শুরু করেছি ভারত – বাংলাদেশ – পাকিস্তানের ময়নাতদন্তমূলক নিবন্ধ “এদেশ ওদেশ”। লেখাটি আগে এক‌টি কাগজে প্রকাশিত হয়েছিল। পরে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। কিন্তু আমার মনে হয় ২০১৫ সালে লেখা এই নিবন্ধ এখনো প্রাসঙ্গিক। আজ নবম পর্ব। গণ হিস্টিরিয়া। ব্যাপারটা যদি সপক্ষে ঘটে, তাহলে যেকোনো দেশের শাসকদের

তুমি নেই বলেই আমার
একাকিত্ব এত ভালো লাগে।
এইখানে পৃথিবীর প্রান্তরে
ভোর বেলার আকাশ, রৌদ্রমুখী পাহাড়
ঘাসের বুকে চুমো এঁকে যায়। এইখানে নদীর জলে
কত স্মৃতি ভাসে হাঁসের পাখনায় !
এইখানে জলের ভিতর
তুমি নয় অন্য কেউ, অন্য কোনো নারী
কোথাও দেখেছি যারে। এইখানে শূন্যে মেঘ থেকে
কিছুটা দূরে একা হেঁটে যাই।
কোথাও তুমি নেই বলে

আট মাস পর চলো একটা অচল কবিতা লিখি
বেড়িবাঁধ ভাঙা আগুন জলে যেভাবে
ডুবে মরেছে কৃষকের বৈশাখ যেভাবে ডুবতে
ডুবতে খেই হারিয়েছে লকলকে পুঁইশাক
চলো সেভাবেই কেটে দিই অশুভ কবিতার ঝাঁক! তবুও কেটে যাক এই মরার খরা
কালবৈশাখী হলে হোক তবুও জাগুক ধরা! শুদ্ধ শব্দে নিপাত যাক

তোমার হাতের ভেতর
কতগুলো রেখা, কতগুলো পথ
রাঙিয়ে রেখেছে মন, ঘোরনিশিগুলো
ভোরের সূর্য ছুঁয়ে
আমিও তো করেছি শপথ-
সাজাবো প্রশাখা আর স্মৃতিমাখা ধুলো তারপর গৃহীত গ্রাফগদ্য পাঠে
লালটিপ এঁকে দেবো
শুভক্ষণে, তোমার ললাটে

দু’হাতের যত সব তুলা ছবিগুলো
এতটুকু অন্য হাতে ভরিয়ে দাও!
কোন সময়ে ইতিহাসের মেঘ ভাসবে-
শ্রাবণের বারি ধারা রঙিন ঝরাবে;
মনের জানালায় হাত গুটিয়ে থেকো না কথোপকথন সংগোপনে চাঁদের সাথে
প্রেমে পরো না- মানসিক রোগে হারাবে
উঠন ভরে সোনালি হাতের গল্প বলে যাও
প্রজন্ম একটু হলও আনন্দ পাবে-

ক্লান্ত বিকালে, হেলে পড়া ক্লান্ত সূর্য
এক মুঠো নীল
শান্ত আবরণে ঢাকা সবুজ প্রকৃতি
তার মাঝে নিখোঁজ শান্ত সেই চোখের চাহনি। নেমে আসে সন্ধ্যা, ঝির ঝির বৃষ্টি
ধুয়ে যায় দামী লিপস্টিক
ভেজা ভেজা চুল, চিবুকে নালিশ
কালো মেঘে ঠাসা চারদিক। তখনও মুঠোয়,

সমুদ্র আকাশের অশ্রুজল
সমুদ্র কি আমার চেনা পৃথিবীর শেষ প্রান্ত ও নয়?
যদি এমন হয়
আমি পৃথিবীর শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি-
উপরে নির্ভার নীলাকাশ নিচে আমি
আরো একবার ভিজতে চাইবো আমি সেই অশ্রুজলে।
হৃদয়ের পরতে পরতে জমে থাকা আমার দুঃখগুলি
সেই জলে ধুয়ে ধুয়ে সুখ হতে থাকবে। পাহাড়

নিস্তরঙ্গ জল
কিংকর্তব্যবিমূঢ়, টলমল
যেন নৈসর্গিক কবিতার আঁচল পেতে অপেক্ষমাণ কবি;
দহনের উত্তাপে বিদগ্ধ অঞ্জলি,স্বপ্ন, স্বাদ সবি।
পোড়নের বিশুদ্ধতায় নির্বাক-মৃত্যুর মুখোমুখি;
তুমি জানতেও পারোনি-
তোমার হাতের এক কোশ জলের দাবীতে রুখে আছে জীবনের মনছবি।

অনেক মা বাবাই জানেন না তার সন্তান কবিতা লিখে। অনেক পুত্র-কন্যাও
বলে- মাঝে মাঝে তাদের পিতা কাগজ ও কলম নিয়ে বসেন। কী লিখেন
সেটা জানে না তারা। এমন কি অনেক মাতৃকাব্যকথাও পড়ে’নি তার সন্তান
– এমন বর্ণনা শুনতে শুনতে আমি যখন নদীর কাছে পৌঁছলাম,
দেখলাম কয়েকটি ঢেউ ছিন্ন-বিছিন্ন

আমরা খুশি বোশেখ মাস
বাংলায় নববর্ষ
ছেলে-বুড়ো, খোকাখুকি
সবার একই হর্ষ। গ্রামে গ্রামে জমছে মেলা
বাউল গাইছে গান
একতারা আর দোতারাতে
প্রাণ যে পায় তান। বোশেখ এলে কালবোশেখী
ক্ষিপ্র বেগে আসে
গাছের ডালে পাখির বাসা
জীবন বুঝি নাশে। তাইতো ওরা কুঁকড়ে থাকে
মনে বড়ই ডর
ওদের মতোন ভয়ে

কতদিন আমি মেঘের দিকে তাকিয়েছি ঠিক নেই
অত দিনক্ষণ কেউ মনে রাখেনা
আমিও রাখিনি,
সেটাই খুব স্বাভাবিক —
আমার শূন্য দৃষ্টিতে কখনোই আকাশ এতটা লাল হয়ে উঠেনি,
তবে কি এটা কষ্টের লাল আকাশ?
ঠিক মিলছে না
কষ্টের প্রতীক নীল হয় জানি !
যেমন কষ্টের নীল বেদনার গোলাপ

৪৪/৪১ স্বরবৃত্ত ছন্দ আকাশ পানে তাকিয়ে খোকন
দেখছে ঈদের চাঁদ,
সেই খুশিতে দিশেহারা
চারিদিকে নাদ। মেঘলা আকাশ ঈদের চাঁদে
আনন্দের ওই বান,
খুশি মনে খোকন চলে
হর্ষে করে গান। বারে বারে খোকন বলে
কবে হবে ঈদ,
সেই খুশিতে খোকন সোনার
হয় না ভালো নিদ। ঈদের চাঁদে মন খুশিতে
সবাই

খর বৈশাখী দহন,ঝড়ের মাতন
বহে তপ্ত হিয়া-মন,উষ্ণ প্রস্ববন
যায় দিন অসহায় প্রলয় যাপন
ক্ষীণকায় তটিনীর অকাল মরণ।
কপোত-কপোতী নেয় বৃক্ষে স্মরণ
বিরহের সুর তুলে লাগায় কাঁপন।
কেঁদে ফেরে দুনিয়ার কামুক মদন
প্রেম ছাড়ে দীর্ঘশ্বাস অবুঝ কারণ!
ছেড়ে গেছে নিধুবালা প্রখর বৈশাখে
তৃষাতুর পথিকের পিয়াসী জঠোর
রুক্ষ শুষ্ক হৃদি মন

মনে মনে বুঝি রঙের ফানুস ওড়াও,
প্রেম ভালোবাসা ছাড়া কী দিয়ে মন জুড়াও?
চোখের তারায় আগুন বোম, তুমি কী আতঙ্ক;
জটিল না সরল বুঝি না তোমার মনের অঙ্ক। এত শত বুঝি না বাপু, আমি প্রেম চাই,
তোমার বুকের ভিতরে পেতে চাই ঠাঁই;
সহজ হও, হও নরম,

(শুরু করেছি ভারত – বাংলাদেশ – পাকিস্তানের ময়নাতদন্তমূলক নিবন্ধ “এদেশ ওদেশ”। লেখাটি আগে এক‌টি কাগজে প্রকাশিত হয়েছিল। পরে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। কিন্তু আমার মনে হয় ২০১৫ সালে লেখা এই নিবন্ধ এখনো প্রাসঙ্গিক। আজ অষ্টম পর্ব।) ক্ষমতার নেশা সবচেয়ে মারাত্মক। যার মধ্যে এ নেশা বাসা বাঁধবে,