কবি তোমার মন এত খারাপ কেন?
মুখ শুকনো, ভাষাহীন তোমার মুখ
চাঁদেরও বয়স হয়, নতুন চাঁদ ওঠে
তুমি কি আজও ভালোবাসো সেই
বয়স্ক চাঁদকে যে বড় একা, আশেপাশে
কেউ নেই, তাদের সময় আর ইচ্ছে নেই
কবিতা ছুঁয়ে দেখার, নতুন কোনো চাঁদ
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৭১ বার দেখা
| ৬০ শব্দ ১টি ছবি
কিছুই বাঁচানো গেল না
সন্তান, সম্ভ্রম, স্বাধীনতা
বাঁচানো গেল না সময়, শরত ও শবদেহ
বাঁচানো গেল না সূর্যের প্রখর আলো, শিয়র, শয্যা
কিংবা বাঁচানো গেল না সন্ধ্যাও। সমুদ্রও হয়ে গেল দখল।
বাঁচানো গেল না কিছুই। রক্তের দাগ, রিক্ত শিশুর আর্তনাদ
বাঁচানো গেল না, পিতার শোকার্ত পুরোনো কোর্তা
অথবা বোনের সংকুচিত ভ্যানিটি
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৪১ বার দেখা
| ১৪৮ শব্দ
হাঁটতে হাঁটতে যখন উড়তে থাকি তখন ভাবি
এ আর এমন কী? মশা ওড়ে, মাছি ওড়ে
পাখি ওড়ে, তেলাপোকা ওড়ে ওড়ে আরও
এমনি কতো কিছু ভুলে-বেভুলে যে নেয় কিংবা
যারা নেয় তিব্বতের রুপালি গল্পের পিছু !!
আসলে জীবন কেবল দু’আঁটি পাটের বোঝা
সরল অংক কেবল নামেই, নয়
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২১৬ বার দেখা
| ১২০ শব্দ
তুমি বেঁচে আছো সুখ বাহারে
দহন শেষে
মরেছি আমি অকথ্য অন্ধকারে।
এবং
দুঃখ আমাকে ঢেকে ফেলেছে
ধোঁয়া উঠা শীতেকুয়াশার চাদরে।
আমরা দুজন কতকাল একসঙ্গে ছিলাম?
যতক্ষণ সময়ে
বড়জোর একটা পরিতৃপ্ত নিদ্রা ভোগ করা যায়!
এখন আবার
তেঁতে উঠেছে
রমজান মাসে কি শুধুই রোজা রাখা? রমজান মাসে কি শুধু সময়মতো সেহরি খাওয়া আর সূর্যাস্তের সময় ইফতার কারা? এসব প্রশ্নগুলো শুধু আমাকে ভাবিয়ে তোলে। আমার মনে হয় সেহরি খাওয়া, রোজা রাখা আর ইফতার করার পাশাপাশি প্রতিটি ধর্মপ্রাণ
জীবন|
৫ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৫০৫ বার দেখা
| ৬৬৩ শব্দ ১টি ছবি
আজকাল কবিতার গায়ে রঙতুলির
আঁচড়ে ছবি আঁকছে বেশ- সময়ের
পিটে ভাবতে অবাক- ঈশ্বর বুঝি নাই
আপনা ক্ষমতাকেই প্রভু ভাবছে বেশ
আর সময় গড়ে-গড়ে যাচ্ছে কোন দিকে;
ধর্ম মানবতার মাথায় জানি মগজ নাই
কি করে থাকবে পৃথিবী এখন অসহায়-
শুধু ক্ষমতা লোভের কাছে খাই- খাই!
অতঃপর এখনো সময়
কবিতা|
৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২০৬ বার দেখা
| ৪৯ শব্দ ১টি ছবি
ব্রুজ খলিফার চুড়ায় নীল চোখের
কৃষ্ণ মেয়েটা যখন মৃদু ধাক্কা দিল
আমি পড়ে যেতে যেতে সামলে নিলাম।
একশ পঁচিশতলা থেকে পড়ে গেলে
মরে যেতাম নিশ্চিত। মরে গেলে মেয়েটার
নীলাঙ্কিত মুখ দেখা হত না।
‘সরি’র সাথে হয়তো দুঃখের যোগ আছে
আমার কিন্তু আনন্দ অনুভূত হল
মেয়েটার বিব্রত মুখে আনন্দ দেখলাম।
আমরা একসাথে সেলফি উঠালে
এবং যখন আমি বলি
কবিতা বুঝার বিষয় নয়
উপলব্ধি করার বিষয় –
তখনি কেবল পড়ন্ত বিকেলের
নীল পাখির কণ্ঠের গানের সুরের ভিতর থেকে
বেরিয়ে আসে এক সূর্যহীন বর্ষার দুপুর।
অথচ লেগস্পিন বলের মতো
আকস্মিক বাঁক নিয়ে
তুমি আঘাত হানলে
আমার হৃদয়ের মিডিল ষ্ট্যাম্পে-
শুরু হলো দ্বিতীয় ইনিংসের খেলা-
তথাপি তুমি সমুদ্রস্নানে গেলে
সমুদ্রের নীল সৌন্দর্য হয়ে
তীব্র
(শুরু করেছি ভারত – বাংলাদেশ – পাকিস্তানের ময়নাতদন্তমূলক নিবন্ধ “এদেশ ওদেশ”। লেখাটি আগে একটি কাগজে প্রকাশিত হয়েছিল। পরে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। কিন্তু আমার মনে হয় ২০১৫ সালে লেখা এই নিবন্ধ এখনো প্রাসঙ্গিক। আজ সপ্তম পর্ব।)
এদিকে ভারত রাষ্ট্রে তখন রাজনৈতিক ঝড়ের আসন্ন পূর্বাভাস। স্বাধীনতার পরে
জীবন|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৮২ বার দেখা
| ৪০৭ শব্দ
অনেক বেশী পেয়ে গেছি এক জীবনে, অনেক
বামনের হাত চাঁদে পৌঁছায় না জেনেও-
হাত বাড়িয়েছি নির্বাণ আগুনে, দহনের লীলায়
ছাই হইয়ে গেছি; নির্বাক! অবশিষ্ট প্রাণে
পদদলিত হতে হতে পৌঁছে গেছি পৃথিবীর এক কোণে!
যেখান থেকে কান্নার শব্দ বের হতে অক্ষম
আকুতির ভাষা যেখানে তুচ্ছ,
মিনতির হাত
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৯৯ বার দেখা
| ১১০ শব্দ ১টি ছবি
ইয়া আল্লাহ! ইয়া রাব্বুল আলামিন!
অফুরন্ত অসীম তোমার গুণ
ইচ্ছে হলেই সৃষ্টি করো তুমি
শুধু বলো ‘কুন-ফায়াকুন’।
তুমি শুধু বলো, ‘হও’ আর তা সব
নিমিষেই হয়ে যায়
দেখা-অদেখা বিরাজ অসীম
তসবিহ পড়ে সেজদায়।
কেউনা পারে দেখতে তোমায়
না পারে কেউ ছুঁতে
ক্লান্তি তোমায় ধরতে পারেনা
নিদ্রায় যাওনা শুতে।
এতো
পৃথিবী প্রথম যেদিন আমার কাছে এসেছিল, আমি তাকে
উপহার দিয়েছিলাম তিনটি ছায়া,
একটি আমার, একটি শ্রাবণের আর আরেকটি
সে ছায়াটি কার ছিল, তা জানিয়ে তোমাকে এর আগেও
বহুবার লিখেছি প্রবন্ধ। নিবন্ধকার তার লেখার চৌহদ্দি
জানেন না, এমন ইঙ্গিতও ছিল আমার লেখায়, আর ছিল
আগামী শীতে আমাদের বাগানে পাপড়ি কুড়াবে