রাতের বুক খসে যায়
এক গলা স্বপ্ন আর্তনাদ!
অথচ ঝলকানি দূরের চাঁদ-
শূন্য পথে পদাবলী ছুঁই!
আর রক্তাক্ত বেদনার আকাশ; তবু রাতের সান্ত্বনা ঘুমহীন
কিছু কায়া ছবির আঁকানো
নরম বালিশ কিংবা গড়ানো জল
এই তো রাত দিনের পার্থক্য
স্বপ্ন পুড়া কষ্ট বিমুখ ঝরা জল। ২৬চৈত্র ১৪২৮, ০৯এপ্রিল ২২

শ্রমের আঘাতে কভু টলে দেহ যদি
হে পান্থ বিশ্রাম খুঁজো দু’পায়ের তালে,
অক্ষিরে যন্ত্রনা দিলে রৌদ্র নিরবধি
ঘর্মাক্ত দক্ষিণ হস্ত রেখো তপ্ত ভালে। তৃষ্ণা বা ক্ষুধার তোড়ে বক্ষে এলে ঢল
হে যোদ্ধা বিশ্বাসী ধারে দম নিও গড়ি,
মোহের জৌলুস তবু কাড়ে যদি বল
সাধের জনমই ভেবো অকূলের

বিগতযৌবনা পৃথিবীকে সোমত্ত সকাল
কুর্ণিশ জানিয়ে বিদায় নেয়।
মধ্যবয়স্ক সূর্য্য এসে পৃথিবীর হাত ধরে
সুন্দরী বিকেল আলোছায়ায় নৃত্যরত
যুবতী রাত অপেক্ষায় থাকে সকালের
বৈরাগী ঘুঙুর শোনার অপেক্ষায়।

আজ সবকিছু ঝিম মেরে আছে
উড়ন্ত পাখির ঝাঁক, হালদা নদীর বাঁক, ঘরের চালের উপর কা কা করা দাঁড়কাক! তবুও আমি চেয়েছিলাম ভুত অথবা অদ্ভুত সকল
ঝিম ধরা ভাব ভেঙেচুরে যাক, গ্রন্থিত হোক কালের কেয়া; দুঃখগুলো ভাগাভাগি হোক হোক দেয়া-নেয়া! প্রকৃত ভগ্নাংশ হোক, অপ্রাকৃত হোক অথবা মিশ্রই
হোকআমি

ক
তোমার জন্য কিছু চিহ্ন রেখে যাবো। দাগগুলো আমারই থাক,
এমন ধূসর শরীরে মাটির মমি হয়ে যেমন ঘুমিয়ে থাকে, পুরনো
কাঠের শিকড়, পচে যাওয়া পাতাবৃক্ষ কিংবা গোলাপের পাপড়ি
প্রদেশ। রেখে যাবো আঁকন আর কাঁপনের আঁচড়। চর, নৃ-নদী। দাগগুলো শুকিয়ে যায়। চিহ্ণ শুকায় না কখনো। দাগগুলো ঢেকে
রাখে মানুষ। চিহ্নগুলো অন্য