিক আছে
আপনার কাজ হবে ষোলআনা,
বেন গুরিয়ন এয়ারপোর্ট হতে তেল আভিভ শহর ২০ কিলোমিটার পথ। অবেলায় ট্যাক্সি ক্যাব ছাড়া দ্বিতীয় কোন মাধ্যম নেই ওখানে যাওয়ার। টুরিস্ট ব্যুরোর বুথ হতে যাবতীয় তথ্য নিয়ে রওয়ানা দিলাম ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের দিকে। গড়পড়তা সময় ও ভাড়া সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়ায়
জীবন|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৮৭ বার দেখা
| ৯৫৮ শব্দ ২টি ছবি
আমি জ্যোৎস্না ছুঁয়েছি বহুবার
এমন জ্যোৎস্না ছুঁয়ে দেখিনি কখনো।
এ কেমন জ্যোৎস্না ছিলো তবে?
দুধের মত নির্মল সাদা, ঠিক তা নয়,
স্ফটিক স্বচ্ছ জলের উপর ঠিকরে পড়া আলোর মতন।
ঠিক তাও নয়।
রুপালী ইলিশের পিছলে পড়া ভোরের সূর্যের মত?
আরে না, ঠিক তা না।
তা হলে কেমন ছিল সে চন্দ্রিমা রাত?
এ
জীবন আদিষ্ট থাকে সনাতন লৌহনৃত্যঘুমে। জাগার যৌবন নিয়ে
উনুনের উদর থেকে তাকিয়ে দেখে ইস্পাতের সহস্র সবুজ। কী এক
তন্দ্রার আলো, ছুঁয়ে আছে সমুদ্র নোলক ! এসব ব্রাত্যকথা ভেবে
কলমও লিখে রাখে নম্বরবিহীন খাতার জবানী। আদৌ সুড়ঙ্গ নেই।
তবুও যেন পাতালের পদরেখা এসে শেষ হয়েছে এই নিরক্ষর পথে।
আর যারা
আমি ফেরত চাই আমার বিশ্বাস
ফেরত চাই আমার সবুজ মনন
আমার অবুঝ মন
আমার সহজ দৃষ্টি
ফেরত চাই আমার রাঙাদিন
আমার স্বপ্নিল রাত
আমার শব্দের বালখিল্যতা
আমার মমতা
আমার প্রাণের ছায়া জীবনের মায়া।
ওরা নতুন ওরা কুড়ি ওদের ছোটবেলা
ওরাই তো খেলবে খেলা,
বাঁধন হারা খোলাসা মনে
খেলবে সকল খেলা।
কিসের সকাল কিসের বিকাল
কিসের রাত্রিবেলা,
সকাল দুপুর সন্ধ্যা রাত্র
শুধু খেলা আর খেলা!
কখনো বা কানামাছি কখনো লাটিম
কখনো আবার ফুটবল,
ডাংগুলি আর মারবেল ক্রিকেট
সব
কবিতা|
৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৮৬ বার দেখা
| ৬১ শব্দ ১টি ছবি
আজ সবকিছু ঝিম মেরে আছে
উড়ন্ত পাখির ঝাঁক, হালদা নদীর বাঁক, ঘরের চালের উপর কা কা করা দাঁড়কাক!
তবুও আমি চেয়েছিলাম ভুত অথবা অদ্ভুত সকল
ঝিম ধরা ভাব ভেঙেচুরে যাক, গ্রন্থিত হোক কালের কেয়া; দুঃখগুলো ভাগাভাগি হোক হোক দেয়া-নেয়া!
প্রকৃত ভগ্নাংশ হোক, অপ্রাকৃত হোক অথবা মিশ্রই
হোকআমি
ক
তোমার জন্য কিছু চিহ্ন রেখে যাবো। দাগগুলো আমারই থাক,
এমন ধূসর শরীরে মাটির মমি হয়ে যেমন ঘুমিয়ে থাকে, পুরনো
কাঠের শিকড়, পচে যাওয়া পাতাবৃক্ষ কিংবা গোলাপের পাপড়ি
প্রদেশ। রেখে যাবো আঁকন আর কাঁপনের আঁচড়। চর, নৃ-নদী।
দাগগুলো শুকিয়ে যায়। চিহ্ণ শুকায় না কখনো। দাগগুলো ঢেকে
রাখে মানুষ। চিহ্নগুলো অন্য
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৮৩ বার দেখা
| ২০৮ শব্দ